(বাঁ দিকে) মধুমিতা সরকার (ডান দিকে) ঋদ্ধি সেনের সঙ্গে রেশমি সেন। ছবি: সংগৃহীত।
স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছাবার্তা জানাতে গিয়ে ফ্যাসাদে পড়লেন অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। একাধিক বানান ভুল করে বসলেন অভিনেত্রী। যার মধ্যে অন্যতম দুটো ভুল ছিল দিবস ও ভারতবর্ষ বানান। অভিনেত্রী লিখেছিলেন ‘দিবেস’ও ‘ভারতবর্শ’। মধুমিতার ছবির ক্যাপশনে ভুল বানান দেখে তাঁর শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিনেতা ঋদ্ধি সেন। তাঁকে অভিনয়জগতের কলঙ্ক বলেই আখ্যা দেন তিনি। শুধু তাই নয় মধুমিতার করা পোস্টটি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে চাঁছাছোলা আক্রমণ করেন ঋদ্ধি। এ বার ঋদ্ধিকে পাল্টা জবাব দিলেন মধুমিতা, অভিনেতার মা রেশমি সেনের প্রসঙ্গ তুললেন।
ঋদ্ধি প্রায় চাঁছাছোলা ভাষায় মধুমিতাকে আক্রমণ করে লেখেন, ‘‘স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস পেরিয়ে আজ ৭৮তম বছরে পৌঁছেও রক্তের দাগ মুছে ফেলা যাচ্ছে না। যে রাজ্যে এক চিকিৎসকের সাদা পোশাক ভেসে গেল রক্তে, সেই রাজ্যে এদের মতো অশিক্ষিত ব্যক্তি সাদা পোশাক পরে ওড়না উড়িয়ে দন্ত বিকশিত করে ভুল বানানে স্বাধীনতা দিবস পালন করার অভিনয় করছে। এরা কোনও দিনই শিল্পী ছিল না, ছিল না অভিনেতা। অভিনয় শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকতে গেলে সবার আগে প্রয়োজন সামাজিক সংযোগ, প্রয়োজন শিক্ষা। সমাজ , ইতিহাস, শিক্ষা, এই শব্দগুলো এদের কাছে ভিন্গ্রহী , অভিনয় মানে ভান করা নয়, অভিনয় মানে নিজের সর্বস্ব দিয়ে সত্যিটাকে খুঁজে বার করা। এরা আমাদের পেশায় কলঙ্ক। স্বাধীনতা দিবস নিয়ে বলার আগে নিজের ভণ্ডামি আর অশিক্ষা থেকে স্বাধীন হন, আমাদের কর্মক্ষেত্রও স্বাধীনতা চায় আপনাদের মতো অশিক্ষিত শিল্পীর কাছ থেকে।’’
এ বার ঋদ্ধির পোস্টের পাল্টা জবাব দিলেন মধুমিতা। তবে তিনি অবশ্য ঋদ্ধির শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে নারাজ, কারণটা তাঁর মা রেশমি সেন। ‘বোঝে না সে বোঝে না’ধারাবাহিকের সময় থেকে ঋদ্ধির মায়ের সঙ্গে পরিচয় মধুমিতার। এই ধারাবাহিকে অভিনেত্রীর মায়ের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল রেশমিকে। তাই মধুমিতা লেখেন, ‘‘আপনার শিক্ষা নিয়ে কোনও প্রশ্ন তুলব না ঋদ্ধি। কারণ সেটা করলে আপনার পারিবারিক শিক্ষার উপর প্রশ্ন ওঠে। সেটা করতে চাই না। কারণ আপনার মা ধারাবাহিকে আমার মায়ের চরিত্রে পার্ট করেছেন।’’শেষে মধুমিতার সংযোজন, ‘‘আসলে একটা পোস্টে দুটো টাইপো দেখে উনি ভেবেছেন উনি আমাকে খুব চেনেন।’’ যদিও মধুমিতাকে নিয়ে করা পোস্টটি ইতিমধ্যেই মুছে ফেলেছেন ঋদ্ধি। মধুমিতা আরও বলেছেন, “আমি যদি অবাঙালি হতাম, তা হলে সচেতন ভাবে ‘দিবেস’ লিখতাম!” এ দিকে যে দু’টি বানান ভুল লিখেছিলেন সে দু’টি সংশোধন করে ফেলেছেন মধুমিতা। তবু বাগ্যুদ্ধ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy