মদন মিত্র-ত্বরিতা চট্টোপাধ্যায়
মঙ্গলবার ছিল তরুণ কুমারের নাতবৌ ত্বরিতা চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন। উপহার হাতে রাত আড়াইটের সময় সৌরভ-ত্বরিতার বাড়িতে গিয়েছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। শাসকদলের প্রাক্তন মন্ত্রী নিজেই রসিকতা করে জানিয়েছেন, গভীর রাতে দরজা খোলেননি তরুণ কুমারের নাতি-নাতবৌ।
বুধবার তিনি সকালে উপস্থিত অভিনেত্রীর বাড়িতে। সেখানেই লাইভ সম্প্রচারে বিধায়ক জানান, তাঁর দেখা সেরা অভিনেত্রী ত্বরিতা। ভবিষ্যতে তিনি প্রযোজক হলে সেই ছবিতে ত্বরিতা নায়িকা হবেন! তিনি একটি শাড়িও উপহার দেন অভিনেত্রীকে।
মদন আরও জানান, পরিচালক, প্রযোজকদের উচিত ত্বরিতাকে আরও বেশি করে অভিনয়ের সুযোগ করে দেওয়া। কারণ তিনি মনে করেন, জি বাংলার ধারাবাহিক ‘রাণী রাসমণি’-র জনপ্রিয়তার নেপথ্যে ত্বরিতার যথেষ্ট অবদান রয়েছে। সাদা স্পোর্টস টি-শার্ট, রোদ চশমা পরিহিত বিধায়কের নজরে এর পরেই সৌরভ। তিনি সরাসরি স্বীকার করেন, ‘‘আমি কাউকে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করি না। ব্যতিক্রম সৌরভ। এক মাত্র ওই আমার যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী।’’ জানান, দেবলীনা, গৌরব-সহ চট্টোপাধ্যায় পরিবারের সবার সঙ্গেই তাঁর ভাল সখ্য।
মহানায়কের পরিবারের দুই সদস্যের বাড়িতে পা রেখেছেন মদন মিত্র। মহানায়াকের প্রসঙ্গ উঠবে না, হয় নাকি? বিধায়কের দাবি, সবার মতো তিনিও উত্তম কুমারের অন্ধ ভক্ত। কিন্তু অভিনয়ের দিক থেকে তাঁর চোখে সেরা সৌরভের দাদু তরুণ কুমার। উপহার হাতে অতিথি হিসেবে বাড়িতে এসেছেন শাসকদলের বিধায়ক। স্বাভাবিক ভাবেই আপ্লুত সৌরভ-ত্বরিতা। লাইভে সে কথা স্বীকার করে ত্বরিতা জানান, বিধায়কের সঙ্গে তাঁর অল্প দিনের আলাপ। এর মধ্যেই মদন মিত্র ত্বরিতাকে অনায়াসে আপন করে নিয়েছেন। বাকি শহরবাসীর মতো বিধায়কের বিখ্যাত সংলাপ ‘ওহ! লাভলি’ তাঁরও খুবই পছন্দের। তাই মদন মিত্র চান বা না চান, তরুণ কুমারের নাতি-নাতবৌ আজীবন তাঁর পাশেই থাকবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy