মুনাওয়ার ফারুকী ও কঙ্গনা রানাউত
রবিবাসরীয় সকালে ‘লক আপ’-এ টানটান উত্তেজনা। গোপনতম কথাটি না বললে গরাদ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয় এই পর্বেই। বিচারকের আসনে কঙ্গনা রানাউত। তাঁর জেলখানা ভর্তি বিতর্কিত কয়েদিরা, যাঁদের এক জন মুনাওয়ার ফারুকী। গত বছরই হিন্দু দেবদেবীদের নিয়ে একটি মন্তব্য করে বিতর্কের কেন্দ্রে চলে এসেছিলেন এই কৌতুকশিল্পী। হিন্দুত্বের মূলে আঘাত হানার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। তবে এখন তিনি স্বেচ্ছাবন্দি কঙ্গনার গারদে।
এই রবিবার ‘লক আপ:-এ নিজের মেয়াদ আরওই বাড়িয়ে নিলেন ফারুকী। কী এমন গোপন কথা শোনালেন কমেডিয়ান?
এ দিন নিজের ছোটবেলার এক ভয়াবহ স্মৃতি সামনে নিয়ে এসেছেন মুনাওয়ার। বলেছেন,‘‘২০০৭ সালের জানুয়ারি মাস। সকাল ৭টার সময় ঠাকুমা হঠাৎ ঘুম থেকে তুলে জানান, আমার মাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’’ সেই শুনে চমকে যান ১১ বছরের মুনাওয়ার। ভেবে পাচ্ছিলেন না, কী হতে পারে মায়ের। ছোটবেলার সেই কঠিন স্মৃতি ফিরে দেখতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন শিল্পী। নিজেকে একটু গুছিয়ে নিয়ে শোনান সেই ভয়াবহ দিনটির কথা।
মুনাওয়ার বলেন, "যখন হাসপাতালে পৌঁছলাম, ইমারজেন্সি ওয়ার্ড থেকে মাকে বার করে আনা হচ্ছিল। আমি গিয়ে মায়ের হাতটা চেপে ধরলাম। সেই হাত ছাড়িয়ে নিয়ে চলে গেল ওরা।"
শোকে বিহ্বল মুনাওয়ারের মুখ থেকে এ পর্যন্ত শুনেই চোখে জল কঙ্গনার। সহ-প্রতিযোগীদেরও। তবে 'লক আপ'-এর এই পর্বে এর বেশি কিছু স্পষ্ট হয়নি মুনাওয়ারের কথায়। যদিও আগে একটি সাক্ষাৎকারে শিল্পীর ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা জানিয়েছিলেন, তাঁর মা আত্মঘাতী হয়েছিলেন সে দিন।
ছোট্ট মুনাওয়ার বড় হয়েছিলেন নিজের মতো। দুঃখ জয় করার উপায় শিখছিলেন একটু একটু করে। মা হারানোর যন্ত্রণা বুকে নিয়েই এক দিন সফল কৌতুকশিল্পী হয়ে ওঠা। প্রতিনিয়ত তাঁর হাসিমুখ দেখে, রসিকতা শুনে কারও কিছু বোঝার জো নেই। তবে কয়েদিরা সকলে স্বীকার করলেন, ত্রিশ বছরের জীবনেই মুনাওয়ার রীতিমতো অনুপ্রেরণা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy