Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Bollywood Actress on Manipur Violence

বাবা-মা মণিপুরে আটকে মৃত্যুর দিন গুনছেন, বলিউডে সাহায্যের আর্জি ‘মেরি কম’-এর অভিনেত্রীর

অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি মণিপুরে। তার মধ্যেই মৃত্যুর প্রহর গুনছে অভিনেত্রী লিনের পরিবার। মা-বাবাকে কাছে নিয়ে আসতে চান লিন, কিন্তু পাশে নেই কেউ। সমাধান চেয়ে কাতর প্রার্থনা ‘মেরি কম’-এর অভিনেত্রীর।

Lin Laishram slams Bollywood for silence on Manipur crisis

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
মুম্বই শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২৩ ২০:৫০
Share: Save:

এক মাসেরও বেশি হয়ে গেল মণিপুরে হিংসার আগুন জ্বলছে। কী ভাবে মায়ানগরীতে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে পারেন মণিপুরের কন্যা লিন লইশ্রাম? বাবা, মা আটকে রয়েছেন। মৃত্যুর দিন গুনছেন। মানসিক যন্ত্রণার কথা তুলে ধরলেন ‘মেরি কম’ ছবির অভিনেত্রী। প্রশ্ন তুলেছেন বলিউডের মানসিকতা নিয়েও।

অসহায় লাগছে লিনের, তবুও কিছু করতে পারছেন না। মণিপুরে গিয়ে যে পরিবারকে বার করে আনবেন সে উপায় নেই। এই পরিস্থিতিতে পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে না পেরে অস্থির হয়ে উঠেছেন লিন। তাঁর কাতর আর্জি, “আমার বাবা-মা মণিপুর ছেড়ে আমার কাছে চলে আসতে চায়। কিন্তু আমি পারছি না ওদের আনতে। কেউ কি কোনও সমাধান দিতে পারেন?”

গোটা ঘটনায় বলিউডের নীরব ভূমিকার সমালোচনা করে লিন বলেছেন, “বলিউডের কথায় গোটা দেশ মাতে। যখন মণিপুরের মীরাবাঈ চানু কিংবা মেরি কম মেডেল পেলেন তখন দেশ হাততালি দিল। তাঁদের অবমাননার সময়ে সবাই এখন কোথায়?” অভিনেত্রীর দাবি, কোনও এক জন তারকাও যদি মুখ খুলতেন, অনেকটা প্রভাব পড়ত।

লিনের রাজ্যের মানুষ কেন তারকাজগতের সমর্থন পেতে পারেন না? জানতে চাইলেন লিন। তাঁর কথায়, “হিন্দি ছবির জগৎ আমাদের দুঃসময়ে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। মানুষ সেখানে প্রতি মুহূর্তে মৃত্যু ভয়ে কাঁপছে। ভাবছে আজই বুঝি শেষ রাত। কিন্তু সেই হিংসা-হানাহানির ছবিটা এত স্বাভাবিক কবে হয়ে গেল বাকিদের কাছে?”

মণিপুরে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহতের সংখ্যা প্রায় ৫০০। গোষ্ঠীহিংসার জেরে ঘরছাড়া হয়েছেন ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ! মায়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে এসে কুকি জঙ্গিরা মেইতেইদের উপর হামলা চালাচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত হয়েছিল মণিপুরে।

মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি, জ়ো-সহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষ ঠেকাতে গত ৬ মে মণিপুরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। নামানো হয় সেনা এবং অসম রাইফেলস বাহিনীকে। কিন্তু এক মাস কেটে গেলেও হিংসা থামেনি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy