(বাঁ দিকে) অভিষেক চট্টোপাধ্যায়, সাইনা চট্টোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক।
প্রয়াত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের একমাত্র মেয়ে সাইনা চট্টোপাধ্যায় আত্মপ্রকাশ করছেন অভিনয়জগতে। এটাই বুঝি ভবিতব্য ছিল? সব কিছু তাই যেন আগাম সাজানো। কেবল সময়ের অপেক্ষা! নির্দিষ্ট সময় আসতেই স্টার জলসায় ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ ধারাবাহিকের হাত ধরে প্রথম ক্যামেরার মুখোমুখি হতে চলেছেন অভিষেক-সংযুক্তা চট্টোপাধ্যায়ের আদরের কন্যা, ডল। সবিস্তার জানতে শনিবার সংযুক্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। তিনি তখন মেয়েকে নিয়ে শুটিং ফ্লোরে। সেখান থেকেই ফোনে জানালেন, ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর আগে একটুও ভয় পাননি নবম শ্রেণির ছাত্রী। বরং সকলের সঙ্গে দারুণ মিশে গিয়েছেন। দেখে মনে হচ্ছে, সেট যেন তাঁর ঘরবাড়ি!
মেয়ে অভিনয়ে আসবে, বাবার পেশাকে আপন করে নেবে— এমনই ইচ্ছে ছিল আপনাদের? প্রশ্নের জবাবে সংযুক্তা বলেছেন, “ডল যা করবে সেটাই আমরা মেনে নেব, আমাদের এই ভাবনা। তাই ওর অভিনয়ে আসা শুধুমাত্র আমাদের নয়, ওরও ইচ্ছে। তাই সুযোগ এল যখন আমি না করিনি। ডল-ও কিন্তু বিষয়টি নিয়ে খুব সহজ।” ধারাবাহিকের প্রযোজক শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস। অভিষেক-পত্নীর মতে, প্রথম কাজ বড় প্রযোজনা সংস্থার, এটা সকলের হয় না। সেই জন্যই ফোন আসার পর সংযুক্তা মেয়ের স্কুলে গিয়েছিলেন। শিক্ষিকাদের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের অনুমতি নিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে তাঁর আরও দাবি, “আমরা কোনও দিন কাউকে বলিনি, ডল অভিনয়ে আসবে। তাই চ্যানেলের তরফে ফোন আসায় একটু অবাকই হয়েছিলাম। তার পর প্রথম লুক সেটে নিয়ে গেলাম মেয়েকে। ডল কয়েকটি সংলাপ বলল। একবারেই পাশ হয়ে গেল! মনে হল, অভি যেন মেয়ের জীবন নিজের হাতে গুছিয়ে দিল। এটাই বুঝি হওয়ার ছিল।” কাকতালীয় ভাবে এই চ্যানেলের একাধিক ধারাবাহিকের সঙ্গে প্রয়াত অভিনেতা নিজেও যুক্ত ছিলেন।
সে কথা জানাতেই অভিনেতা-পত্নীর দাবি, “আমরা মানি না, অভি নেই। ও সব সময় আমাদের সঙ্গে থাকে। আমরা টের পাই।”একটু থেমে যোগ করেছেন, তিনি তাঁর স্বামীর ছবি সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন। সেটের এক পাশে সাজানো থাকবে। যাতে মেয়ে অভিনয় করতে করতেই বাবাকে দেখতে পান। ভরসা পান এই ভেবে, বাবা তাঁর সঙ্গেই আছেন। সংযুক্তার কথায়, “মেয়ে বাবার কাজের দুনিয়ায় পা রাখতে চলেছে। সেই দৃশ্য বাবা নিজের চোখ দেখবে না, তা হয়?”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy