Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Koneenica Banerjee

Koneenica Banerjee: কিয়ার সঙ্গে বেড়ে উঠেছে বাড়ির ক্রিসমাস ট্রি-টাও, বড়দিনে সেজে উঠবে দু’জনেই

বড়দিনের হাওয়া আমার বাড়িতে বইতে শুরু করেছে এক সপ্তাহ আগে থেকেই।

মেয়ে কিয়ার সঙ্গে কণীনিকা।

মেয়ে কিয়ার সঙ্গে কণীনিকা।

কণীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২১ ১৪:২৭
Share: Save:

উৎসব, উদযাপন আমার খুব প্রিয়। কী দুর্গাপুজো, কী বড়দিন! নিজের হাতে সাজিয়ে গুছিয়ে বাড়িতে দুর্গাপুজো করেছি। ঠিক সে ভাবেই বড়দিনের হাওয়া আমার বাড়িতে বইতে শুরু করেছে এক সপ্তাহ আগে থেকেই!

আমাদের বাড়িতে একটা ছোট্ট বাগান আছে। সেখানে সাজানো সত্যিকারের ক্রিসমাস ট্রি। আমার মেয়ে কিয়ার সঙ্গে গাছটি এসেছে। গাছটিকে এনেছি, যাতে কিয়া আস্তে আস্তে দেশের সমস্ত উৎসবকে চিনতে পারে। সব কিছুকে আপন করে নিতে পারে। এক সঙ্গে ওরা বেড়েও উঠেছে। এ বছর বড়দিনে ওরা দু’জনে একসঙ্গে সাজবে।

আমার চাওয়া কিন্তু সার্থক। ক্রিসমাস ট্রি-এর কল্যাণেই হোক বা অন্য যে কোনও কারণে, কিয়া কিন্তু বড়দিন বুঝতে শিখে গিয়েছে। ও ‘জিঙ্গল বেল’ গানটা বোঝে। সান্তাক্লজকেও বেশ চিনেছে। আমিও এই পার্বণটিকে খুব ভালবাসি। প্রতি বছর তাই বরফের দেশে পালিয়ে যাই। এ বছর সেটা হচ্ছে না। তাই বাড়ির বাগানেই বড়দিনের আমেজ আনার চেষ্টা।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে গাছ সাজানোর জন্য ঘণ্টা, তারা, মোজা, উপহারের ছোট ছোট বাক্স, আলো আর বড় সান্তাক্লজ কিনে এনেছি। গত রাতে শ্যুট সেরে বাড়ি ফিরে আমি আর সুরজিৎ বসে বসে সাজিয়েওছি। সত্যিকারের বরফ থাকলে সেটাও ছড়িয়ে দিতাম। যেহেতু নেই, তাই ঠিক করেছি কল্পনায় বরফের ছবি আঁকব। বাইরের আবহাওয়াও বেশ মনোরম। সব মিলিয়ে জমে যাবে বড়দিন!

ঠিক করেছি, দুর্গাপুজোর মতোই এ দিনও আমি আর আমার ছোট্ট মেয়ে মিলে খুব সাজব। মেয়ে হলে এটাই বিশাল সুবিধে। মিলিয়ে বেশ সাজা যায়। লাল পোশাক কিনেছি কিয়ার জন্য। আমিও হয়তো সেজে উঠব একই রঙে। সবাই বলেন, যে কোনও দিন নাকি উৎসব হয়ে ধরা দেয় আমাদের সাজমিলন্তিতে।

বাকি রইল উপহার। মা-বাবা সান্তাক্লজ হয়ে অনেক উপহার দিয়েছে কিয়াকে। নানা রকমের ব্যান্ড, রাজকুমারীর গল্পের বই। আর তার মতোই নরম গোলাপি রঙের সুন্দর পোশাক। উদযাপনের জন্য আর কী চাই!

অন্য বিষয়গুলি:

Koneenica Banerjee Actress Tollywood
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE