দেরিতে হলেও বড়দিনের ছবি পোস্ট করে সবাইকে ভালবাসা জানালেন কোয়েল। ছবি:ইনস্টাগ্রাম
বড়দিন মানেই পরিবারের কাছাকাছি থাকার অখণ্ড অবসর। রবিবার সকালে বাবা রঞ্জিত মল্লিক নিজেই সান্টা সেজে হাজির মেয়ের বাড়িতে। উপহারের ঝুলি নামিয়ে নাতি কবীরের সমস্ত আবদার মেটালেন। কোয়েল অবশ্য শাসনেই রেখেছিলেন বাবাকে। নাতির সঙ্গে মিষ্টি কিংবা চকোলেট একটিও নয়! ছেলেকে নিয়ে কোয়েলের ব্যস্ততার ফাঁকে স্বামী নিসপাল সিংহ রানে তত ক্ষণে অন্যান্য জোগাড়যন্ত্র করতে লেগেছেন। বাড়িতে বড়দিনের পার্টি। কবীরের বন্ধুরা আসবে। কেক কাটার সময় দেখা গেল খুদেদের সঙ্গে হাজির আত্মীয়, প্রতিবেশীরাও।
সবাই মিলে হইহই করে কেটে গেল বড়দিনের সকাল। এত এত সুখস্মৃতি যে, পোস্ট করার সময় পাননি। ছবি আর ভিডিয়োতে কোয়েল সমাজমাধ্যম লাল-সাদা করে দিলেন সোমবার রাতে। বিকেল থেকে আবার অন্য পরিকল্পনা ছিল। কবীরকে নিয়ে বেরিয়েছিলেন তার বাবা-মা। শহরের নামী রেস্তরাঁয় নৈশভোজ সেরেছেন। তার আগে কোয়েল আর রানে মিলে সান্টা আর জোকারদের সঙ্গে আলাপ করিয়েছেন পুত্রের। চকোলেটের সমুদ্র ঘাঁটতে দেখা গিয়েছে মা-ছেলেকে। কবীরের ৩ বছর বয়স হল। এখন সে অনেক কিছুই স্পষ্ট বোঝে।
২০২০ সালে, জীবনের প্রথম বড়দিনেও অবশ্য চুটিয়ে আনন্দ করতে দেখা গিয়েছিল সাড়ে ৭ মাসের কোয়েল-পুত্রকে।এ বছরও হইহই করেই কেটে গেল কোয়েলের বড়দিন। কবীরের সঙ্গে বছরের সব ক’টি দিন, প্রতিটি মুহূর্ত রঙিন। ছেলে কোলে ৪০ বছরের মা তাই পাখির মতোই ফুরফুরে। দেরিতে হলেও বড়দিনের ছবি পোস্ট করে সবাইকে ভালবাসা জানালেন। দীর্ঘায়িত করলেন উৎসবের মেজাজ।
২০২০ সালের লকডাউনে কবীর এসেছিল কোলে। তার পর থেকে জীবন বদলে গিয়েছে অভিনেত্রীর। সে বার বড়দিনে বলেছিলেন, “আশীর্বাদের মতো বছরটি এল। সান্টা আগেই আমার উপহার সাজিয়ে রেখেছিলেন।” কোয়েল আর রানের বিয়ের দশ বছর হল। আরও কত রোমাঞ্চ অপেক্ষা করে আছে, কে জানে! ২০০৩ সালে ‘নাটের গুরু’ ছবি দিয়ে সিনেমার জগতে পা রাখেন কোয়েল মল্লিক। ২০২১ সালে ‘বনি’ ছবিতে তাঁকে শেষ বার বড় পর্দায় দেখা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy