Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Entertainment news

মেয়ে পূজার সঙ্গে লিপ-লক, ৪৪ বছরের ছোট নায়িকার সঙ্গে প্রেম! এমন নানা বিতর্কে জড়িয়ে মহেশ ভট্টের জীবন

কখনও তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে বিতর্ক, কখনও মেয়ের বয়সী কোনও নায়িকার সঙ্গে প্রেম, এমনকি, নিজের মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২০ ১০:২৮
Share: Save:
০১ ১৫
বলিউডরে একেবারের প্রথম সারির পরিচালক তিনি। প্রচুর হিট ফিল্মও দিয়েছেন। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে বারবারই পরিচালক মহেশ ভট্ট নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন। কখনও তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে বিতর্ক, কখনও মেয়ের বয়সী কোনও নায়িকার সঙ্গে প্রেম, এমনকি, নিজের মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি।

বলিউডরে একেবারের প্রথম সারির পরিচালক তিনি। প্রচুর হিট ফিল্মও দিয়েছেন। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে বারবারই পরিচালক মহেশ ভট্ট নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন। কখনও তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে বিতর্ক, কখনও মেয়ের বয়সী কোনও নায়িকার সঙ্গে প্রেম, এমনকি, নিজের মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি।

০২ ১৫
ছোট থেকে মায়ের কাছেই মানুষ হয়েছেন মহেশ ভট্ট। বাবা শব্দটার সঙ্গে পরিচয় হলেও বাবার ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত, তা জানতেন না তিনি।

ছোট থেকে মায়ের কাছেই মানুষ হয়েছেন মহেশ ভট্ট। বাবা শব্দটার সঙ্গে পরিচয় হলেও বাবার ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত, তা জানতেন না তিনি।

০৩ ১৫
কারণ এক মুসলিম মায়ের জারজ সন্তান তিনি। তাঁর মায়ের নাম শিরিন মহম্মদ আলি। তাহলে মহেশ ভট্ট নাম কী ভাবে পেলেন তিনি?

কারণ এক মুসলিম মায়ের জারজ সন্তান তিনি। তাঁর মায়ের নাম শিরিন মহম্মদ আলি। তাহলে মহেশ ভট্ট নাম কী ভাবে পেলেন তিনি?

০৪ ১৫
এক সাক্ষাত্কারে তিনি জানিয়েছিলেন,  তাঁর মা নাকি বলেছিলেন, মহেশের বাবা ছেলের এই নাম রাখতে বলেছিলেন। মহেশ ছোটবেলায় অপেক্ষা করতেন বাবার জন্য। কবে বাবা আসবেন, তাঁর নাম কেন মহেশ রাখলেন তা বুঝিয়ে দেবেন। কিন্তু না! সে অপেক্ষায় কোনও লাভ হয়নি। কারণ কোনও দিনই নাকি মহেশের বাবা ছেলের সঙ্গে দেখা করতে আসেননি।

এক সাক্ষাত্কারে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর মা নাকি বলেছিলেন, মহেশের বাবা ছেলের এই নাম রাখতে বলেছিলেন। মহেশ ছোটবেলায় অপেক্ষা করতেন বাবার জন্য। কবে বাবা আসবেন, তাঁর নাম কেন মহেশ রাখলেন তা বুঝিয়ে দেবেন। কিন্তু না! সে অপেক্ষায় কোনও লাভ হয়নি। কারণ কোনও দিনই নাকি মহেশের বাবা ছেলের সঙ্গে দেখা করতে আসেননি।

০৫ ১৫
তবে বাবার পরিচয় মায়ের কাছ থেকে পেয়েছিলেন মহেশ। তাঁর বাবার নাম ছিল নানাভাই ভট্ট। কিন্তু মহেশের জন্মের পর তাঁর ও তাঁর মায়ের কোনও দায়িত্বই নাকি নেননি নানাভাই।

তবে বাবার পরিচয় মায়ের কাছ থেকে পেয়েছিলেন মহেশ। তাঁর বাবার নাম ছিল নানাভাই ভট্ট। কিন্তু মহেশের জন্মের পর তাঁর ও তাঁর মায়ের কোনও দায়িত্বই নাকি নেননি নানাভাই।

০৬ ১৫
মাতুঙ্গার ডন বসকো স্কুল থেকে পাশ করেছেন মহেশ ভট্ট। স্কুলে পড়াকালীন উপার্জন করা শুরু করেছিলেন। গরমের ছুটিতে নানা ধরনের ছোটখাটো কাজ করতেন অর্থ উপার্জনের জন্য। পাশাপাশি আবার ওই সময় থেকেই বিজ্ঞাপন তৈরির কাজও টুকটাক করতেন।

মাতুঙ্গার ডন বসকো স্কুল থেকে পাশ করেছেন মহেশ ভট্ট। স্কুলে পড়াকালীন উপার্জন করা শুরু করেছিলেন। গরমের ছুটিতে নানা ধরনের ছোটখাটো কাজ করতেন অর্থ উপার্জনের জন্য। পাশাপাশি আবার ওই সময় থেকেই বিজ্ঞাপন তৈরির কাজও টুকটাক করতেন।

০৭ ১৫
মহেশ ভট্টের প্রথম স্ত্রী কিরণ ছিলেন তাঁর স্কুল জীবনের বন্ধু। কিরণের প্রকৃত নাম লরেন ব্রাইট। পরে তিনি নাম বদলে নেন। কিরণ আর মহেশের দুই সন্তান-পূজা ভট্ট এবং রাহুল ভট্ট। কিন্তু কিরণের সঙ্গে মহেশের বিবাহিত জীবন খুব সুখের ছিল না।

মহেশ ভট্টের প্রথম স্ত্রী কিরণ ছিলেন তাঁর স্কুল জীবনের বন্ধু। কিরণের প্রকৃত নাম লরেন ব্রাইট। পরে তিনি নাম বদলে নেন। কিরণ আর মহেশের দুই সন্তান-পূজা ভট্ট এবং রাহুল ভট্ট। কিন্তু কিরণের সঙ্গে মহেশের বিবাহিত জীবন খুব সুখের ছিল না।

০৮ ১৫
সে সময় বলিউডের সুপার হিট নায়িকা পরভিন ববির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মহেশ ভট্ট। পরভিন ববি পরে মানসিকভাবে অসুস্থও হয়ে পড়েছিলেন। বলিউডে গুঞ্জন, ‘আশিকী’ এবং ‘ওহ লম্‌হে’ ছবিটা নাকি স্ত্রী কিরণ এবং পরভিন ববির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়েই তৈরি করেছেন তিনি।

সে সময় বলিউডের সুপার হিট নায়িকা পরভিন ববির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মহেশ ভট্ট। পরভিন ববি পরে মানসিকভাবে অসুস্থও হয়ে পড়েছিলেন। বলিউডে গুঞ্জন, ‘আশিকী’ এবং ‘ওহ লম্‌হে’ ছবিটা নাকি স্ত্রী কিরণ এবং পরভিন ববির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়েই তৈরি করেছেন তিনি।

০৯ ১৫
পরভিন ববি যখন মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন, মহেশ ভট্টের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবসানও ঘটে। মহেশ ভট্ট তখন সোনি রাজদান নামে এক অভিনেত্রীর প্রেমে পড়েন। সোনি রাজদানের মেয়েই আলিয়া ভট্ট।

পরভিন ববি যখন মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন, মহেশ ভট্টের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবসানও ঘটে। মহেশ ভট্ট তখন সোনি রাজদান নামে এক অভিনেত্রীর প্রেমে পড়েন। সোনি রাজদানের মেয়েই আলিয়া ভট্ট।

১০ ১৫
১৯৮৬ সালে সোনি রাজদানকে বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু তখনও প্রথম স্ত্রী কিরণের সঙ্গে আইনত ডিভোর্স হয়নি তাঁর। তাড়াতাড়ি বিয়েটা করার জন্য তিনি মায়ের মুসলিম ধর্মের সাহায্য নেন।

১৯৮৬ সালে সোনি রাজদানকে বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু তখনও প্রথম স্ত্রী কিরণের সঙ্গে আইনত ডিভোর্স হয়নি তাঁর। তাড়াতাড়ি বিয়েটা করার জন্য তিনি মায়ের মুসলিম ধর্মের সাহায্য নেন।

১১ ১৫
সম্প্রতি ৭০ বছরের মহেশের সঙ্গে ২৬ বছরের বঙ্গ তনয়া রিয়া চক্রবর্তীর সম্পর্ক নিয়ে প্রচুর সমালোচনা হয়। অভিনেত্রী রিয়া দু’জনের একটা অন্তরঙ্গ ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছিলেন ‘‘শুভ জন্মদিন আমার বুড়ো… মহেশ স্যর। এটাই আমরা। তুমি ভালবেসে আমাকে জড়িয়ে ধরেছ, আমাকে ভালবাসা দিয়েছে, তুমি আমার চিরকালের মতো গুটিয়ে রাখা ডানা খুলে দিয়েছে, আমাকে উড়তে শিখিয়েছে… আর কোনও শব্দ আসছে না, তোমাকে ভালবাসি।’’

সম্প্রতি ৭০ বছরের মহেশের সঙ্গে ২৬ বছরের বঙ্গ তনয়া রিয়া চক্রবর্তীর সম্পর্ক নিয়ে প্রচুর সমালোচনা হয়। অভিনেত্রী রিয়া দু’জনের একটা অন্তরঙ্গ ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছিলেন ‘‘শুভ জন্মদিন আমার বুড়ো… মহেশ স্যর। এটাই আমরা। তুমি ভালবেসে আমাকে জড়িয়ে ধরেছ, আমাকে ভালবাসা দিয়েছে, তুমি আমার চিরকালের মতো গুটিয়ে রাখা ডানা খুলে দিয়েছে, আমাকে উড়তে শিখিয়েছে… আর কোনও শব্দ আসছে না, তোমাকে ভালবাসি।’’

১২ ১৫
এই পোস্টের জেরে রিয়াকে যথেষ্ট সমালোচিত হতে হয়েছিল। পরে অবশ্য তিনি বলেন, মহেশ তাঁর শিক্ষক। তাঁর বাবার মতো। কিন্তু তাতেও বন্ধ হয়নি নিন্দার স্রোত।

এই পোস্টের জেরে রিয়াকে যথেষ্ট সমালোচিত হতে হয়েছিল। পরে অবশ্য তিনি বলেন, মহেশ তাঁর শিক্ষক। তাঁর বাবার মতো। কিন্তু তাতেও বন্ধ হয়নি নিন্দার স্রোত।

১৩ ১৫
তবে মহেশের জীবনের সবচেয়ে বড় বিতর্ক হয়েছিল তাঁর মেয়ে পূজা ভট্টকে ঘিরে। একটি ম্যাগাজিনের কভার ফটোশুটে মেয়ে পূজার সঙ্গে অত্যন্ত অন্তরঙ্গ হয়ে ছবি তুলেছিলেন মহেশ।

তবে মহেশের জীবনের সবচেয়ে বড় বিতর্ক হয়েছিল তাঁর মেয়ে পূজা ভট্টকে ঘিরে। একটি ম্যাগাজিনের কভার ফটোশুটে মেয়ে পূজার সঙ্গে অত্যন্ত অন্তরঙ্গ হয়ে ছবি তুলেছিলেন মহেশ।

১৪ ১৫
মেয়েকে কোলে বসিয়ে লিপ-লক করে রয়েছেন তিনি। ছবিটা এমনই ছিল। আর ছবির ক্যাপশনে আবার মহেশ লিখেছিলেন, ‘পূজা যদি আমার মেয়ে না হত, তাহলে আমি তাকে খুশি খুশি বিয়ে করতাম।’

মেয়েকে কোলে বসিয়ে লিপ-লক করে রয়েছেন তিনি। ছবিটা এমনই ছিল। আর ছবির ক্যাপশনে আবার মহেশ লিখেছিলেন, ‘পূজা যদি আমার মেয়ে না হত, তাহলে আমি তাকে খুশি খুশি বিয়ে করতাম।’

১৫ ১৫
সেই ছবি মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। সারা দেশ জুড়েই তুমুল সমালোচনার শিকার হন তাঁরা দুজনেই। কিন্তু এত বিতর্কের পরও মহেশ ভট্ট বা পূজা ভট্ট কেউই এই ছবি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। আর তাতেই আরও বেশি অবাক হয়েছিলেন দেশবাসী। ফলে এখনও তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন রয়েই গিয়েছে।

সেই ছবি মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। সারা দেশ জুড়েই তুমুল সমালোচনার শিকার হন তাঁরা দুজনেই। কিন্তু এত বিতর্কের পরও মহেশ ভট্ট বা পূজা ভট্ট কেউই এই ছবি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। আর তাতেই আরও বেশি অবাক হয়েছিলেন দেশবাসী। ফলে এখনও তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন রয়েই গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy