কাজুও ইশিগুরো।
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন কাজুও ইশিগুরো।
ইশিগুরোর উপন্যাসগুলি তাদের আবেগঘন অনুভূতির জোরে আমাদের এই রহস্যময় পৃথিবীর গহ্বরে লুকিয়ে থাকা শূন্যতার সঙ্গে পরিচয় করায়।
আরও পড়ুন, ফোর্বস তালিকায় ফের দেশের সবচেয়ে ধনী মুকেশ অম্বানি
ইশিগুরোর জন্ম ১৯৫৪ সালে, জাপানের নাগাসাকি শহরে। জাপানে পরমাণু হামলার ঠিক ন’বছর পরে।মাত্র পাঁচ বছর বয়েসে ইশিগুরো চলে আসেন ইংল্যান্ডে তাঁর পরিবারের সঙ্গে। কেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর তিনি ইস্ট অ্যাংলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সৃজনশীল লেখনীতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পান। ইশিগুরোর লেখার ধরণ, চিন্তাভাবনা, এবং তার গল্পের বিষয় সমসাময়িক অনেক লেখকের তুলনায় ব্যতিক্রমী। ১৯৮৯ সালে ‘দ্য রিমেইন্স অব দ্য ডে’ বইয়ের জন্য ইশিগুরো ম্যান বুকার পুরস্কারে ভূষিত হন। অতীত বা ফেলে আসা জীবন ইশিগুরোর উপন্যাসশৈলীর একটি বিশেষ অঙ্গ। দ্য রিমেইন্স অব দ্য ডে-তে সেই একই ছবি বার বার ফিরে আসে— একটি মানুষের বয়ে যাওয়া সময়ের সঙ্গে কথোপোকথন।
আরও পড়ুন, র্যাঙ্কিংয়ে অনেক পিছিয়ে থেকেই বিশ্বকাপ শুরু ভারতের
২০১৬-র একটি সাক্ষাত্কারে ইশিগুরো বলেছিলেন, উদারনৈতিক গণতন্ত্রে সব মানুষ এক নৌকার যাত্রী। তাদের মধ্যে কোনও উঁচু-নীচু নেই। কিন্তু, আমরা এমন একটি সময়ের দিকে এগিয়ে চলেছি, যে দিন অন্যদের তুলনায় কিছু উচ্চতর মানুষ তৈরি হবে। সে দিন সাম্য বলে আর কিছু থাকবে না। ‘নেভার লেট মি গো’তে এমনই একটি সমাজের ছবি তুলে ধরেছেন তিনি। বইটিতে আছে একটি স্কুলের বর্ণনা। আপাত ভাবে স্কুলটি আর পাঁচটি স্কুলের মতো। কিন্তু, সেখানে বড় হওয়া ছাত্রছাত্রীরা আসলে কিছু ‘ক্লোন’, যাদের জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য হল, তাদের ‘অরিজিনাল’দের জন্য নিজেদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করা।
মানব জীবনের রহস্যময় দিকগুলো নিয়ে গল্পের এক সাগর সম্ভার তৈরি করেছেন ইশিগুরো। ‘অ্যান আর্টিস্ট অব দ্য ফ্লোটিং ওয়ার্ল্ড’, ‘দ্য আনকনসোলড’, ‘দ্য বেরিড জায়ান্ট’— এ সব উপন্যাসই তার নিদর্শন বহন করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy