বলিউডি ছবিতে নাগ-নাগিনীর প্রেমকাহিনি বেশ জনপ্রিয়। হিসাব বলছে দশকে দশকে তৈরি হয় এমন কাহিনিনির্ভর ছবি। আর জনপ্রিয়ও হয় সেগুলি। ১৯৭৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘নাগিন’। জিতেন্দ্র-রিনা রায়ের অভিনয় জনপ্রিয়তা দিয়েছিল ছবিকে। ১৯৮৬ সালে মুক্তি পায় শ্রীদেবীর ‘নাগিনা’, সঙ্গী ছিলেন ঋষি কপূর। আর সেই তালিকায় ২০২৬ সালে যুক্ত হতে চলেছে কার্তিক আরিয়ানের ‘নাগজ়িলা: নাগলোক কা পহেলা কাণ্ড’। কর্ণ জোহরের সঙ্গে এটি তাঁর দ্বিতীয় কাজ হতে চলেছে।
মঙ্গলবার সকালে কর্ণ নিজের ইনস্টা হ্যান্ডল থেকে ভাগ করে নেন একটি মোশন পোস্টার। সেখানে সাপের হিসহিসানির সঙ্গে দেখা গিয়েছে কার্তিকের চেহারা, তবে তিনি পিছন ফিরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। কর্ণ লিখেছেনও সে কথা— “মানুষের পশ্চাদ্দেশ তো অনেক দেখে ফেলেছেন, এ বার দেখুন নাগেদের পশ্চাদ্দেশ (ইনসানো ওয়ালি পিচ্ছর তো বহত দেখ লি, অব দেখো নাগোঁ ওয়ালি পিচ্ছর)।”

প্রকাশ্যে এসেছে সর্পবেষ্টিত এমনই এক ছবি। ছবি: সংগৃহীত।
মোশন পোস্টারের সঙ্গে রয়েছে একটি কণ্ঠস্বরও। সে সাফ জানাচ্ছে, নায়ক আসলে এক ইচ্ছাধারী নাগ, নিজের মর্জিমতো যে কোনও রূপ ধরতে পারে। নাম তার প্রিয়ম্বদেশ্বর পেয়ারে চন্দ। বয়স ৬৩১ বছর। মৃগদীপ সিংহ লাম্বার পরিচালনায় এ ছবি দেখা যেতে পারে ২০২৬ সালের ১৪ অগস্ট।
ছবিমুক্তির জন্য এই দিন বেছে নেওয়ার বিশেষ কারণ রয়েছে। ওই দিন নাগপঞ্চমী। এর থেকে বেশি কিছু অবশ্য জানা যায়নি। তবে জিতেন্দ্রর জুতোয় পা গলানো নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে আলোচনা। এর আগে কার্তিকের ‘ভুলভুলাইয়া ৩’ নিয়েও যথেষ্ট আলোচনা হয়েছে। এই মুহূর্তে অভিনেতা ব্যস্ত শ্রীলীলার সঙ্গে তাঁর আসন্ন ছবির শুটিংয়ে। ‘নাগজ়িলা’য় তাঁর সঙ্গে দেখা যাবে কোন নাগিনীকে, তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে, যে ভাবে প্রথম ঝলক প্রকাশ্যে এসেছে তাতে বোঝাই যাচ্ছে রূপকথার আঙ্গিক থাকলেও আদতে হাস্যরসের ছবিই উপহার দিতে চলেছেন কর্ণ।