ছবি মুক্তির আগে বিশেষ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়। যেখানে নির্মাতা ও তাঁদের নিমন্ত্রিত স্বল্প সংখ্যক দর্শক থাকেন। তবে, এই পদ্ধতির বিরোধিতা করেন কর্ণ জোহর ও জ়োয়া আখতার। ‘জ়িন্দেগি না মিলেগি দোবারা’ ছবির বিশেষ প্রদর্শনীতে গিয়ে কটাক্ষের মুখে পড়েছিলেন দু’জনেই। তাঁদের মতে, এই প্রদর্শনীতে যাঁরা আসেন তাঁরা খুব নির্মম ভাবে কথা বলেন। ঠিক কী ঘটেছিল?
ছবি দেখার সময় এক দর্শক চিৎকার করে ওঠেন জ়োয়ার উপর। সেই দর্শক ঘটনাচক্রে প্রযোজকের বাবার বন্ধু। তাঁর কথায়, “কী জঘন্য ছবি! কী হচ্ছেটা কী! কী করছে ওরা? গাড়ি চালাচ্ছে ওরা?” উত্তরে জ়োয়া বলেন, “স্যর, এই ছবিটা আপনার জন্য নয়। এই ছবিটা যাতে আপনার জন্য হয়ে ওঠে, সে রকম কিছুই করতে পারব না আমি।” সেই সময় কিছু যুবক-যুবতী বলে ওঠেন, “আমাদের ভাল লাগছে ছবিটা। আমরা ছবির সঙ্গে একাত্ম হতে পারছি।” দুই পক্ষ ক্রমে তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। সেই সময় সুযোগ বুঝে সরে যান জ়োয়া। একটি সাক্ষাৎকারে এই অভিজ্ঞতার কথা নিজেই জানিয়েছেন তিনি। ‘গাল্লি বয়’ ছবির ক্ষেত্রেও একই ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিলেন জ়োয়া। এক দর্শকের কথায়, “ছবিতে এত বেশি র্যাপ!” উত্তরে জ়োয়া বলেছিলেন, “কারণ র্যাপকে কেন্দ্র করেই এই ছবি।” সেই দর্শক পাল্টা বলেন, “আমি এখানে কী করছি তা হলে!”
এই প্রসঙ্গে কর্ণ জোহরের কথায়, “এই ধরনের প্রদর্শনীতে ছবি দেখে যখন বেরিয়ে আসেন লোকজন, এমন ভাবে সম্পাদনার ঘরের বাইরে আমাদের হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়! কারও মৃত্যু হলে লাইনে সবার শেষে যেমন হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ঠিক সে রকম।” তিনি আরও বলেন, “তাঁদের আচরণ দেখে বোঝা যায় তাঁদের ছবি ভাল লেগেছে কি না। তার পরেও জিজ্ঞেস করতে হয় ছবি নিয়ে তাঁদের ভাবনা কী। উত্তরে তাঁরা কী বলবেন তা নিয়েও দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়।” এই ঘটনার পরে কর্ণ ও জ়োয়া দু’জনেই এই ধরনের প্রদর্শনীতে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। কর্ণের সাফ কথা, “আমি অনেক ছবি বানিয়েছি। এই ধরনের নির্মম প্রতিক্রিয়া শোনার বা জানার প্রয়োজন নেই আমার। নিজেকে এই সবের মধ্যে দিয়ে যেতে দেব কেন!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy