দীর্ঘ দিন কর্মহীন ছিলেন কপিলের সহকর্মী।
অতিমারির জেরে কর্মহীন হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন অভিনেতা তীর্থানন্দ রাও। ঠিক সময়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় বেঁচে ফিরেছেন কপিল শর্মার সহকর্মী। খানিক সুস্থ হওয়ার পরে সংবাদমাধ্যমের কাছে তুলে ধরলেন নিজের অসহায়তার কথা।
তীর্থানন্দ জানিয়েছেন, তাঁর আর্থিক অবস্থা শোচনীয়। ধার শোধের টাকাটুকুও নেই অভিনেতার কাছে। ‘পাও ভাজি’ বলে একটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। সেই ছবি এখনও মুক্তি পায়নি। তীর্থানন্দকেও দেওয়া হয়নি তাঁর পারিশ্রমিক। আক্ষেপ করে তিনি বলেছেন, “না খেয়েও দিন কাটাতে হয়েছে আমাকে। আবার এমনও দিন গিয়েছে যে, শুধু মাত্র একটা বড়া পাও খেয়ে থেকেছি। মনে হয়েছিল, এই সমস্যা থেকে বেরোতে হলে নিজেকে শেষ করে দিতে হবে।”
আত্মহত্যার চেষ্টার আগে নিজের সহকারীকে একটি ভিডিয়ো বার্তা পাঠিয়েছিলেন তীর্থানন্দ। কী বলেছিলেন তিনি? অভিনেতার উত্তর, “জানিয়েছিলাম, আমার কিছু হয়ে গেলে বিরারের যে বাড়িটিতে আমি থাকি, সেটি যেন আমার মেয়েকে দিয়ে দেওয়া হয়। পুরো ঘটনাটি রেকর্ড করার জন্য ফেসবুক লাইভও করেছিলাম। তখনই আমার সহকারী এসে দরজা খুলতে বলে। পুলিশ ডাকা হয় এবং আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।”
শুধু পেশাগত কারণ নয়, ব্যক্তিজীবনের টালমাটালও তীর্থানন্দের আত্মহত্যার ইচ্ছেকে আরও উস্কে দিয়েছিল। দু’দশক আগে এক মহিলার প্রেমে পড়েছিলেন। সেই মহিলা বারে নাচ করতেন। তাঁরা বিয়ে করেননি। তবে একত্রবাস করতেন। ২০০৩ সালে তাঁদের মেয়ে জন্মায়। ২০০৫ সালে তীর্থানন্দের প্রেমিকা আমেরিকায় চলে যান এবং সেখান থেকে বিয়ে করে দেশে ফেরেন।
দু’বছর আগে মেয়ের সঙ্গে শেষ বার কথা বলেছিলেন তীর্থানন্দ। তিনি বলেন, “আমার মেয়ের সঙ্গে আমাকে কথা বলতে দেওয়া হয় ২০১৯ সালে। ওর বিয়ের খবর জানাতে কথা বলেছিল। আমি তখন বিশ্বাস করতে পারিনি। এত তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে আমার সঙ্গী ওর জীবন নষ্ট করে দিল। মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি অনেক বার। কিন্তু ও আমার সঙ্গে কথা বলতে চায় না।” তীর্থানন্দের সঙ্গে তাঁর মা, ভাই-বোনরাও কোনও যোগাযোগ রাখেননি। এমনকি আত্মহত্যার চেষ্টার পরেও অভিনেতার কোনও খোঁজ নেননি তাঁরা।
আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়ে ঠিক করেননি, এ কথা স্বীকার করেছেন তীর্থানন্দ। তাঁর কথায়, “আমি ভুল করেছি। এত বড় পদক্ষেপ করার আগে দ্বিতীয় বার ভাবিনি। আমার শত্রুকেও এমন কাজ করতে দেব না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy