যোগীর চোখের জল কি বাঁচাতে পারবে ‘তেজস’-কে? গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
২০১৫ সালের শেষ দিক থেকে শুরু হয়েছে তাঁর ফ্লপের ধারা। ‘তনু ওয়েডস মনু রিটার্নস’-এর পরে সেই বছরই মুক্তি পেয়েছিল কঙ্গনা রানাউত অভিনীত ছবি ‘কাট্টি বাট্টি’। বক্স অফিসে একেবারেই দাগ কাটতে পারেনি সেই ছবি। তার পরে ‘সিমরন’, ‘জাজমেন্টাল হ্যায় কেয়া’, ‘পাঙ্গা’, ‘থালাইভি’, ‘ধাকড়’-এর মতো ছবিতে কাজ করেছেন কঙ্গনা। এতগুলি ছবি মুক্তি পেয়েছে বটে, তবে সাফল্যের ধারেকাছেও যায়নি একটি ছবিও। চলতি বছরে গত ২৭ অক্টোবর মুক্তি পেয়েছে কঙ্গনার ‘তেজস’। এই ছবি নিয়ে প্রত্যাশা ছিল অনুরাগীদের। শুধু অনুরাগী কেন, কঙ্গনা নিজেও আশায় বুক বেঁধেছিলেন ‘তেজস’ নিয়ে। ২৭ অক্টোবর মুক্তির পরে সেই আশায় জল ঢেলেছে বক্স অফিসের পরিসংখ্যান। সপ্তাহান্তে ৩ কোটির ব্যবসাও ছাড়াতে পারেনি ‘তেজস’। নিজের ছবির প্রচার বাড়াতে সমাজমাধ্যমের পাতায় হাতজোড় করেছেন কঙ্গনা। দর্শকদের অনুরোধ করেছেন প্রেক্ষাগৃহে এসে ছবি দেখতে। এমনকি, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জন্য বিশেষ প্রদর্শনের ব্যবস্থাও করেছিলেন কঙ্গনা। ‘তেজস’ দেখে চোখের জল ফেলেছেন যোগী। তার পরেও নাকি বক্স অফিসে ‘তেজস’ সেই তিমিরেই। এখনও নাকি প্রেক্ষাগৃহে মাছি তাড়াচ্ছে কঙ্গনার ছবি। এমনই খারাপ অবস্থা যে, ‘তেজস’-এর সকালের দিকের শো বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন একাধিক প্রেক্ষাগৃহ কর্তৃপক্ষ।
মুম্বইয়ে তো বটেই, পূর্ণিয়া থেকে সুরতেও একই দশা ‘তেজস’-এর। মুম্বইয়ের নামজাদা ‘গেইটি গ্যালাক্সি’ প্রেক্ষাগৃহের মালিক মনোজ দেশাই জানান, চলতি বছরে কোনও ছবির অবস্থা ‘তেজস’-এর মতো হয়নি। মনোজের কথায়, ‘‘রবিবার, ছুটির দিনেও টেনেটুনে ১০০ জন দর্শক এসেছিলেন। এক একটা শোয়ে ১০-১২ জন করে দর্শক। সোমবার থেকে ৫০ শতাংশের বেশি শো বাতিল করতে হয়েছে। ছবি দেখারই লোক নেই তো।’’ এমনকি মনোজের মতে, ‘১২ ফেল’ ছবি নাকি ‘তেজস’-এর থেকে বেশি ভাল ব্যবসা করছে।
পূর্ণিয়াতেও একই অবস্থা ‘তেজস’-এর। ‘রূপবাণী’ প্রেক্ষাগৃহের মালিক জানান, ‘তেজস’-এর সকালের শো সব বাতিল করতে হয়েছে তাঁকে। তিনি বলেন, ‘‘এই বছরে এই প্রথম সকালের শোয়ের এই অবস্থা। একটাও টিকিট বিক্রি না হওয়ায় ছবি চালানোই যায়নি। অন্যান্য শোয়ের জন্য সর্বসাকুল্যে ২০-৩০ জন এসেছিলেন।’’ সুরতেও কমপক্ষে ১৫টি শো বাতিল হয়েছে ‘তেজস’-এর। ‘দ্য ফ্রাইডে সিনেমা’ মাল্টিপ্লেক্সের মালিক জানান, সপ্তাহান্তে ছ’টি শো চালানোর পরেও কেই ছবি দেখতেই আসেননি। ১০ জন ছবি দেখতে এলেও শো চালু থাকে তাঁর প্রেক্ষাগৃহে। ‘দ্য ফ্রাইডে সিনেমা’ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, চার-পাঁচ জন দর্শকও নাকি আসেননি ‘তেজস’ দেখতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy