কঙ্গনা রানাউত। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
নারী সুরক্ষা নিয়ে যখন সারা দেশে আলোড়ন, তখন কিছু মহিলার দিকেই আঙুল তুললেন কঙ্গনা রানাউত। সম্প্রতি কেরল চলচ্চিত্র জগতের অভিনেত্রীদের সুরক্ষার্থে হেমা কমিটি শিরোনামে এসেছে। বলিউডও কি সেই পথেই হাঁটবে? চলছে বিস্তর আলোচনা। অভিনেত্রীদের সুরক্ষার জন্য বাংলা ছবির জগতেও নয়া পদক্ষেপ করতে চলেছে, ‘সুরক্ষা বন্ধু’। কিন্তু নারী সুরক্ষা নিয়ে সরব হতে গিয়ে হঠাৎ মহিলাদেরই নিশানা করে বসলেন কেন অভিনেত্রী?
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা জানালেন, মহিলাদের পক্ষ নিয়ে অনেক আগেই তিনি সরব হয়েছিলেন, ‘মিটু’ আন্দোলনের সময়। কিন্তু সেই সময় মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে চুপ করে গিয়েছিলেন ওই মহিলারা, দাবি কঙ্গনার। তার পরেও সেই মহিলাদের খোঁজ চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাঁরা বেপাত্তা! হতবাক কঙ্গনা পরে জানতে পারেন, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন মহিলারা, সেই তাঁদের সঙ্গেই ছবি করার চুক্তি করেছেন তাঁরা।
অভিনেত্রীর কথায়, “অভিযোগকারী মহিলাদের মধ্যে মাত্র কয়েকজনই যৌন নির্যাতনের শিকার। বাকিরা নাকি স্বেচ্ছায় সেই যৌন কার্যকলাপে যোগ দিয়েছিলেন।” এ সবের মধ্যে সকলের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন কঙ্গনা। তিনি আরও বললেন, “আমি সেই সব মহিলাদের নিয়ে হতাশ। একা হয়ে গিয়েছিলাম আমি। সকলের পাশে থাকতে গিয়ে উল্টে আমিই সকলের কাছে সমস্যাজনক হয়ে উঠেছিলাম।”
সমগ্র বলিউড ইন্ডাস্ট্রি তখন তাঁর বিপক্ষে দাঁড়িয়ে। কঙ্গনার কথায়, “সেই মহিলারা যখন ফিরে এলেন, আমি তাঁদের উপর চাপ সৃষ্টি করি। অন্যায়ের সঙ্গে যেন তাঁরা আপস না করেন। কিন্তু তাঁরা চুপ ছিলেন। সেই সময় যদি ইন্ডাস্ট্রি ঐক্যবদ্ধ থাকত, তা হলে তখনই বড় পদক্ষেপ করা যেত। তা হয়নি বলেই ইন্ডাস্ট্রির ক্ষমতাবান লোকজন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা এনে জেলে পাঠানোর চেষ্টা করেছিল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy