এ বার মঞ্চে প্রকাশ্যে শ্রীময়ী-কাঞ্চন
নবমী নিশিতে ফ্রেমের প্রেমে পড়েছিলেন তাঁরা। সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসার বহু দিন পরে নিজেদের এক ফ্রেমে বন্দিও করেছিলেন। তার পর বাকি পুজো কেটেছে এক সঙ্গেই। ছবি দিয়েছেন আলাদা ভাবে। তবু একই নেপথ্য দৃশ্য দিব্যি বুঝিয়ে দিয়েছে, তাঁদের উপস্থিতি এক জায়গাতেই। সব আড়াল ঘুচিয়ে রবিবার, পুরভোটের সন্ধেয় মঞ্চে যুগলে উষ্ণতা ছড়ালেন কাঞ্চন মল্লিক-শ্রীময়ী চট্টরাজ। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম বলছে, বর্ধমানের কালনায় দেখা গিয়েছে জুটিকে।
লাল রঙের শীত পোশাক, খোলা চুল, হাল্কা রূপটান। শ্রীময়ী যথারীতি মোহময়ী। উত্তরপাড়ার বিধায়কের পরনে চামড়ার জ্যাকেট, জিন্স। মঞ্চ সাজানো নীল-সাদা কাপড়ে। অর্থাৎ, শাসক দলের মঞ্চেই এ বার যুগলে জনসমক্ষে। ভাগ করে নেওয়া ঝলক বলছে, দর্শকেরাও তাঁদের একসঙ্গে দেখে যথেষ্ট উত্তেজিত। অনুরাগীদের সান্নিধ্যে এসে কী উপলব্ধি শ্রীময়ীর? লিখেছেন, ‘আমরা, অর্থাৎ শিল্পীরা বেঁচে থাকি দর্শকদের জন্য। তোমরা ভালোবেসে আমাদের আপন করে নাও বলেই শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষায় আমরা পরিশ্রম করি।’ এই মুহূর্তে তিনি ‘খুকুমণি হোম ডেলিভারি’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন।
তখনও শ্রীময়ী-কাঞ্চন-পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিকোণ তেমন ভাবে প্রকাশ্যে আসেনি। সেই সময়েও এই যুগলকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল মায়াপুরে। আনন্দবাজার অনলাইনকে সে সময়ে কাঞ্চন জানিয়েছিলেন, তাঁরা ‘মাচা’ করতে একসঙ্গে মায়াপুরে গিয়েছিলেন। বিধায়কের স্ত্রী পিঙ্কি যদিও পাল্টা জবাবে অভিযোগ করেন, অতিমারির সময়ে সব বন্ধ। আর তাঁরা মঞ্চানুষ্ঠান করছেন! তাঁর দাবি, এ ভাবে নাকি ওঁরা আগেও অনেক জায়গাতেই গিয়েছেন। তখনও কাঞ্চন বলেছেন, অনুষ্ঠান করতে গিয়েছিলেন।
এ বার প্রকাশ্যে এসে, ঝলক ভাগ করে নিয়ে কি নতুন বছরে নতুন বার্তা দিতে চলেছেন যুগলে?
কাঞ্চন বা শ্রীময়ী কেউই আনন্দবাজার অনলাইনের ফোনে সাড়া দেননি। কথা বলেছেন পিঙ্কি। তাঁর কথায়, ‘‘আমার মা-বাবা, ভাই-ছেলেকে নিয়ে নিজের মতো করে জীবন গুছিয়ে নিয়েছি। জানি, ঝড় উঠবে। বারেবারে অতীত সামনে এসে দাঁড়াবে। আমি ভেঙে পড়ব না।’’ পাশাপাশি, এক্ষুণি এই ত্রিকোণ সম্পর্ক নিয়েও কিচ্ছু বলতে রাজি নন তিনি। জানিয়েছেন, সময় এলে সবাই সব কিছু জানতে পারবেন। আপাতত চতুর্থ শ্রেণিতে উঠতে চলা একমাত্র ছেলেকে আঁকড়ে লড়াই চালাচ্ছেন পিঙ্কি। উচ্ছ্বসিত গলায় জানিয়েছেন, ‘‘২৪ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে ‘টনিক’। এই ছবিতে আমার চরিত্রের নাম ‘ফুলটুসি’। ছবির মুখ্য অভিনেতা পরাণদার বাড়ির পরিচারিকার চরিত্র। আমার বিপরীতে দেখা যাবে বিশ্বনাথ বসুকে।’’ সদ্য শেষ করেছেন ‘মেয়েদের ব্রতকথা’ ধারাবাহিক। নতুন বছরে এক মুঠো কাজের কথা চলছে। সই-সাবুদের আগে যদিও সে সব জানাতে নারাজ পিঙ্কি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy