তাঁর আগে অমিত কুমার একই কথা বলেছিলেন। জানিয়েছিলেন, মোটা অর্থের বিনিময়ে বিচারকেরা প্রতিযোগীদের ভুয়ো প্রশংসা করেন। চিত্রনাট্য মেনে অনুষ্ঠান চলার সময়ে কেঁদেও ফেলেন! সবটাই দর্শকদের মনোযোগ বাড়াতে। এ বার সেই কথা বললেন আরও এক প্রথম সারির গায়ক কৈলাস খের। এক বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। বললেন, “নামেই গানের রিয়্যালিটি শো। সঙ্গীতের সঙ্গে দূরদূরান্তে কোনও যোগ নেই। সঙ্গীতের ‘স’-ও নেই সেখানে। পুরোটাই পণ্য!”
এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ছোট পর্দায় রিয়্যালিটি শো-এর রমরমা। জনমানসে এই ধরনের শো ঘিরে প্রচণ্ড উন্মাদনা। তারকাদের উপস্থিতি, বিচারক হিসেবে তাঁদের অংশগ্রহণ, জাতীয় স্তরের মঞ্চে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ এবং প্রতিযোগিতায় ভাল ফল করতে পারলে মুঠোভর্তি পুরস্কার— হাতছানি দেয় আট থেকে আশিকে। পাশাপাশি, একাধিক জনপ্রিয় শিল্পী এই অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে উঠে এসেছেন। যেমন, সোনু নিগম, শ্রেয়া ঘোষাল, সুনিধি চৌহান, নেহা কক্কর, অরিজিৎ সিংহ। এত সম্ভাবনা যেখানে, সেই মঞ্চ থেকে দীর্ঘ দিন দূরে কৈলাস। কেন? বইপ্রকাশের মঞ্চে জানতে চান সঞ্চালক।
আরও পড়ুন:
তখনই বিরক্তিতে ফেটে পড়েন গায়ক। বলেন, “ছায়াছবির গানের বাইরে অন্য ধারার গানের কোনও জায়গাই নেই এই শো-তে। তাও স্রেফ প্রচারের উদ্দেশ্য নিয়ে। আসলে এই ধরনের শোগুলোতে ভেলপুরি বিক্রি হয়। বড় বড় তারকাদের আনা হয় তাঁদের জনপ্রিয়তা ব্যবহারের স্বার্থে। আমি নিজে অংশ নিয়ে দেখেছি।”
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে জাভেদ আখতার, অনু মালিক এবং সোনালি বেন্দ্রের সঙ্গে ‘ইন্ডিয়ান আইডল ৪’-এ বিচারকের আসনে বসেছিলেন কৈলাস। তখনও এই রিয়্যালিটি শো নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। সেই সময় কৈলাসকে ‘সারেগামাপা লিটল চ্যাম্পস’, ‘মিশন ওস্তাদ’ ‘রক অন’-সহ নানা জনপ্রিয় শো-তে বিচারক হিসেবে দেখা যেত। তার পর থেকে টানা ১৫ বছর তিনি আর এই আসনে বসেননি।