‘মা’ হচ্ছেন কাদম্বিনী!
খুশির খবর দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে। ‘মা’ হচ্ছেন কাদম্বিনী! সবাই যখন মোহর-শঙ্খ, গুনগুন-সৌজন্যের বিয়ে নিয়ে ব্যস্ত তখন সংগোপনে নতুন করে প্রেমে পড়েছিলেন দ্বারকানাথ-কাদম্বিনী। এ বার খবর এল কাদম্বিনীর মা হওয়ার। যদিও দ্বারকানাথ এর বিন্দুবিসর্গও জানেন না। এ দিকে খবর ছড়াতেই বাড়িতে খুশি আর বিড়ম্বনা এক সঙ্গে, ‘মাইয়্যা মানুষ হইয়্যা কলেজে গিয়া ডাক্তারি পড়ছস। কিন্তু প্রথম পোয়াতি হইয়্যা কলেজে গিয়া ডাক্তারি পড়বি ক্যামনে?’
দ্বারকানাথ তাঁর ছাত্রীকে আগাগোড়াই ভীষণ ভালবাসতেন। অসময়ে তাঁর স্ত্রী-র মৃত্যু হলে সংসার, নাবালক সন্তানদের দায়িত্ব কাদম্বিনীও নিজের কাঁধে তুলে নেন। হাজার সমালোচনা এড়িয়ে ব্রাহ্ম মতে বিয়েও হয় তাঁদের। কাদম্বিনীর ডাক্তারি পড়া সফল করতে তাঁদের প্রায় নিস্তরঙ্গ জীবনে হঠাৎই প্রেমের জোয়ার আনে থিয়েটার। নাটক দেখতে গিয়ে কাদম্বিনী চিকিৎসার জন্য নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন নটী বিনোদিনীকে। নাটক দেখতে যাওয়ার সময় বিনির সাজগোজ ধ্যান ভঙ্গ করে দ্বারকানাথের সংলাপ, ‘বাহ, সাজলে তো তোমায় বেশ দেখায়!’
এ ভাবে হঠাৎ আসা ভালবাসাকে নিজের শরীরে জড়িয়ে নিতেই নতুন প্রাণের সাড়া শুনতে পান কাদম্বিনী। ছাদে আচমকা অজ্ঞান হয়ে পড়তেই শাশুড়ি মা বুঝতে পারেন, ‘আমার মনে হয় ছোট বৌয়ের পোলা হইব।’
এই ধারাবাহিক নিয়ে কিন্তু দর্শকদের কোনও অভিযোগ নেই। বরং সম্প্রচারণের সময় বদলাতেই মনঃক্ষুণ্ণ সবাই, ‘একটা ধারাবাহিকেই সবাই যথাযথ অভিনয় করছেন। অতিনাটকীয়তাও নেই। বেছে বেছে সেই ধারাবাহিকের সময়ই বদলাতে হল?’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy