জন আব্রাহাম
ওটিটি প্ল্যাটফর্মে হিন্দি ছবির মুক্তি পাওয়া নিয়ে অভিনেতা-পরিচালক-প্রযোজকদের মধ্যে তরজা রয়েছে। সেই তরজাকে বোধহয় আরও একপ্রস্ত উস্কে দিলেন জন আব্রাহাম। কারণ তিনি শুধু অভিনেতা নন, প্রযোজকও বটে।
আগামিকাল সিনেমা হলে মুক্তি পাবে সঞ্জয় গুপ্ত পরিচালিত ‘মুম্বই সাগা’, যেখানে মুখ্য চরিত্রে জন এবং ইমরান হাশমি। গত বছর প্রথম পর্যায়ের লকডাউন শিথিল হওয়ার পরে আউটডোরে গিয়েছিল এই ছবির টিম। ছবির মুক্তি নিয়ে অ্যামাজ়ন প্রাইমের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু হওয়ার পরে জন নিজের উদ্যোগে প্রযোজক ভূষণকুমার এবং পরিচালকের সঙ্গে আলোচনা করেন। সিনেমা হলে ছবি রিলিজ় হোক, সেটাই ছিল তাঁর দাবি।
সিনেমা হলের পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল জনের যুক্তি, ‘‘সিনেমা হলে মুক্তি পেলেও, এখন কোনও ছবি তেমন ব্যবসা করবে না, যেমন ২০১৯ সালে করত। তবে অতিমারিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করব না। ইন্ডাস্ট্রিতে এটা প্রচলিত কথা, যে অভিনেতাদের আত্মবিশ্বাস নেই, তাঁরাই ওটিটি মুক্তির পক্ষে সায় দিচ্ছেন। ওটিটিতে মুক্তিপ্রাপ্ত ৯০ শতাংশ ছবি খারাপ ছিল। আমার ছবি অসাধারণ, এমন দাবি করছি না। কিন্তু ব্যর্থতার ভয় অন্তত নেই।’’
গ্যাংস্টার ড্রামার দর্শক বরাবরই থাকেন। তবে জনের এই ছবির চরিত্র তাঁর পুরনো এক ছবির কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। অভিনেতা নিজেই সে কথা বলছেন, ‘‘এই ছবিতে আমার কপালে তিলক আঁকা, যেমনটা ‘শুটআউট অ্যাট ওয়াডালা’-য় ছিল। দর্শকের মনে হতে পারে, পুনরাবৃত্তি। কিন্তু সেই ঝুঁকি নিয়েও বলব, পরিচালকের দৃষ্টিভঙ্গিতে আমার ও ইমরানের চরিত্রের দ্বৈরথ এই ছবির নতুনত্ব হবে।’’
অভিনেতা হিসেবে দড় না হলেও, প্রযোজক হিসেবে জন কিন্তু নিজের জায়গা তৈরি করেছেন। বড় ব্যানার, নামী পরিচালকের সঙ্গে কাজের প্রলোভনকে দূরে সরিয়ে জনের যুক্তি, ‘‘বড় পরিচালকের কাছে গিয়ে আমি কাজ চাইতে পারব না। এটা ইগো নয়, আত্মসম্মানের প্রশ্ন। আমি যা রোজগার করি, তা নিয়ে আমি খুশি।’’
সিনেমা হলে ছবি মুক্তির জন্য সলমন খানের কাছে চিঠি লিখে প্রস্তাব দিয়েছিলেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের এগজ়িবিটররা। সলমনের স্টারভ্যালুর সঙ্গে জনের তুলনা হয় না। তবে সিনেমা হলের মরা গাঙের দিনে জনের এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy