ঋতুপর্ণের অবদানের কথা স্বীকার করলেন যিশু।
ঝুলিতে একাধিক সফল বাংলা ছবি। তার পর টালিগঞ্জ পেরিয়ে সোজা বলিউড। আটকে থাকেননি সেখানেও। আপাতত দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতেও চেনা মুখ তিনি। অথচ এই যিশু সেনগুপ্তের গায়েই এক সময় সেঁটে দেওয়া হয় ‘অপয়া’ তকমা। তিনি অভিনয় করলেই নাকি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়বে সেই ছবি।
এর পরেও টিকে থেকেছেন। পেরিয়েছেন দীর্ঘ পথ। দেখেছেন সাফল্য। আজ আর মনে পড়ে অতীতের সেই সব কটাক্ষ?
যিশুর উত্তর, “এই জিনিসগুলো আমাকে খুব একটা ভাবায় না। আমি তখনও বিশেষ ভাবিনি। আজও ভাবি না। আমি পিছন ফিরে তাকাতে ভালবাসি না। যা ঘটে গিয়েছে, তা আমি বদলাতে পারব না। আমি ভবিষ্যৎ নিয়েও ভাবি না। কারণ আমি আমার ভবিষ্যৎ আমি দেখিনি। সব কিছু নিয়ে পরিকল্পনা করা সম্ভব নয়।”
অভিনয় জগতে কাটিয়ে ফেলেছেন দু’দশকেরও বেশি সময়। অভিজ্ঞতাও নেহাত কম নয়। যিশুর কথায়, “অভিনয় আমি নিজে শিখেছি। সে অর্থে আমাকে কেউ অভিনয় শিখিয়ে দেয়নি।” কিন্তু যিশু মনে করেন, তাঁর অভিনেতা থেকে ‘ভাল’ অভিনেতা হয়ে ওঠার নেপথ্যে রয়েছেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। তাঁর কথায়, “ঋতুদা আমার ভাবনা বদলে দিয়েছে। কোনও চরিত্র করার সময় কী ভাবে ভাবতে হবে, সেই পদ্ধতিটা বদলে দিয়েছে। আমার মনে হয় যেটুকু ভাল করতে পারি, তা ওই শিক্ষাগুলির জন্যই। ঋতুদা আমার শিক্ষক। অভিনয় শেখার স্কুলে যাইনি। কিন্তু ঋতুদার ছবিতে অভিনয় করেই অনেক কিছু শিখেছি।”
ঋতুপর্ণের আকস্মিক মৃত্যু মানতে পারেননি যিশু। ভেবেছিলেন, পরিচালকের প্রয়াণের সঙ্গেই শেষ তাঁর অভিনয় যাত্রা। তিনি বললেন, “ঋতুদা চলে যাওয়ার পর ভেবেছিলাম কেউ আর আমাকে কাজে নেবেন না। আমি আট-ন’মাস বাড়িতে বসেছিলাম। এর পর সৃজিত আমাকে ‘জাতিস্মর’ ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেয়।”
পেশাগত জীবনের ওঠাপড়ায় মানসিক অবসাদে ভুগেছেন যিশু। অনেক কিছু খারাপ লাগলেও মেনে নিয়েছেন নিঃশব্দে। কিন্তু আবার সে সব কিছু কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। বারবার প্রমাণ করেছেন নিজেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy