Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Jiah Khan

প্রয়াত অভিনেত্রীকে জনসমক্ষে অন্তর্বাস খুলে ফেলতে বলেছিলেন পরিচালক!

বসে থাকার ধরন দেখে সাজিদ বলেছিলেন, করিশ্মা যৌনতার ইঙ্গিত দিতে চাইছে। জিয়া মরিয়ার মতো সাজিদকে বোঝাতে চেষ্টা করেন যে, করিশ্মা বড্ডই ছোট। ও জানে না এ সব কিছু। ওকে যেন ছেড়ে দেওয়া হয়।

পরিচালক সাজিদ খান ও জিয়া খান

পরিচালক সাজিদ খান ও জিয়া খান ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২১ ১৭:২১
Share: Save:

প্রয়াত অভিনেত্রী জিয়া খানকে যৌন হেনস্থা করেছিলেন পরিচালক সাজিদ খান। জিয়ার মৃত্যুর প্রায় সাড়ে ৭ বছর পর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন জিয়ার বোন।

সম্প্রতি ৩টি ভাগে একটি তথ্যচিত্র বানিয়েছে বিবিসি। শিরোনাম, ‘ডেথ ইন বলিউড’। জিয়ার রহস্যমৃত্যু নিয়েও কথা বলা হয়েছে এই ছবিতে। সেখানে জিয়ার বোন করিশ্মা একটি সাক্ষাৎকারে জনসমক্ষে তুলে আনলেন কঠিন বাস্তব।

ফারহা খানের ভাই পরিচালক সাজিদ খানের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক মিটু অভিযোগ উঠেছে। অভিনেত্রী-মডেল সলোনি চোপড়া, র‍্যাচেল হোয়াইট, ডিম্পল পল এবং এক সাংবাদিক— এঁরা সবাই এক এক করে সাজিদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। অভিনেত্রী সলোনি চোপড়া তাঁর সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। মানসিক ভাবে, শারীরিক ভাবে তাঁকে সাজিদ হেনস্থা করতেন দিনের পর দিন। সাজিদ এমনকি তাঁকে নিজের যৌনাঙ্গেও হাত দিতে বলতেন। ডিম্পলকে বলেছিলেন, জামাকাপড় খুলে দাঁড়াতে, না হলে ‘হাউসফুল’ ছবিতে তাঁকে কাজ দেবেন না তিনি।

সেই সাজিদ খানকে নিয়ে আরও একটি বিতর্কিত ঘটনা সামনে এল বিবিসির তথ্যচিত্রের দৌলতে। এ বারে তাঁর শিকারের তালিকায় নাম উঠল প্রয়াত অভিনেত্রীর। ২০১৩ সালে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় জিয়া খানের। যা নিয়ে এখনও মামলা চলছে আদালতে। জিয়ার মায়ের অভিযোগ, জিয়ার মৃত্যুর পিছনে হাত রয়েছে তাঁর তৎকালীন প্রেমিক সূর্য পাঞ্চোলির। কিন্তু অভিযুক্তর দাবি, জিয়া ‌আত্মহত্যা করেছেন। সেই নিয়ে বিস্তারিত কথা রয়েছে তথ্যচিত্রে।

জিয়ার বোন করিশ্মার সূত্রে জানা গেল, ‘হাউসফুল’ ছবির শ্যুটের সময়ে অত্যন্ত অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন জিয়া খান। সাজিদের সঙ্গে তাঁর চুক্তি ছিল। দৃশ্যের মহড়ার সময়ে সাজিদ তাঁকে টপ খুলতে বলতেন, এমনকি তার পর অন্তর্বাস-ও খুলে ফেলতে বলতেন। জিয়া চেষ্টা করতেন, যাতে সে সব করতে না হয়। তিনি বলতেন, সিনেমার শ্যুট শুরু হলে তিনি করবেন। কিন্তু সে সব শুনতেন না সাজিদ। বাড়ি ফিরে কান্নাকাটি করতেন জিয়া। তাঁর কথা না শুনলে চুক্তি ভেঙে দেবেন, আবার শুনলে তিনি যৌন হেনস্থার শিকার হবেন। সবেতেই তাঁরই হার হবে। মানসিক যন্ত্রণা নিয়েই ছবিতে কাজ করেন জিয়া।

করিশ্মা নিজের একটি অভিজ্ঞতার কথাও জানিয়েছেন। মাত্র ১৬ বছর বয়স তখন করিশ্মার। দিদি জিয়ার সঙ্গে সাজিদের বাড়ি গিয়েছিলেন করিশ্মা। তাঁর বসে থাকার ধরন দেখে সাজিদ বলেছিলেন, করিশ্মা যৌনতার ইঙ্গিত দিতে চাইছে। জিয়া মরিয়ার মতো সাজিদকে বোঝাতে চেষ্টা করেন যে, করিশ্মা বড্ডই ছোট। ও জানে না এ সব কিছু। ওকে যেন ছেড়ে দেওয়া হয়।

ভিডিয়োটি মুক্তি পেতেই কঙ্গনা রানাউত সহ বহু নেটাগিরক ও তারকা সেটিকে শেয়ার করেন নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ায়। সকলেই তাঁদের ক্যাপশনের মাধ্যমে মনে করালেন যে, এক জন নির্যাতনকারী হয়েও সাজিদ খান কখনও গ্রেফতার হননি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE