ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী
যে দৃশ্যর কথা এখন বলা হচ্ছে, সেটা কোনও ছবির নয়, বরং ছবির দৃশ্য তৈরির দৃশ্য। সময়কাল, বাবা যাদব পরিচালিত ‘বস টু’ ছবির শুটিংয়ের প্রথম দিন। লাইট, সাউন্ড, ক্যামেরা, অ্যাকশন বলার আগে ছবির পরিচালক ইউনিটের সকলকে উৎসাহ দিতে চেঁচিয়ে উঠলেন, ‘সুরিয়া-সুরিয়া’ (মুখ্য চরিত্রের নাম। যার ভূমিকায় জিৎ)। বাকি সকলে তাঁর সঙ্গে সুর মেলালেন। উৎসাহ-ধ্বনি থামতেই ছবির এক সহশিল্পী (যিনি আগের ছবিতেও ছিলেন) বাবা যাদবকে বললেন, ‘‘আপনার একটু ভুল হচ্ছে যাদবজি!’’ ‘‘কী রকম?’’ চমকে উঠে বাবা যাদবের প্রশ্ন। ‘‘ ‘বস’ এর শ্যুট শুরু হওয়ার আগে ‘সুরিয়া-সুরিয়া’ করে উৎসাহ-ধ্বনি দিতেন। সেটা ঠিক ছিল। কারণ, ‘বস’ দক্ষিণী ছবির রিমেক। কিন্তু ‘বস টু’ আর রিমেক নয়। এটি জিৎদার মস্তিষ্কপ্রসূত হান্ড্রেড পারসেন্ট অরিজিনাল বাংলা ছবি! সুতরাং সুরিয়া না বলে ‘সূর্য-সূর্য’ বলুন,’’ সহশিল্পীর উত্তর।
মেনে নিলেন পরিচালকমশাই। কিন্তু ততক্ষণে ক্যামেরার পিছনে এই গল্পের ক্যাচ লাইনটি ক্যাচ করে ফেলেছে ‘আনন্দ প্লাস’।
‘বস টু’ কি সত্যি জিতের মস্তিষ্কপ্রসূত? তাইল্যান্ডে ছবির শ্যুট করতে যাওয়ার আগে প্রশ্নটি শুনেই মিষ্টি হেসে জিৎ বললেন, ‘‘ঠিক সময়ে বলব। এখনই কিছু বলা যাবে না।’’ কিন্তু প্রতিবেদকের চাপাচাপিতে তিনি মুখ খুললেন। বললেন, ‘‘এটা টিম ওয়ার্ক। সকলে মিলে বসে ‘বস টু’-এর গল্পটা ম্যাচিউর করা হয়েছে। ‘বস’-এর সিকুয়েল করার কথা ভাবছিলাম। ভাবতে-ভাবতেই স্টোরি লাইনটা মাথার মধ্যে খেলে গেল। সেটাই নারচার করা হয়েছে।’’ খাতা-পেনসিল নিয়ে গল্পটা হয়তো জিৎ লেখেননি কিন্তু আইডিয়াটা যে তাঁর সেটা আর অজানা থাকল না।
অভিনেতা জিৎ, প্রযোজক জিৎ আরও একধাপ উঠলেন। অভিনেতা-প্রযোজকের পাশাপাশি এবার তিনি গল্পকার জিৎও। ‘বস টু’ বাংলা ছবিতে প্রথম কমার্শিয়াল সিকুয়েল হতে চলেছে। আর সেটার ফিতে কাটলেন জিৎ। এবার কি তা হলে আশা করা যায় বাংলা কমার্শিয়াল ছবি ‘রিমেক’ তকমা থেকে বেরতে পারবে? জিতের দেখানো পথে কি হাঁটতে শুরু করবে টলিউড?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy