জিৎ
গত রবিবার থেকে জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বর্তমান ঠিকানা কলকাতার পাঁচতারা হোটেল। কিছু দিনের মধ্যেই তিনি কালার্স বাংলায় রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত-প্রযোজিত গানের নতুন রিয়্যালিটি শো ‘সঙ্গীতের মহাযুদ্ধ’-এর অন্যতম বিচারক। বুধবার শো-এর ফটোশ্যুটে ব্যস্ত থাকবেন সারা দিন। প্রতিযোগিতায় তাঁর সঙ্গী বিচারক উস্তাদ রশিদ খান। সঞ্চালনায় মীর আফসার আলি।
বিচারকের আসনে বসার আগে ‘ইন্ডিয়ান আইডল’ বিতর্ক মাথায় আদৌ ঘুরপাক খাচ্ছে? সেই সূত্র ধরেই জিৎ আনন্দবাজার অনলাইনকে স্পষ্ট জানালেন, ‘‘যা নিজের চোখে দেখিনি তা নিয়ে কিছু বলতে পারব না। তবে বিচার করতে বসে আমি প্রতিযোগীদের যেমন টিপস দেব দরকারে বকাঝকাও করব’’।
রাজ চক্রবর্তীর শো-এর প্রতিযোগীরা অন্যান্য শো-এর প্রতিযোগীদের মতো আনকোরা নন। সঙ্গীতের মহাযুদ্ধে যাঁরা নামতে চলেছেন তাঁরা রীতিমতো পোড় খাওয়া। সৌম্য চক্রবর্তী, আরফিন রানা, প্রীতম রায়, সুমন মজুমদার, শালিনী মুখোপাধ্যায়, রাহুল দত্ত, রাজদীপ মুখোপাধ্যায়, শ্রায়ী পাল, দিলাশা চৌধুরী, অহিনজিতা ঘোষ, স্বয়ম পাল, হৃতি টিকাদার, সুপ্রতীপ ভট্টাচার্য নানা প্রতিযোগিতায় জিতে ফেরা শিল্পী। এই ১৬ জন রিয়্যালিটি শো-এর অংশগ্রহণকারী। সুপ্রতীপ ইতিমধ্যেই জিতের সুর দেওয়া ‘চ্যাম্প’ ছবির শীর্ষ সঙ্গীত গেয়েছেন। তাই সুরকার অনেকটাই আশ্বস্ত এঁদের নিয়ে।
অভিজ্ঞ প্রতিযোগী মানেই শো-এ কান্নাকাটি, মান-অভিমান, রাগারাগি নেই। পারফর্মে সবাই নিখুঁত হবেন। ‘মহাযুদ্ধ’ পুরো ঝকঝকে, প্রফেশনাল? ‘‘একেবারেই তা নয়’’, প্রতিবাদ জিতের। তাঁর দাবি, গানের রিয়্যালিটি শো যেমন হওয়া উচিত তেমনই হবে। বিচারকেরা ভুল ধরিয়ে দেবেন প্রতিযোগীদের। ভাল গাইলে বাহবা দেবেন। পরিস্থিতি বুঝে শাসনও করবেন। অযথা পিঠ চাপড়াবেন না!
আর আগে থেকেই যদি বিচারকদের অর্থের বিনিময়ে সেরা প্রতিযোগী বেছে নেন? জানিয়ে দেন তাঁদের পছন্দ-অপছন্দ? সেখানে কি প্রকৃত প্রতিভা স্বীকৃতি পাবে? এমন অভিযোগ কিন্তু ইতিমধ্যেই উঠেছে জি বাংলার গানের রিয়্যালিটি শো ‘সারেগামাপা’ -এর বিরুদ্ধে। জিত এ বারেও স্পষ্টবক্তা, ‘‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর কথা বলতে পারব না। আমি এর আগে চার বার রিয়্যালিটি শো-এর বিচারক হয়েছি। ‘সারেগামাপা’, ‘সুপার সিঙ্গার’, ‘সুপার সিঙ্গার জুনিয়র’, ‘গুরুকুল’-এ। কেউ আমায় এই ধরনের প্রস্তাব দেননি। এখানেও সেটা হবে না।’’ আগামী দিনে যদি এই ধরনের প্রস্তাব আসে, কী করবেন সুরকার? সাফ জবাব এল, ‘‘ভদ্র ভাবে দরজা দেখিয়ে দেব। টাকা দিয়ে সব কেনা গেলেও সঙ্গীত কেনা যায় না! নিজেকে ভবিষ্যতে প্রমাণও করা যায় না।’’
পাশাপাশি জিতের আশ্বাস, ‘‘লকডাউন উঠছে। হিন্দি-বাংলায় আবার ছবির কাজ শুরু হচ্ছে। আমি যে সব ছবির সুরকার, সেই ছবিগুলোয় প্রতিযোগিতায় সেরাদের কণ্ঠ শুনতে পাবেন সবাই। প্রতিযোগীদের জন্য বিচারক হিসেবে এটাই হবে আমার উপহার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy