ঐশ্বর্যা-জয়া। ছবি: সংগৃহীত।
বছর কয়েকের প্রেমের পর ২০০৭ সালে অমিতাভ বচ্চনের পুত্র অভিষেক বচ্চনকে বিয়ের করেন ঐশ্বর্যা রাই। ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে বচ্চন পরিবারের বৌমা তিনি। ২০১১ সালে জন্ম দেন মেয়ে আরাধ্যা বচ্চনের। বলিউডের অন্যতম নামজাদা পরিবারের সদস্য প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী বলিউড অভিনেত্রী। গত প্রায় দু’দশকের পথচলায় একাধিক বার বিভিন্ন ধরনের গুঞ্জন তৈরি হয়েছে বচ্চন পরিবারকে ঘিরে। শাশুড়ি জয়া বচ্চনের সঙ্গে নাকি একেবারেই বনিবনা হয় না ঐশ্বর্যার, বার বার এমন কানাঘুষো শোনা গিয়েছে। যদিও জনসমক্ষে কখনও সেই জল্পনার প্রমাণ মেলেনি। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান থেকে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানেও শাশুড়ির পাশেই দেখা গিয়েছে বৌমাকে। তবে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কানাঘুষো, বচ্চন পরিবারের অন্দরে নাকি চরমে পৌঁছেছে অসন্তোষ। শাশুড়ি-বৌমার সম্পর্ক নাকি দিন দিন আরও তিক্ত হচ্ছে। জয়ার সঙ্গে ঐশ্বর্যার সম্পর্কের অবনতির নেপথ্যে ঠিক কী কারণ?
খবর, বচ্চন পরিবারে বিয়ের হওয়ার পর থেকেই নাকি বচ্চনদের ‘পরম্পরা’-য় ঐশ্বর্যাকে গড়েপিটে নিতে চেয়েছেন জয়া। বলিউডের অন্যতম নামজাদা পরিবার বচ্চন পরিবার। পরিবারের বিশেষ রীতিনীতি তো আছেই। পাশাপাশি, বিনোদন জগতে নিজেদের ভাবমূর্তি রক্ষা করার দায়ও বর্তায় পরিবারের সদস্যদের ঘাড়েই। সে কথা মাথায় রেখেই নাকি ঐশ্বর্যাকে আদর্শ বৌমা হিসাবে তৈরি করতে চেয়েছিলেন শাশুড়ি জয়া। ‘কফি উইথ কর্ণ’-এর এক পর্বে এমন ইচ্ছাপ্রকাশও করেন জয়া। তাঁর কথায়, ‘‘আমি তো চাই-ই ঐশ্বর্যা বেশ কিছুটা দায়িত্ব নিক, তা হলে আমার কাঁধটা একটু হালকা হয়।’’ যদিও মায়ের এই ইচ্ছায় তেমন একটা সায় নেই মেয়ে ও ঐশ্বর্যার ননদ শ্বেতার। বরং শ্বেতার কথায়, ‘‘এটা উচিত নয়। ঐশ্বর্যাকে সময় তো দিতে হবে যাতে ধীরে ধীরে ও বচ্চন পরিবারের সব রেওয়াজ আপন করে নিতে পারে!’’ শ্বশুরবাড়ির খ্যাতির যে বেশ চাপ তৈরি করেছে ঐশ্বর্যার উপর, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সেই চাপে পড়েই কি ‘বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ’ তকমা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চান প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী? বাড়ছে সেই জল্পনা।
গত ১১ অক্টোবর বিগ বি-র জন্মদিনে ছবি বিতর্কের পর প্রকাশ্যে এসেছে বচ্চন পরিবারের অন্দরের চিড়। যদিও বৌমাকে নিয়ে জনসমক্ষে কখনও তেমন কোনও অভিযোগ করেননি অমিতাভ বা জয়া কেউই। এমনকি, অভিষেকের মতে বাড়ির বেশির ভাগ দায়িত্ব নাকি নিজের কাঁধেই তুলে নেন ঐশ্বর্যা। তার পরেও কি শ্বশুর-শাশুড়ির মন ভরাতে পারছেন না নায়িকা? এই প্রশ্ন ঘিরেই বাড়ছে কৌতূহল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy