অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বরাবরই অকপট রেখা। একাধিক জায়গায় বিগ বি-কে নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। কিন্তু অমিতাভ আজও এ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও কথা বলেননি। একদা প্রথম সারির দুই নায়ক-নায়িকার ‘প্রেম’-এর গুঞ্জনে মুখর ছিল বলিউড। যদিও এই দুই নামের সঙ্গে আরও এক নাম জড়িয়ে, জয়া বচ্চন। ১৯৭৩ সাল থেকে ২০২৩, দাম্পত্যজীবনের লম্বা ইনিংস অমিতাভ ও জয়ার। মাঝেমধ্যে টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হলেও এখনও মজবুত স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। অবশ্য মাঝেমধ্যেই তাঁদের দাম্পত্যে অশান্তির চোরাস্রোত বয়ে গিয়েছে অমিতাভের সম্পর্কের কারণে। যদিও হাল ছাড়েননি জয়া। একসময় জয়ার মাধ্যমেই অমিতাভের সঙ্গে পরিচয় হয় রেখার। সেই সময় জয়ার ঘনিষ্ঠ বান্ধবীদের মধ্যে ছিলেন রেখা। একই আবাসনে থাকতেন তাঁরা। জয়াকে ডাকতেন ‘দিদিভাই’ বলে। সেই রেখার সঙ্গে স্বামীর প্রেমের খবরে ছয়লাপ বলিউড। এমন অবস্থায় নিজে বিচলিত না হয়ে সরাসরি রেখাকে বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান জয়া। নিজের হাতে রান্না করে খাবার খাওয়ান। শেষে রেখাকে জয়া সতর্ক করে দেন, অমিতাভ শুধু তাঁরই থাকবেন।
আরও পড়ুন:
রেখা কী ভাবে অমিতাভের জীবনে প্রবেশ করেছিলেন এবং কী ভাবে জয়া নিজের জায়গা ধরে রাখেন সে সম্পর্কে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন প্রবীণ লেখক এবং চলচ্চিত্র ইতিহাসবিদ হানিফ জাভেরি। হানিফ জাভেরি জানান, ‘দো আনজানে’ ছবির শুটিংয়ের সময় রেখা এবং অমিতাভের বন্ধন আরও দৃঢ় হয়েছিল। লেখক দাবি করেন, ‘‘তাঁরা একে অপরের খুব ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন, আমি জানি না তারা কী ভাবে প্রেমে পড়েছিলেন, তবে এটি একশো শতাংশ নিশ্চিত যে তাঁরা প্রেমে পড়েছিলেন।’’
তাঁদের সম্পর্কের পারদ যে চড়ছে তা আঁচ করতে পেরে এক অভিনব পদক্ষেপ নেন জয়াও। জাভেরি জানান, অমিতাভ বেশ কিছু দিনের জন্য বাইরে ছিলেন, তখন তিনি রেখাকে তাঁদের বাড়িতে দুপুরে খাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। রেখাকে খুব যত্ন করে খাবার খাওয়ান জয়া। বাড়ির বাগান দেখান, অনেক কথা বলেন এবং যখন বিদায় নেওয়ার সময় আসে, তখন জয়া রেখার দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, ‘‘অমিতাভ আমার। সে আমার ছিল এবং সর্বদা আমারই থাকবে।’’ জয়ার শেষে বলা কথাটা রেখার উপর চিরতরের জন্য প্রভাব ফেলে। তার পরই নাকি নিজেকে সেই সম্পর্ক থেকে গুটিয়ে নেন রেখা।