Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Entertainment News

‘আমার বয়স ৪৬! তাই নাকি?’, ক্ষোভ জয়ার

অভিনয় তাঁর পেশা। নেশাও বটে। ভারত এবং বাংলাদেশ, দু’জায়গাতেই সমান তালে কাজ করছেন। জয়াকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন দর্শক। যাঁরা ব্যক্তি জয়াকে চেনেন, তাঁরা হয়তো জানেন, এককথায় মাটির মানুষ। ভাল ব্যবহার যাঁর রক্তে।

জয়া আহসান। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।

জয়া আহসান। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৮ ১৬:৩৩
Share: Save:

১ জুলাই, ২০১৬। ঠিক দু’বছর আগে জন্মদিনে কথা হয়েছিল জয়া আহসানের সঙ্গে। সে সময় উইকিপি়ডিয়ার তথ্য ছিল, নায়িকার বয়স নাকি ৪৩। সত্যিটা জানতে চাইলে জয়া বলেছিলেন, ‘‘তাই নাকি? ৪৩! কে যে নিজের দায়িত্বে আমার সম্বন্ধে এ সব লিখেছে আমি জানি না। ৪৩-এর ধারেকাছেও না। শুনে অবাক হলাম।’’

দু’বছর পরেও তাঁকে নিয়ে বয়স সংক্রান্ত ভুল ধারণা রয়েছে ইন্ডাস্ট্রির। শুধু বয়স নয়, তাঁর ব্যক্তিজীবন সম্পর্কে আরও অনেক ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন ইন্ডাস্ট্রিরই কেউ কেউ। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে সাম্প্রতিক পোস্টে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন জয়া।

অভিনয় তাঁর পেশা। নেশাও বটে। ভারত এবং বাংলাদেশ, দু’জায়গাতেই সমান তালে কাজ করছেন। জয়াকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন দর্শক। যাঁরা ব্যক্তি জয়াকে চেনেন, তাঁরা হয়তো জানেন, এককথায় মাটির মানুষ। ভাল ব্যবহার যাঁর রক্তে। এত দিনের কেরিয়ারে কখনও জয়া রেগে গিয়েছেন বা খারাপ ব্যবহার করেছেন— এ ঘটনা মনে করা মুশকিল। কিন্তু কী এমন হল, যাতে এতটা রেগে গেলেন?

আরও পড়ুন, ‘ক্রিসক্রস’-এর চরিত্রদের চিনে নিন টিজারে...

ফেসবুকে জয়া লিখেছেন, ‘ইদানীং ২/১টি বিষয় আমাকে কিছুটা ভাবিয়ে তুলেছে। বিশেষ করে ইদানীং বেশ কয়েক জন বিভিন্ন পত্রপত্রিকা/উইকিপিডিয়ার তথ্যসূত্র টেনে আমার বয়স নিয়েও বেশ চর্চা করছেন। বলা হচ্ছে, আমার বয়স নাকি ৪৬! গুজব-গুঞ্জন আমি বরাবরই খাবারের লবণের মতো উপভোগ করে গিয়েছি। দু-এক জন সমবয়সী কিংবা আমার চেয়ে বয়সে বড় শ্রদ্ধাভাজন সহকর্মী (বিশেষ করে বেশ কয়েক জন অভিনেত্রী) গণমাধ্যমে নিজেদের অধিকার মনে করে আমার বয়স (ভুল তথ্য) নিয়ে চর্চা করেছে-বিষয়টি মজার। তাই এতদিন উপভোগ করেই গিয়েছি। তবে খুব সম্ভবত আমার চুপ থাকাটাকে অনেকে ‘মৌনতা সম্মতির লক্ষণ’ হিসেবে ধরে নিয়েছেন। নিন্দুকেরাও ‘অস্ত্র’ হিসেবে আমার বয়সের ভুল তথ্য প্রচার করে আনন্দ পাচ্ছেন।’

জয়া মনে করেন, অভিনেতাদের ক্ষেত্রে বয়স নিয়ে চর্চা হয় না। কিন্তু অভিনেত্রী মাত্রেই বয়সের প্রশ্নটা এখনও যেন স্বাভাবিক!

জয়া মনে করেন, শিল্পীর পরিচয় হওয়া উচিত তাঁর কাজে। আর বয়স বেশি হলে অল্পবয়সীর চরিত্রে অভিনয় করতে পারবেন না কোনও শিল্পী— এমন ধারণা কোনও ইন্ডাস্ট্রিতেই নেই। ফলে ব্যক্তি জয়ার বয়স নিয়ে তিনি চিন্তিত নন। বরং তাঁর সম্বন্ধে ভুল তথ্য প্রচার করে কেউ কেউ তাঁকে ছোট করার চেষ্টা করছেন। তাতে স্পষ্ট আপত্তি আছে তাঁর। জয়ার অভিযোগ, এই ভুল তথ্য দিচ্ছেন ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র কিছু অভিনেত্রী। যদিও স্পষ্ট করে কারও নাম তিনি উল্লেখ করেননি। শুধু তা-ই নয়, বাবার নাম বা তাঁরা ক’জন ভাই-বোন তা নিয়েও নাকি ক্রমাগত ভুল তথ্য প্রচার হচ্ছে।

আরও পড়ুন, জন্মদিনে ইলিশ মাছ দিয়ে ভাত খাব, বলছেন পরমা

জয়ার দাবি, ‘৪৬ বছর আগে আমার বাবা-মা’র বিয়ে তো দূরের কথা, দেখাও হয়নি। এতদিন বিষয়টি হেসেই উড়িয়ে দিয়েছি। তবে ইদানীং বিষয়টি মাত্রাতিরিক্ত আকার ধারণ করায় পরিবার ও কাছের বন্ধুদের অনুরোধে লিখতে বাধ্য হয়েছি। সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ, একজন শিল্পীর জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরবার আগে ন্যূনতম একবার তার সাথে কথা বলা উচিত।’

সব শেষে জয়ার প্রশ্ন, ‘এক জন অভিনেতার কাজ নিয়ে লিখবার সময় যদি তার বয়সের বিষয়টি না আসে, একজন অভিনেত্রীর ক্ষেত্রেও সে বিষয়টি অপ্রাসঙ্গিকভাবে আসাটা কতটা যৌক্তিক, তা নিয়ে কিন্তু আমাদের ভেবে দেখবার অবকাশ রয়েছে।’

অর্থাত্ জয়া মনে করেন, অভিনেতাদের ক্ষেত্রে বয়স নিয়ে চর্চা হয় না। কিন্তু অভিনেত্রী মাত্রেই বয়সের প্রশ্নটা এখনও যেন স্বাভাবিক! এই পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার মূলে আঘাত করতে চেয়েছেন জয়া। প্রতিবাদ করেছেন নিজস্ব পরিসরে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE