ক্ষোভ প্রকাশ করে কী লিখলেন জয়া? ছবি: সংগৃহীত।
ফের নতুন করে উত্তপ্ত প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ। সম্প্রতি সে দেশের নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের পেছনের প্রচ্ছদ থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত চিত্রকর্ম বাদ দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদে বুধবার ঢাকার পাঠ্যপুস্তক ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান শিক্ষার্থীরা । পাঠ্যপুস্তকে ‘আদিবাসী’ শব্দ প্রবেশ এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানবিরোধী অখণ্ড ভারতের কল্পিত চিত্রকলা সংযোজনের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি-সহ ৫ দফা দাবিতে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’ নামের একটি সংগঠন বুধবার সকালে পাঠ্যপুস্তক ভবন ঘেরাও করে। একই দিনে ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’ র ব্যানারে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর একদল লোক পাঠ্যবইয়ে আঁকা ছবি পুনর্বহালের দাবিতে এনসিটিবির সামনে কর্মসূচি পালন করতে যায়। তার পরই দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। ঘটনায় বেশ কয়েক জন আদিবাসী ছাত্র আহত হন। প্রায় রক্তারক্তি হয় রাজপথে। প্রায় ১১ ছাত্র গুরুতর আহত হন। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান।
রাজধানী তরুণ ছাত্রদের রক্তে ভাসছে। তখনই বৈষম্যের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন অভিনেত্রী। প্রশ্ন তুলেছেন ‘ইমান’ নিয়ে। জয়া সমাজমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, ‘‘আদিবাসী নাগরিকদের রক্তে ঢাকার রাস্তা যে ভাবে রক্তাক্ত করা হল, সেটা মর্মান্তিক। এই রক্ত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জখম আত্মা থেকেই বের হল। কারণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আদিবাসীরাও শরিক হয়েছিল। এক দিকে আমরা সংবিধানের বৈষম্য দূর করতে চাইছি, অন্য দিকে সংবিধানের দোহাই দিয়ে আদিবাসীদের ওপর হামলা করছি। আমাদের ইমান ঠিক আছে তো? এ দেশ থেকে সব ধরনের বৈষম্য দূর হোক।’’
প্রসঙ্গত, নবম ও দশম শ্রেণির “বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি” বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে ‘আদিবাসী’ শব্দ থাকা একটি চিত্র যুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু এর প্রতিবাদ জানিয়ে তা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’। এর পর সরকার সেটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় এবং পাঠ্যবইয়ের পিডিএফ সংস্করণ থেকে সেটি সরিয়ে নতুন একটি প্রছদ সংযুক্ত করা হয়। তার পরই শুরু হয় চাপানউতর। তার ফলে রক্ত ঝরল ঢাকার রাস্তায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy