প্রয়াত স্কটিশ অভিনেতা শন কনারি। মোট সাতটি জেমস বন্ড স্পাই থ্রিলারে অভিনয় করেছেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৯০।
শেষ বিদায়টা ‘জেমস বন্ডচিত’ নয়। বরং একেবারে নিঃশব্দে ঘুমের মধ্যেই বিদায় নিলেন ফ্যানেদের এক কালের প্রিয় বন্ড। শন কনারির পরিবার সূত্রে খবর, বেশ কিছু কাল ধরেই অসুস্থ ছিলেন স্কটিশ অভিনেতা। মৃত্যুকালে বাহামা দীপপুঞ্জে ছিলেন নবতিপর শন। সেখানেই মারা যান তিনি।
ব্রিটিশ সাংবাদিক এবং ঔপন্যাসিক ইয়ান ফ্লেমিংয়ের গড়া চরিত্র জেমস বন্ডের ভূমিকায় সবচেয়ে প্রথম দেখা গিয়েছিল শন কনারিকে। ‘ডক্টর নো’, ‘ইউ অনলি লিভ টোয়াইস’, ‘ডায়মন্ডস আর ফরেভার’, ‘নেভার সে নেভার এগেইন’— একের পর এক ফিল্মে বন্ডকে জীবন্ত করে তুলেছিলেন স্যর শন। গত শতকের ছয়ের দশকে রুপোলি পর্দার বন্ডের চরিত্র এক সময় তাঁর কেরিয়ারে তুমুল সাফল্য এনে দিয়েছিল। ১৯৬২ থেকে ’৮৩ পর্যন্ত একের পর এক ৭টি বন্ড-ফিল্মে দেখা গিয়েছিল শন কনারিকে। সে সময়কার ফ্যানেদের বিচারে সেরা ‘০০৭’ তিনিই।
আরও পড়ুন: জেমস বন্ডের পাশে পর্দায় কম উষ্ণতা ছড়াননি বন্ডগার্লরা
আরও পড়ুন: স্থিতিশীল সৌমিত্র, দেখা করল পরিবার, আজও দরকার পড়ল না ডায়ালিসিসের
এর পর মোড়ঘোরানো চরিত্র এল ’৮৭-এ। বন্ডের নায়কোচিত ইমেজ ছেড়ে সে সময় পর্দায় নিজেকে ভাঙতে শুরু করে দিয়েছেন শন কনারি। ব্রায়ান ডি পালমার পরিচালনায় আইরিশ পুলিশ হিসেবে তাঁকে দেখা গিয়েছিল রবার্ট ডি নিরো, কেভিন কস্টনার, অ্যান্ডি গার্সিয়ার সঙ্গে। অস্কারের মঞ্চে সেই ক্রাইম ফিল্ম ‘দ্য আনটাচেবলস’-এর জন্য পেয়েছিলেন সেরা সহ-অভিনেতার শিরোপা। এর পর একের পর সম্মান পেয়েছেন। ‘মার্নি’, ‘মার্ডার অন দ্য ওরিয়েন্ট এক্সপ্রেস’, ‘দ্য ম্যান হু উড বি কিং’, ‘আ ব্রিজ টু ফার’, ‘ফাইন্ডিং ফরেস্টার’— নিজের আদল ভেঙে করে জীবন্ত করেছেন একের পর এক চরিত্রকে। এরই ফাঁকে ইন্ডিয়ানা জোন্স সিরিজের ফিল্মেও মুখ দেখিয়েছেন।
সারা জীবনে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডের পাশাপাশি ২টি বাফটা, ৩টি গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছেন স্যর শন কনারি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy