অযোধ্যার রামমন্দির। ছবি: পিটিআই।
তখনও আকাশে মাথা তুলে ছিল বাবরের সেনাপতি মীর বাকির তৈরি মসজিদ। সেখানে মন্দির গড়ার ‘প্রতিজ্ঞায়’ তখন রথযাত্রা ভারতভূমে। এই প্রেক্ষাপটে আগামী কয়েক দিনে কী ঘটতে চলেছে, তা নিয়ে ১ ঘণ্টা ৩১ মিনিটের একটি তথ্যচিত্র বানিয়েছিলেন আনন্দ পটবর্ধন। সেন্সর বোর্ডের নাছোড় ‘না’, তিনটি কেন্দ্রীয় সরকারের নিষেধাজ্ঞা পেরিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াই জিতে যখন দূরদর্শনে সেই তথ্যচিত্র ‘রাম কে নাম’ প্রদর্শিত হচ্ছে, তত দিনে বাবরি মসজিদ আর নেই। আর আজ যখন অযোধ্যার সেই রামমন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হতে চলেছে, তখন কী বলছেন আনন্দ?
যে সম্ভাব্য ‘বিপদে’র আঁচ তাঁর তথ্যচিত্রে ছিল, তার বাস্তবায়নে অবাক নন আনন্দ। এক দিকে যেমন রাখঢাক না করে তিনি আরএসএস-বিজেপির ‘হিন্দুত্বে’র রাজনীতির সমালোচনা করছেন, তেমনই বলছেন বিরোধী দলগুলির ভূমিকায় তাঁর হতাশার কথা। মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে, তাঁর তথ্যচিত্রের প্রদর্শন নিয়ে দ্বিধা করেছে দেশের অ-বিজেপি সরকারও।
আনন্দের অভিযোগ, ‘‘পুরো বিষয়টিই রাজনৈতিক। এর সঙ্গে ধর্মের সম্পর্ক নেই। বিজেপি-আরএসএস সংখ্যাগুরু তাস খেলতে চায়।’’ তাঁর যুক্তি, “ষোড়শ শতকে তুলসীদাস হিন্দি অনুবাদ করার পরে রামায়ণ জনপ্রিয় হয়। তার আগে ভারতে সে ভাবে রামমন্দির ছিল না। সুপ্রিম কোর্টও বলেনি, যেখানে রামমন্দির ছিল, সেখানেই বাবরি মসজিদ হয়েছে।”
আনন্দের মতে, এই মন্দির নির্মাণ এবং তাকে ঘিরে থাকা বিষয়গুলি ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রের বিরোধী। তিনি জানান, কংগ্রেস সরকার, ভি পি সিংহের সরকার, বিজেপি সরকার— তিনটি সরকারই দূরদর্শনে তাঁর তথ্যচিত্রটি প্রদর্শন করতে দেয়নি। তাঁর কথায়, “তথ্যচিত্র বানানোর পরে তা দেখানোর জন্য লড়াই করতে হয়েছে। প্রথমে ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য লড়াই। ছাড়পত্র পাওয়ার পরে প্রদর্শনের জন্য লড়াই। সেই সময়ে কেন্দ্রে তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ সরকার ছিল। তা সত্ত্বেও দূরদর্শন তথ্যচিত্রটি দেখাতে চায়নি। তার পরে বহু বছর আইনি লড়াই করে আদালত থেকে নির্দেশ নিয়ে আসার পরে এক বার দূরদর্শনে দেখানো হয়েছিল।’’ তাঁর আশঙ্কা, ‘‘এখন যদিও কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই, তবু এখনও কোথাও এই তথ্যচিত্র প্রদর্শন সহজ নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy