নব অবতারে ইশা সাহা। ছবি: ফেসবুক।
ইশা সাহা গোয়েন্দা! হ্যাঁ, নতুন বছরে এ ভাবেই ফিরতে চলেছেন অভিনেত্রী। ছবি হোক বা সিরিজ়— বাংলায় গোয়েন্দাদের রমরমা। তার মধ্যেও মহিলা গোয়েন্দার সংখ্যা হাতেগোনা। বড় পর্দায় ‘মিতিন মাসি’, সিরিজ়ে ‘দময়ন্তী সেন’। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন, ‘বিবি বক্সী’। নতুন বছরে এই ‘গোয়েন্দা’ ইশাকে নিয়ে আসবেন জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। নতুন ওয়েব প্ল্যাটফর্ম ফ্রাইডে-র জন্য কলম ধরেছেন পরিচালক পারমিতা মুন্সী। প্রত্যন্ত গ্রামের বিনোদবালা বক্সী কনস্টেবল হয়েও গোয়েন্দার মতো বুদ্ধি ধরেন। তিনি কি নিজেকে সত্যানুসন্ধানী হিসাবে প্রমাণ করতে পারবেন?
জয়দীপের ঝুলিতে নানা স্বাদের গোয়েন্দা সিরিজ়, ছবি। সদ্য একই প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে অনির্বাণ চক্রবর্তী, লোকনাথ দে অভিনীত ‘মিসিং লিঙ্ক’। একুশ শতকেও বাংলায় মহিলা গোয়েন্দার সংখ্যা কম বলেই কি এই সিরিজ় তৈরিতে আগ্রহী? প্রশ্ন রেখেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। জয়দীপ এই বক্তব্যে সায় দিয়েছেন। বললেন, “এক প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়ে কনস্টেবল থেকে নিজের জোরে গোয়েন্দায় রূপান্তরিত হচ্ছেন, এটা কিন্তু দেখা যায় না। বলতে পারেন এটাই ‘বিবি বক্সী’র মূল আকর্ষণ।” জয়দীপের এই বক্তব্যে সমর্থন জানিয়েছেন লেখক পারমিতাও। তিনি বলেছেন, “এক সাধারণ মহিলার অসাধারণ হয়ে ওঠার গল্প সব সময় দর্শক-পাঠকের ভাল লাগে। সেই ভাবনা থেকেই এই চরিত্রের সৃষ্টি। এক গল্পে গ্রামীণ রাজনীতি, মেয়েদের উন্নতি রোখার চেষ্টা, কর্মরতা নারীর পারিবারিক দিক— সবটা দেখানো হবে।”
ইশা মানেই চেহারায়, ব্যক্তিত্বে কোমলতা। তিনিই ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ গোয়েন্দা! কেন?
প্রশ্নের জবাবে পরিচালকের যুক্তি, “গ্রামের মেয়েদের জীবন এখনও বিবাহকেন্দ্রিক। যতই সে শিক্ষিত হোক। যেমন, বিবি বক্সী বা বিনোদবালা বক্সী। সিরিজ়ের শুরুতেই তাই তার বিয়ে হয়ে যাবে।” সেই মেয়েটিই যখন থানায় যায় তখন তার রুদ্রমূর্তি। আবার তার নাম পুরুষালি। বিনোদ সাধারণত পুরুষের নাম। একই সঙ্গে পদবি বক্সী। ফলে, এই গোয়েন্দার ভিতরে দ্বৈত সত্তার বাস। যিনি ‘ব্যোমকেশ বক্সী’র ছায়া। নারীর কঠোর-কোমল দিক গোয়েন্দা চরিত্রের পরতে পরতে। ইশার মধ্যে কোমল ভাব যথেষ্ট। এই প্রথম তিনি কঠোর দিকটিও ধারণ করতে চলেছেন, জানিয়েছেন পরিচালক।
সিরিজ়ের গল্পের পাশাপাশি চিত্রনাট্য, সংলাপও লিখছেন পারমিতা। সঙ্গে পরিচালকও রয়েছেন। বাকি চরিত্রাভিনেতাদের নাম এখনও ঠিক হয়নি। উভয়েরই আশা, চলতি মাসের শেষে চিত্রনাট্য ঘষামাজার কাজ শেষ হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে ডিসেম্বর থেকে শুটিং শুরু হতে পারে। মূলত গ্রাম্য এলাকায় সিরিজ়ের সিংহভাগ শুটিং হবে। পারমিতা আরও বলেছেন, “একটি গল্পে বিবিকে ধরা সম্ভব নয়। যত পরিণত হবে ততই সে ধাপে ধাপে পেশাজীবনে উন্নতি করবে। তাই জয়দীপদার ‘মিসিং লিঙ্ক’-এর মতোই এটিরও ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি তৈরি হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy