শ্রীলেখা মিত্র
এ যেন অন্য শ্রীলেখা মিত্র! নেটমাধ্যমে সোমবারের পোস্টের প্রেক্ষিতে তাঁর স্বীকারোক্তি, ‘ভেতরে ভেতরে ভেঙে যাচ্ছি’। তিনি জানিয়েছেন, ‘রোজ রাতে শুতে যাওয়ার আগে ভাবি, কাল কী হবে?’ অনুরাগীরা জানেন, শ্রীলেখা যথেষ্ট শক্ত মনের মানুষ। লড়াই ভালবাসেন। সব পরিস্থিতিতেই ইতিবাচক থাকেন। অতিমারি কি তাঁকেও অবশেষে দুর্বল করে দিচ্ছে? সত্যিই ভেঙে পড়ছেন শ্রীলেখা?
আনন্দবাজার ডিজিটালকে শ্রীলেখা জানান, কিছুটা হলেও তিনি নড়ে গিয়েছেন। প্রতিদিন মৃত্যুর খবর তাঁর মনে ভয়ের জন্ম দিচ্ছে। ফলে, আগামী কালের চিন্তা তাঁকে গ্রাস করছে। তিনি মেনে নিয়েছেন, এতখানি অনিশ্চয়তার মুখোমুখি তিনি এর আগে কখনও দাঁড়াননি।
শ্রীলেখার এই ভাবনারই প্রতিফলন তাঁর সোমবারে নেটমাধ্যমের বক্তব্যে। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘সকালে উঠে নেটমাধ্যম খুলতে খুলতেই মৃত্যুসংবাদ। চারিদিকে স্তব্ধতা গ্রাস করছে একটু একটু করে মানব জীবনকে।’ এই প্রসঙ্গে তিনি তুলে ধরেছেন তারকা, সাংবাদিক, আরও অগুন্তি সাধারণ মানুষের নিমেষে ফুরিয়ে যাওয়ার কথা। শ্রীলেখার কথায়, আজ যিনি আছেন কাল তিনিই ‘নেই’!
মনোবলে সামান্য আঘাত লাগলেও তা গুঁড়িয়ে যায়নি, পাশাপাশি এই কথাও জানিয়েছেন অভিনেত্রী। তাঁর মতে, ‘‘নিজেই নিজেকে পথ দেখাই। সামলে নেওয়ার চেষ্টা করি।’’ তখনই তিনি আন্তরিক ভাবে প্রার্থনা জানান, ‘আমার শত্রুরাও যেন ভাল থাকে, সুস্থ থাকে’। শ্রীলেখার এই পোস্ট পড়ে মতামত জানিয়েছেন আর এক অভিনেতা তথাগত মুখোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘মৃত্যুর মধ্যে জীবনের গান যাঁরা গাইতে পারেন, তাঁরাই বেঁচে আছে। আমি মনে করি তুমি তাঁদেরই একজন’।
দীন কয়েক আগেই বাম প্রার্থী শতরূপ ঘোষের মায়ের মৃত্যু প্রসঙ্গে আনন্দবাজার ডিজিটালের হয়ে কলম ধরেছিলেন শ্রীলেখা। তখনও প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘রোজ কেউ না কেউ আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। আজ কারওর মা। কাল কারওর স্ত্রী। পরশু কারওর সন্তান। আর কতদিন এ ভাবে মৃত্যুমিছিল চলবে?’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy