সুনিধি চৌহান
প্র: নতুন সিঙ্গলটির জন্য খুব ভাল একটা ভিডিয়ো বানানো হয়েছে। এই অতিমারির মধ্যে শুটিং করলেন কী ভাবে?
উ: এ বারের শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ অন্য রকম। অনেক নির্দেশ মেনে শুটিং করতে হয়েছিল। আর তার জন্য যে আমরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হইনি, সেটাই সবচেয়ে বড় কথা। এই প্রথম বার আমার ছেলে তেঘ-কে বাড়িতে রেখে শুটিং করতে গিয়েছিলাম। জন্মের পর থেকে সব সময়ে ও আমার সঙ্গে ট্রাভেল করেছে। এমনকি লাইভ শো-তেও ওকে নিয়ে গিয়েছি। কিন্তু এ বার নিয়ে যাওয়া কোনও ভাবেই সম্ভব ছিল না।
প্র: এই সিঙ্গলটি গাওয়ার পিছনে কোনও বিশেষ কারণ ছিল?
উ: ‘ইয়ে রঞ্জিশে’ গানটির সুরকার শ্রুতি রানের সঙ্গে আলাপ হয় আমার বন্ধু সুরকার গৌরব দাশগুপ্তের মাধ্যমে। কম্পোজ়িশনটা যখন প্রথম শুনি, মনে হয়েছিল আমাকে ইম্প্রেস করার জন্য বোধহয় শোনাচ্ছে। কিন্তু যখন শ্রুতি বলল যে, গানটার সুরকার ও নিজে, তখন আমিই খুব ইমপ্রেসড হয়ে গেলাম (হেসে)। গানটির কথা এবং সুর যে ভাবে সাজানো হয়েছে, সেটা আমার কাছে একদম পারফেক্ট। আর এই গানে আমি শায়েরিও বলেছি। গানের মধ্যে কবিতার একটা বড় অবদান থাকে। সেটা এখানে ব্যবহার করতে পেরে ভাল লাগছে।
প্র: বেশ কয়েকটি সিঙ্গল আপনি গেয়েছেন। কী রকম ফিডব্যাক পাচ্ছেন?
উ: প্রায় উনিশ-কুড়ি বছর পরে গত বছর ডাবু মালিকের সঙ্গে আমার গান ‘কুছ খোয়াব’ বেরিয়েছিল। গানটা শ্রোতারা খুব পছন্দ করেছিলেন। সম্প্রতি শাল্মলি (খোলগড়ে) আর আমি একসঙ্গে গান গেয়েছি, খুব ভাল রেসপন্সও পেয়েছি। এ বার আর পিছনে ফিরে তাকাতে চাই না। আরও অনেক কিছুর প্ল্যান রয়েছে।
প্র: কোভিডের কারণে লাইভ শো বন্ধ হয়ে যাওয়াতেই কি সিঙ্গলসের দিকে বেশি ঝুঁকছেন?
উ: লাইভ শোয়ের কোনও বিকল্প নেই। এতে যে মজা ও উন্মাদনা রয়েছে, সেটা অন্য কোনও কিছুতে নেই। আগের বছর লকডাউনের সময়ে দুটো ভার্চুয়াল শো করেছিলাম। কিন্তু একদম এনজয় করিনি। আপাতত এই মারণভাইরাসের যাওয়ার অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। আমরা যদি আর দুটো মাস সংযত থাকতাম, তা হলে আজকের এই অবস্থা হত না।
প্র: একটা গান রেকর্ড করতে আপনার কতটা সময় লাগে?
উ: সেটা নির্ভর করে কী ধরনের গান গাইছি, তার উপরে। আমি ভাগ্যবান যে, এমন সব সঙ্গীত পরিচালকের সঙ্গে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে, যাঁরা আমাকে গান গাওয়ার সময়ে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন। আর হ্যাঁ, গান রেকর্ড করার সময়ে আমি ঘড়ির দিকে তাকাই না।
প্র: ছেলে তেঘও কি গান ভালবাসে?
উ: তেঘ আমার সঙ্গে জ্যামিং সেশনও করে। গান তো ওর রক্তে রয়েছে। আমার গান শুনে ও তাল দেয়।
প্র: লকডাউনে অনেকেই নিজের কোনও সুপ্ত প্রতিভার খোঁজ পেয়েছেন। আপনার সে রকম কিছু রয়েছে?
উ: হিতেশ আর তেঘের জন্য আমি অনেক নতুন নতুন রান্না শিখেছি এবং রেঁধে খাইয়েছিলাম।
প্র: অভিনয় নিয়ে এক সময়ে খুব সিরিয়াস ছিলেন। ভবিষ্যতে অভিনয় নিয়ে কোনও প্ল্যান রয়েছে?
উ: এখনও আমি অভিনয় নিয়ে সিরিয়াস। পরিস্থিতি কিছুটা ঠিক হলে নতুন শুটিং শুরু করব। এ ছাড়া আমার নিজের কম্পোজ়িশন নিয়েও কাজ চলছে। মন মতো হলেই গানটা বানাব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy