'নেতাজি'-র ভূমিকায় অভিষেক।
হোয়াটসঅ্যাপ ডিপিতে ধোনির ছবি। আগামী দিনে ওই ভূমিকায়?
অভিষেক: ক্রিকেট ভীষণ প্রিয়। কলেজ পর্যন্ত নিয়মিত খেলতাম। আর ধোনির অন্ধ ভক্ত। সব মিলিয়ে এই ছবি।
‘নেতাজি’র পরে ‘শিব’ চ্যানেলের দেবীপক্ষের আবাহন অনুষ্ঠানে। ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন?
অভিষেক: আমার শিবপুজো কমপ্লিট হল। নিজেও শিবভক্ত। এই নিয়ে পরপর তিন বছর জি বাংলার মহালয়ার অনুষ্ঠানে আমি শিব। বলে না, টানা তিন বছর কোনও পুজো করলে সেটা সম্পূর্ণ হয়? আমারও যেন সেটাই হল।
আগের বার ‘গ্ল্যামারাস’ পার্বতী পেয়েছিলেন?
অভিষেক: (হেসে ফেলে) শুভশ্রী ‘পার্বতী’ হয়েছিলেন। হ্যাঁ, গা শিরশিরানি তো ছিলই। এ বছর আবার প্রথম বছরের মতো দিতিপ্রিয়া রায়। আমার কমফোর্ট জোন।
স্টেডি গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে
‘মহামানব’ থেকে ‘মহাদেব’ মোডের মাঝে আপনি মুঠোফোনেও ‘নেই’! কেন?
অভিষেক: সত্যি বলব? একে মনখারাপ। তার উপর, ‘কেন নেতাজি হুট করে শেষ হয়ে গেল’ প্রশ্ন আর নিতে পারছিলাম না! ‘নেতাজি’র থেকে দূরে থাকতেই ফোনের থেকেও দূরে।
সত্যিই, কেন ‘নেতাজি’ এভাবে শেষ হয়ে গেল?
অভিষেক: আপনিও! আমি কী বলি? চ্যানেল, প্রযোজক সংস্থা যেটা ভাল বুঝেছে, সেটাই হয়েছে।
আফসোস হয়নি? আজাদ হিন্দ বাহিনির পোশাক গায়ে তুলতে পারলেন না...
অভিষেক: ওটাই বেশি করে মনে হচ্ছিল শেষ দিকে। মাথা হাফ কামিয়ে বড় কপাল করেছি। চরিত্র জীবন্ত করতে জিম করা টোনড বডি ওজনে ভারী হয়েছে। আর একটু সময় পেলে আজাদ হিন্দ বাহিনীর পোশাকটাও গায়ে তুলতে পারতাম। বৃত্ত সম্পূর্ণ হত। সান্ত্বনা, টেলি দুনিয়ায় ইতিহাস সৃষ্টি করল ধারাবাহিক। হিন্দিতে ডাব হবে খুব শিগগিরিই।
এক নম্বর ধারাবাহিক না হতে পারার দুঃখ মুছল এতে?
অভিষেক: এক নম্বর হতে না পারার দুঃখ কোনও দিন হয়নি! নাম্বারিংয়ে বিশ্বাসও নেই। বদলে নিজের ১০০ শতাংশ উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করি। তবে দেশনায়কের গল্প দেশবাসী দেখতে পাবেন। এর থেকে ভাল আর কী হতে পারে?
‘নেতাজি’ চিহ্ন মোছার বিরতি শেষ? সোশ্যালে ছবি নেই। কামানো মাথায় চুল গজালো?
অভিষেক: দেড় মাসের গ্যাপিংয়ে আছি। আরও একটা মাস দূরেই থাকব। এখন আমি সুভাষচন্দ্র বসু আর অভিষেক বসুর মাঝখানে (হাসি)। মাথায় কদম ফুলের মতো চুল। এখনও টোনড হইনি। তবে জোরদার কসরত করছি। মহাদেব হওয়ার আগে মাসল বাড়ানোরও চেষ্টা করেছি। এমন ছবি কি সোশ্যালে দেওয়া যায়?
আজকের দর্শক এত বোকা নয়! রিল-রিয়েলের পার্থক্য বোঝে
এরপর কোন ভূমিকায়?
অভিষেক: কথা হয়নি এখনও। কথা বলার চেষ্টা বা ইচ্ছেতেও নেই। (একটু থেমে) গা থেকে এখনও ভাল করে নেতাজি গন্ধ মোছেনি যে! আগে আমি ওঁকে ভুলি। উনিও আমাকে পুরোপুরি ছেড়ে যান, তারপর।
টেলিউড ছেড়ে টলিউডেও যাত্রা করবেন তো? সৃজিত মুখোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ আপনার ‘নেতাজি’ দেখেছেন?
অভিষেক: সুযোগ পেলে কেউ ছাড়ে! তবে এটা জানি না, ওঁরা নেতাজির ভূমিকায় আমায় দেখেছেন কিনা। আমি অভিনয়ের আগে ওঁদের ‘গুমনামী’ দেখেছি। বাংলা, হিন্দিতে সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ে যতগুলো ছবি হয়েছে, দেখেছি। প্রচুর পড়েছি। আর সারাক্ষণ ওঁকে নিয়ে ভেবেছি। তার ফলাফল ছোটপর্দার ‘নেতাজি’।
ছবিতে অভিনয়ের সময় ‘নায়িকা’ কাকে চাইবেন?
অভিষেক: বাংলায় স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। সব থেকে ফেভারিট। কি ভীষণ বোল্ড! বলিউডে কাজের সুযোগ পেলে অবশ্যই দীপিকা পাড়ুকোন। তবে টিনসেল টাউনের দরজা খোলা এত সহজ নয়।
স্টেডি গার্লফ্রেন্ড কাছে ঘেঁষছেন না দূর থেকে ভক্তি করছেন? ‘নেতাজি’ অনুরাগিণীর সংখ্যা কমিয়ে দিল?
অভিষেক: (হাসতে হাসতে) আজকের দর্শক এত বোকা নয়! রিল-রিয়েলের পার্থক্য বোঝে। প্রেমিকাও বেশি করে পাশে থেকে ‘নেতাজি’ মোড থেকে বের করে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরপরে কী করব না করব তাই নিয়ে আলোচনা করছে। তবে হ্যাঁ, একটা এফেক্ট তো পড়েই। একবার মাঝবয়সী এক ভদ্রলোক পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে এসেছিলেন। বাধা দেওয়ায় ভুল বুঝে কান্নাকাটি। শেষে বুকে টেনে ভোলাতে হয়েছিল বয়সে বড় মানুষটিকে। লাবডুব সত্যিই বেড়ে যায় যখনই ভাবি, ‘নেতাজি’ আমার অনুরাগিণী সংখ্যা কমিয়ে দেবে না তো?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy