কনে সেজে, বিয়ে করে, সিঁদুর পরে নাকি খুশি ‘রাধিকা’? সেই ভাল লাগা মাখামাখি ‘বিহাইন্ড দ্য সিন’-এ। বাস্তবেও এরকমই প্রেমে ভাসেন? বিয়ের জন্য মুখিয়ে? আনন্দবাজার ডিজিটালের সঙ্গে অকপট আড্ডায় প্রাণবন্ত স্বস্তিকা দত্ত।
কলার টিউনে প্রেমের গান। মেগায় বিয়ের দৃশ্য। ‘রাধিকা’র মতোই উড়ছেন?
স্বস্তিকা: (উচ্ছ্বসিত হাসি) আমি মারাত্মক রোম্যান্টিক। কিচ্ছুক্ষণ আমার সঙ্গে কাটালেই প্রেম প্রেম ভাব আসে সবার মনে। সাংঘাতিক গান ভালবাসি। সব মিলিয়ে কলার টিউনে তার এফেক্ট।
পর্দায় সেই মুডের ডেমো চলছে?
স্বস্তিকা : (হো হো হাসি) একটা পার্থক্য কেউ জানে না। রাধিকা ভালবাসতে ভালবাসে। স্বস্তিকা ভালবাসা পেতে।
সিঁদুর পরার দৃশ্যে অভিনয় করে কেমন লাগল?
স্বস্তিকা: সত্যি বলব? কর্ণ সেন ভরিয়ে সিঁদুর পরিয়েছে! ‘জোশ’ ছিল সেই সিঁদুর পরানোয়। পরের দিন আপনা থেকেই কন্টিনিউটিটি চলে এসেছিল। উফফ! কেউ গ্লিসারিন দিয়ে কাঁদেননি। এই প্রথম আমি মেকআপ ছাড়া ছিলাম। কেঁদে ভাসিয়েছে সেদিন স্বস্তিকা, রাধিকা নয়। আমার নাকের ওপর এমন ভাবে সিঁদুর ছড়িয়ে পড়েছিল, মনে হচ্ছিল যেন সত্যি সিঁদুর দান হল। এক টেকে শট ওকে।
আরও পড়ুন: সুশান্তের অ্যাম্বুল্যান্সের পাশে দাঁড়ান সেই রহস্যময়ী কি ফারহান আখতারের প্রেমিকা শিবানী?
বাস্তবে এমনটা হলে কী করতেন?
স্বস্তিকা: বরকে জড়িয়ে ধরে একাকার করতাম। তারপর প্যাক আপ বলে দু’জনে ধাঁ। কোনও ছেলে এমন ‘পুরুষালি’ ভাবে সিঁদুর পরালে কোনও মেয়ে চুপ থাকতে পারে!
প্রতি মেগাতে ভাদ্রেও রমরমিয়ে বিয়ে, সিঁদুর পরানো চলছে!
স্বস্তিকা: জানতাম, কথাটা উঠবে। অন্য মেগার থেকে জি বাংলার ‘কী করে বলব তোমায়’-এর সব দৃশ্য কোথায় আলাদা জানেন ? এর সমস্ত ঘটনা বাস্তবে ঘটে। আজও পালিয়ে বিয়ে হয়। মা-বাবার অমত থাকে। সম্মান রক্ষার্থে সবার সামনে হুট করে সিঁদুর পরিয়ে দেয় ছেলে। যুঝতে হয় প্রেমিক-প্রেমিকাকে। আরে, আমার মা-বাবা পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন! (বলতে বলতে রীতিমতো উত্তেজিত)
কর্ণ সেন ভরিয়ে সিঁদুর পরিয়েছে: স্বস্তিকা। ছবি সংগৃহীত।
মা-বাবার সেই ‘বিশেষ অনুভূতি’ মেয়ে পর্দায় ফাঁস করে দিল?
স্বস্তিকা: (দিলখোলা হাসি) তা কেন! আমারই তো বিয়ে করার ষোলো আনা ইচ্ছে। তবে এক্ষুণি নয়। আর কর্ণের মতো কাউকে তো নয়ই। কর্ণ ভীষণ ইম্যাচিওরড। আর পালিয়ে বিয়ে তো কখনওই নয়। খুব কাছের মানুষদের নিয়ে ডেস্টিনেশন ম্যারেজ। ফুল থাকবে, গান থাকবে, প্রেম থাকবে আর থাকবে স্বপ্নপুরীর মতো দেদার আলো। আমি খুব আলো ভালবাসি (হাসি)।
আরও পড়ুন: ভালবাসতে না জানলে কিসের পণ্ডিত, কিসের মৌলবী! ধর্ম নিয়ে ফের তোপ নুসরতের?
কর্ণ বাতিল। ক্রুশল আহুজা তো বাতিল নন?
স্বস্তিকা: আনন্দবাজার ডিজিটাল এই ব্যাপারটা ভাইরাল করে দিয়েছে। আজ বলি, আমি-ক্রুশল সত্যিই হয়ত মিস ম্যাচ নই। কিন্তু পর্দার কেমিস্ট্রি জীবনে এলে কাজ দূরে সরে যাবে। আর আমি কাজ ছাড়া তো বাঁচতে পারব না! এ ব্যাপারে ক্রুশলও একমত। তাই আমরা শুধুই ভাল বন্ধু।
অনুরাগীরা কতটা খুশি রিল বিয়ে দেখে?
স্বস্তিকা: ছ’মাসে ফেসবুক পেজের ফলোয়ার্স ৭০ হাজারের উপর। ইনস্টায় ১৫০ হাজার! আমাদের জুটি দেখার জন্য। এটা আমার সবচেয়ে জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ভজগোবিন্দ’র বেলাতেও হয়নি।
আমি কাজ ছাড়া তো বাঁচতে পারব না! এ ব্যাপারে ক্রুশলও একমত। তাই আমরা শুধুই ভাল বন্ধু। ছবি সংগৃহীত।
জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে ৮৪ দিনের লকডাউনে কী করলেন?
স্বস্তিকা: নিজেকে ফোকাসড রেখেছি। প্রথম এপিসোড থেকে আবার খুঁটিয়ে দেখেছি। অসংখ্য ভুল বের করেছি। তার জন্য পরিচালক, ক্রুশলের কাছে অনুযোগও করেছি, কেন তাঁরা ধরিয়ে দেননি। শান্ত থাকতে মেডিটেশন করেছি। বাংলা উচ্চারণ আরও নিখুঁত করতে ভোক্যাবুলারি বাড়িয়েছি।
শুধু এই-ই? চোখ-মুখ বলছে, রাধিকার জনপ্রিয়তায় স্বস্তিকার ‘অতীত’ দায়ী?
স্বস্তিকা: (একটু চুপ থেকে) মেয়েবেলার প্রেম। এক স্কুলে পড়তাম। ছ’বছরের স্টেডি রিলেশনশিপ। বিয়ে পর্যন্ত গড়াত হয়ত। তার আগেই আচমকা ভেঙে যায়। স্বস্তিকার এই ‘ব্যথা’ই ‘রাধিকা’কে গ্লিসারিন ছাড়া কাঁদিয়ে নে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy