আমদাবাদের হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করল রাহুল।
১৪ অক্টোবর দেশ জুড়ে মুক্তি পাওয়ার কথা ‘চেলো শো’-র। কিন্তু দিনটা দেখা হল না শিশুশিল্পী রাহুল কোলির। প্রবল জ্বর। সেই সঙ্গে রক্তবমি। আমদাবাদের হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করল ১০ বছরের অভিনেতা। ছবিতে ছ’জন শিশু-অভিনেতার মধ্যে এক জন রাহুল। মূল চরিত্র সময়-এর ঘনিষ্ঠ বন্ধুর ভূমিকায় এ ছবিতে দেখা গিয়েছে তাকে। চিকিৎসকরা জানান, লিউকেমিয়া বা রক্তকণিকার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিল রাহুল। গুজরাতের ক্যানসার রিসার্চ ইনস্টিটিউটে তার শুশ্রূষা চলছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। অসুখটা কী, সেটা জানার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই যুদ্ধ থেমে গেল ছোট্ট ছেলের। ৯৫তম অস্কার অনুষ্ঠানে মনোনীত একমাত্র ভারতীয় ছবির অদৃষ্টে এমন ভয়াবহ আঘাত অপেক্ষা করেছিল কে জানত!
গুজরাতে জামনগরের কাছে হাপা গ্রামে রাহুলের পরিবার তার জন্য একটি প্রার্থনাসভার আয়োজন করেছে। রাহুলের বাবা, রামু কলি পেশায় অটোরিকশা চালক। কান্নায় ভেঙে পড়ে জানান, ছবি মুক্তির অপেক্ষায় ছিল তার ছেলে। কিন্তু কোথা থেকে কী হয়ে গেল বুঝতে পারছেন না। তাঁর কথায়। “জ্বর ছিল শেষের দিকে। রক্তবমি করল তিন বার। তার পর চলে গেল।” তবে ছবিটা তো দেখতেই হবে। ছেলে যে ওখানেই রয়েছে! রামু বলেন, “রাহুলের শেষকৃত্য সেরে পরিবারের সবাই মিলে একসঙ্গে ‘চেলো শো’ দেখব।”
‘চেলো শো’-এর গল্প গুজরাতের, যেখানে বেড়ে উঠেছেন নলিন। তার পর তিক্ত-মধুর পথ চলা। মূল চরিত্র ‘সময়’-এর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন দু’জন। এক বালকের বয়ঃসন্ধি ঘিরে আবর্তিত হয়েছে আখ্যান। সঙ্গে সূক্ষ্ম জাদুর ছোঁয়া। প্রায় আত্মজীবনীমূলক উপকথা। ২০২৩ সালের অ্যাকাডেমি পুরস্কার অনুষ্ঠানে সেরা আন্তর্জাতিক ছবি বিভাগের প্রতিযোগিতায় শামিল এই একমাত্র ভারতীয় কাজ। পরিচালনায় প্যান নলিন। ছোটবেলা এবং পরিণত বয়স মিলিয়ে দর্শকের আকর্ষণ ধরে রাখেন সারজিও লিওনি এবং টেরেন্স মালিক। আগামী ১৪ অক্টোবর দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা এই ছবির। তার মধ্যেই শোক সংবাদ। রাহুলের চলে যাওয়ায় শূন্য হয়ে গেল ‘চেলো শো’ পরিবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy