রুদ্রনীল ঘোষ
দেশের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস। সেখানে সাত এবং পাঁচ দুটো সংখ্যাই আছে। বিজেপি সদস্য রুদ্রনীল ঘোষ এ দিন নিজের হাতে আঁকা একটি ছবি দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনুরাগীদের। সেখানেই যত গণ্ডগোল! পুরনো কথা তুলে এক নেটাগরিকের দাবি, ‘আপনার আর কী? আপনি তো আবার সাতে পাঁচে থাকেন না!'
রুদ্রনীলের ছবিতে আঁকা একটি মুখ। যার অর্ধেকটা ঢেকে দিয়েছে তেরঙা। বাকি অর্ধেক মানুষের। সঙ্গে আন্তরিক কামনা, 'তবুও আশারা করে ভিড়, অভাবের কাটবে তিমির, স্বাধীনতা পেট ভরে খাবে... হাতে কাজ উপচিয়ে যাবে।' এই ছবি, এই বক্তব্যের মাধ্যমে অভিনেতা কী বোঝাতে চেয়েছেন?
আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে তাঁর সাফ জবাব, ‘‘সকাল থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে মিলে স্বাধীনতা দিবস পালন করেছি। বাচ্চাদের হাতে তুলে দিয়েছি খাবার, প্রয়োজনীয় জিনিস। গত রাত থেকে ছবিটা আঁকছিলাম। ওদের মুখগুলোই যেন সেই আঁকা সম্পূর্ণ করে দিল।’’ অভিনেতার মতে, শিশুদের মুখের কিছুটা যদি স্বাধীনতার আনন্দে উদ্দীপিত থাকে, বাকি অংশে যেন আগামী দিন নিয়ে সংশয়। বেকারত্ব, অর্থনৈতিক সংকটকে আরও প্রকট করেছে অতিমারি। তাই ওদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত হোক, মনে থেকে তিনি সেই প্রার্থনাই জানিয়েছেন। রুদ্রনীলের দাবি, ‘‘আজকের দিনে ইতিবাচক ভাবনাই ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’’
কিন্তু নেটাগরিকেরা যে মানতে নারাজ! কারওর দাবি, বিজেপি যত দিন সরকারে থাকবে তত দিন এই লক্ষ্যপূরণ সম্ভব নয়। কেউ বলেছেন, ‘পাল্টিবাজদের আমলে এই ভাবনা সোনার পাথরবাটির মতোই অলীক।' কেউ কটাক্ষ ছুড়েছেন রুদ্রনীলের ঘন ঘন দল বদলানো নিয়ে। সবচেয়ে বড় বিদ্রূপ, স্বাধীনতা ৭৫ বছর পূর্তির সঙ্গে অভিনেতার বলা ‘দাদা আমি সাতে পাঁচে থাকি না’-কে মিলিয়ে দিয়ে। নেটাগরিক যা বলেছেন ঠিক বলছেন? আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে বিজেপি প্রার্থীর বক্তব্য, ‘‘আমার যে কথা নিয়ে ব্যঙ্গ করা হচ্ছে, সেটি আমার কবিতার একটি লাইন। যেখানে আমি বিশেষ একটি শ্রেণিকে বোঝাতে চেয়েছি। যাঁরা আড়ালে সবেতেই থাকেন। অথচ দূরে দাঁড়িয়ে নিজেদের দেখানোর চেষ্টা করেন তাঁরা সাতে পাঁচে থাকেন না। অর্থাৎ, কোনও কিছুতেই নেই।’’
অভিনেতার দাবি, তিনি এই দলভুক্ত নন। তিনি সবেতেই ছিলেন, এখনও আছেন। তাঁর আরও বক্তব্য, অতিমারি দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছে। এই অর্থনৈতিক অবক্ষয়ের কারণেই সবার সাতে পাঁচে থাকার সময় এসে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy