‘গুমনামী' ছবিটি মুক্তির আগেই আইনি নোটিস পেলেন সৃজিত। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
‘গুমনামী’ ছবির মুক্তির আগে রণংদেহি নেতাজি গবেষকদের একাংশ। সিনেমার টিজার মুক্তি পাওয়ার পরই চিত্র পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে আইনি নোটিস পাঠালেন এক নেতাজি গবেষক। ছবির মুক্তি আটকাতে প্রয়োজনে মামলারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেউ কেউ।
যদিও বিষয়টিকে একেবারেই পাত্তা দিচ্ছেন না সৃজিত। তাঁর কথায়: “মুখার্জি কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে ছবি বানাচ্ছি। আমাকে কেউ আটকাতে পারবে না।” নেতাজির প্রপৌত্র চন্দ্র বসুর বক্তব্য, “মুখার্জি কমিশনের রিপোর্ট তো বাতিল করেছিল ভারত সরকার। যেটা বাতিল হয়েছে, তার ভিত্তিতে কী করে ছবি হতে পারে? ব্যবসায়িক কারণে গুমনামী বাবার সঙ্গে নেতাজিকে মিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
‘গুমনামী’ সিনেমায় নেতাজির চরিত্রে অভিনয় করছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। স্বাধীনতা দিবসে টিজার মুক্তি পায়। বেলগাছিয়ার বাসিন্দা নেতাজি গবেষক দেবব্রত রায়ের তরফে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে চিত্রপরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় এবং প্রযোজক সংস্থাকে। দেবব্রতবার আইনজীবী প্রদীপ কুমার রায় বলেন, “আমার মক্কেলের তরফ থেকে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে। এর জবাব যদি না পাওয়া যায়, তা-হলে হাইকোর্টে মামলাও করা হতে পারে।”
আরও পড়ুন: চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করতে ছুঁতমার্গ নেই: সঙ্ঘশ্রী
গুমনামী বাবাই কি নেতাজি? এ নিয়ে বিস্তর মতপার্থক্য রয়েছে নেতাজি গবেষকদের মধ্যে। কেউ মনে করেন গুমনামী বাবাই নেতাজি। আবার কারও মতে, গুমনামী বাবার সঙ্গে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কোনও সম্পর্কই নেই। এই বিতর্কের মাঝে গুমনামী বাবাকে নিয়ে সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে আইনি নোটিস দেওয়ার পরে ফের বিতর্ক শুরু হয়েছে।
গুমনামী বাবাকে নিয়ে ছবি করার কথা ঘোষণার পরই আপত্তি জানিয়ে ছিলেন বসু পরিবারের একাংশ। সরব হন নেতাজির প্রপৌত্র চন্দ্র বসুও। টিজার মুক্তির পর তিনি বলেন, “নেতাজির সঙ্গে গুমনামী বাবার যোগসূত্র স্থাপনের চেষ্টা ভুল। যদি কোনও প্রমাণ থেকে থাকে, তা হলে প্রকাশ করার আবেদন জানাচ্ছি। কোনও তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই কেন নেতাজির সঙ্গে গুমনামী বাবাকে মিলিয়ে দেওয়া হল? তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা।”
আরও পড়ুন: বাড়ির বাইরে ঝাঁ চকচকে গাড়িটা তারই, এখনও বিশ্বাস হয় না অঙ্কিতার
গুমনামী বাবা নিয়ে যখন পারদ চড়ছে, তখন কী বলছেন সৃজিত? তাঁর কথায়: “মুখার্জি কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে ছবি বানাচ্ছি। আমাকে কেউ আটকাতে পারবে না। সরকারি নথিতে যা রয়েছে, তার বাইরে কিছু করছি না। সেখানে গুমনামী বাবা এবং নেতাজির বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে।”
আইনি নোটিসের বিষয়ে সৃজিতের মন্তব্য: “এখনও হাতে পাইনি। নোটিস দেখে উত্তর দেওয়া হবে। আদালতে গেলে যাবেন। কারও স্বার্থে ঘা লাগলে আমার কিছু করার নেই।” কারও স্বার্থে ঘা লাগছে? এই প্রশ্নের জবাবে অবশ্য তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy