দেব।
গাজনের মেলা দেখতে মু্ম্বই থেকে মামার বাড়ি এসেছেন দীপক অধিকারী। তখন তিনি খুবই ছোট। সবার সঙ্গে হইহই করতে করতে গ্রামের মেলায় গিয়েছেন। সেখানেই সম্ভবত কেউ কিছু খাইয়ে দিয়েছিল তাঁকে। সঙ্গে সঙ্গে অজ্ঞান তিনি। যার জেরে কিছুক্ষণ নয়, টানা একটি দিন জ্ঞান ফেরেনি তাঁর! এ দিকে গ্রামবাসীরা ভেবেছেন, তিনি মৃত। নির্দিষ্ট সময়ের পরে তাঁকে দাহ করতে নিয়ে চলে আসেন শ্মশানে।একটি টক শো-এ এমনই গায়ে কাঁটা দেওয়া ঘটনার কথা জানিয়েছেন দীপক ওরফে দেব অধিকারী।
টক শো-এ দেবের সঙ্গে ছিলেন রুক্মিণী মৈত্রও। পুরো ঘটনা জেনে শিউরে ওঠেন তিনিও। সঞ্চালক শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় কথা বলতে ভুলে গিয়েছেন। দেব তত ক্ষণে শুনিয়েছেন ঘটনার বাকি অংশ। দেব নিখোঁজ হতেই সাংসদ-তারকার দিদা তো নাতিকে হন্যে হয়ে খুঁজছেন। আর কাঁদছেন, কী জবাব দেবেন মেয়ে-জামাইকে! এ দিকে শ্মশানে ফেলে রেখে যাওয়ার এক দিন পরে জ্ঞান ফেরে দেবের। সারা রাত খোঁজাখুঁজির পর তাঁকে খুঁজে পান দিদা, মামারা। দিদা ততক্ষণে প্রতিজ্ঞা করে ফেলেছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেবকে বাড়ি পাঠিয়ে দেবেন। কারণ, তিনি তাঁর মেয়ের একমাত্র সন্তান।
চমকের তখনও আরও বাকি। নাতির জন্য দিদা সেই সময় মানত করেছিলেন, দেবকে খুঁজে পেলে বড় হওয়ার পর তিনি ওঁকে দিয়ে গাজনের সন্ন্যাস পালন করাবেন। দিদার মানত রাখতে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার পরে আবার গ্রামে ফিরেছিলেন তাঁর ‘রাজু’ (দেবের ডাক নাম)। এক সপ্তাহের জন্য তিনি ‘ভক্তা’ বা গাজনের সন্ন্যাসী হয়েছিলেন। অন্যান্য সন্ন্যাসীদের মতো তখন তিনিও মন্দিরে থাকতেন। নিয়ম পালন করতে গিয়ে আগুন, কাঁটা ঝাঁপ কিচ্ছু বাদ দেননি!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy