এই মুহূর্তে দৃপ্তর মোটিভেশন কী?
বেসিক্যালি আনফরচুনেট... মানেচাপে পড়ে একটি মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়ে গেছে যে মেয়েটিকে সে কখনও চায়নি।কিন্তু মেয়েটি ভবিষ্যৎ দেখতে পায়। মেয়েটি বারংবার দৃপ্তকে বাঁচায়। সে কারণে একটা খারাপ লাগাও আছে। সব মিলিয়ে মিশিয়ে অদ্ভুত একটা পাজলড হয়ে রয়েছে দৃপ্ত।
শ্রুতি মানে আপনার নায়িকা তো নতুন। কাজ করে কেমন লাগছে?
খুব ভাল লাগছে। ও যথেষ্ট ডেডিকেটেড। কাজটা মন দিয়ে করছে। বেশ ভাল। খুব স্মুদ হচ্ছে বিষয়টা।
নায়িকার সঙ্গে আলাদা করে সময় কাটাচ্ছেন?
হা হা হা...। না না, সেরকম কোনও ব্যাপার নেই। আমাদের তো প্রচন্ড টাইট শিডিউল থাকে... যা হয় ফ্লোরের মধ্যেই। তার বাইরে আমার ফ্যামিলিকে আমি প্রচন্ড টাইম দিই... আমার মাকে। সেটাই লাইফ।
টাইট শিডিউলের মধ্যে ব্যক্তিগত জীবন কেমন চলছে?
ব্যক্তিগত জীবন বলতে আমি আর আমার মা। আমার কনসেন্ট্রেশন থাকে আমার কাজে। ছুটি থাকলে খুব একটা ভাল্লাগে না। কাজে থাকলে, কাজ করতে পারলে আমি ভাল থাকি।
আরও পড়ুন, মুসলিম ছেলের সঙ্গে দিদির সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন হৃতিক
তো মা কী বলেন?
মা হ্যাবিচুয়েটেড। মা জানে, মা বোঝে বিষয়টা। মা অ্যাপ্রিসিয়েটও করে। বলে, ‘তুই মন দিয়ে কাজ কর’।
আপনার আগের কাজকর্ম?
‘প্রভু আমার’ দিয়ে কাজ করা শুরু করি। পরে ‘খুশি’ সিরিয়ালে একটু বড় মেনচরিত্র পাই। তারপর বড় ব্রেক পাই ‘তোমায় আমায় মিলে’ সিরিয়ালে। সিরিয়ালটা হিট করে। পরে ‘শুভদৃষ্টি’ সিরিয়াল করলাম। সেটাও সুপার ডুপার হিট। ইরোজ নাও-এর ‘অমর প্রেম’ বলে একটা মুভি করলাম। তারপর তো ‘ত্রিনয়নী’ও হিট।
অভিনয় ছাড়া আর কী করতে ভালবাসেন?
লেখালেখি করতে পছন্দ করি। মেকিং, এডিটিং, ক্যামেরা খুব পছন্দের। ভবিষ্যতে আই ক্যান বি আ মেকার। অনেকগুলো স্ক্রিপ্ট রেডি আছে। ফিউচারে ভগবান যদি সাথ দেয় তো...
স্ক্রিপ্ট ছাড়া কী লেখেন?
কবিতা। আমার এক দাদা কাম বন্ধু শ্রীজাতদার খুব ক্লোজ ফ্রেন্ড। ‘দাঁড়াবার জায়গা’ বলে একটা কালেকশনে আমাকে না জানিয়ে আমার কবিতা ছেপেছিল। এখানে নতুন কবিদের কবিতা ছাপা হয়। তো সেটা ছিল সারপ্রাইজ।
‘ভবিষ্যতে আই ক্যান বি আ মেকার। অনেকগুলো স্ক্রিপ্ট রেডি আছে...’
ফ্যানদের কাছ থেকে কেমন রেসপন্স পাচ্ছেন?
এন্ড অব দ্য ডে খুব সত্যি কথা বলি, জানেন তো, ফ্যান ফলোয়ারস, স্টারডম, কলার উঁচু করে দু’দিন কাজ করলাম- এগুলোতে খুব একটা বিলিভ করি না। কারণ আমি খুব প্র্যাক্টিক্যাল। ভাল কাজ করলে দর্শক অ্যাপ্রিসিয়েট করবে। কাল যদি ঠিকঠাক কাজ না করি দর্শক কিন্তু ভুলে যাবে। সুতরাং আমার কাছে কাজটা মন দিয়ে করাটাই বেশি ইম্পরট্যান্ট হয়ে দাঁড়ায়। আমাকে তো দর্শক কাজের জন্যই চেনে, কাজের জন্যই ভালবাসে। তো ভাল কাজ করলে তারা মনে রাখবে। যেমন, এই সিরিয়ালের জন্য খুব ভাল রেসপন্স পাচ্ছি। কিন্তু কোথাও সাব কনসাস মাইন্ডে কাজ করে যে, যদি ঠিকঠাক কাজ না করি তো এই দর্শক একদিন আমাকে ভুলে যাবে। তো দর্শকদের এন্টারটেন করাটাই আমার মেন কাজ।
বিশেষ করে তরুণী দর্শকেরা...
হা হা হা... তরুণীদের প্রচুর আগ্রহ বুঝতে পারছি। গত আট বছর ধরে, মানে আমি যবে থেকে কাজ করছি প্রত্যেক বার্থ ডে-তে একটা গিফট আসে। কে পাঠায় আই ডোন্ট নো। নাম থাকে না, ঠিকানা থাকে না। এবছরও এসেছে। এছাড়া প্রচুর চিঠি পাচ্ছি।
কী রকম গিফট আসে?
এবারে আমার ফটো পাঠিয়েছে। আগের বছর একটা নোটবুক আর লেটার বক্স। তার মধ্যে চিরকুটে ছোট ছোট অনেক কবিতা লেখা। খুব ইন্টারেস্টিং! অথচ গত আট বছর ধরে জানতে পারলাম না কে এসব পাঠায়।
ভীষণ ডেডিকেটেড ফ্যান।
হ্যাঁ... খুব। আরও অনেকেই আছে আমি কোথায় থাকি রীতিমতো খোঁজ নিয়ে... হা হা... সমস্যা করে দেয় আরকি।
আরও পড়ুন, বনি-কৌশানির নতুন ছবি ‘জানবাজ’, মুক্তি পেল ট্রেলার
কৌতূহল হয় না?
প্রথম দিকে খুব কৌতূহল ছিল। এখন কাজের দিকে বেশি মন থাকে তো... বিষয়টা একদিক থেকে খুব ভাল লাগে... এইভাবে নিই যে, আমার কোনও কাজ হয়তো তার খুব ভাল লেগেছে। হয়তো সে যেরকম পুরুষ পছন্দ করে সেই চরিত্রের মধ্যে সেটা পেয়েছে।বুঝতে পারি যে সে আমাকে নিয়ে খুব ভাবছে (হাসি)। আমার কোনও চরিত্র তার ভাল লেগেছে সেই হিসেবেই আনন্দ পাই। অন্য কোনও ভাবে বিষয়টাকে দেখি না।
তরুণীই তো?
হ্যাঁ...। হা হা... তরুণী, সেটা ডেফিনটলি আমি জানি।
(হলিউড, বলিউড বা টলিউড - টিনসেল টাউনের টাটকা বাংলা খবর পড়তে চোখ রাখুন আমাদের বিনোদনের সব খবর বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy