আসল ‘ফাইটার’ কে?
চেহারায় তাৎক্ষণিক পরিবর্তন চাইলে তা অনেক সময়েই স্বাস্থ্যকর হয় না। বলছেন হৃতিক রোশনের ফিটনেস প্রশিক্ষক ক্রিস গেথিন। পরবর্তী ছবি ‘ফাইটার’-এর জন্য কঠোর শরীরচর্চা করেছেন অভিনেতা। তাঁর ডায়েট প্ল্যানও বদলে দিয়েছিলেন ক্রিস। এক সাক্ষাৎকারে ভাগ করে নিলেন সেই অধ্যায়।
ক্রিস জানান, ফিটনেস বজায় রাখা কেন জরুরি, অতিমারি আবহে ঘরবন্দি মানুষ আরও বেশি করে বুঝতে পেরেছেন। শরীর দুর্বল হলেই তাতে রোগ বাসা বাঁধে। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত শরীরচর্চার বিকল্প নেই। সেই সঙ্গে উদাহরণ দেন হৃতিকের। ৪৯ বছর বয়সে এসেও তিনি নবীন প্রজন্মের অনুপ্রেরণা হতে পারেন, দাবি ক্রিসের।
সূত্রের খবর, ‘ফাইটার’-এর জন্য ১২ সপ্তাহ ধরে কঠোর পরিশ্রমের পর চেহারা বদলেছেন অভিনেতা। তাঁর পেশি এখন আরও বেশি পুষ্ট। ‘বিক্রম বেধা’র সময় যতটা ওজন বাড়িয়েছিলেন, তারও থেকেও বেশি কমিয়ে ফেলেছেন বর্তমানে। কাজটা সহজ হয়েছিল ক্রিসের মতো প্রশিক্ষক পাশে ছিলেন বলেই।
ক্রিস জানান, ২০১১ সালে তাঁর এক বই প্রকাশের জন্য ভারতে এসেছিলেন তিনি। সেই বইয়ের এক কপি হৃতিককে উপহার দিয়েছিলেন ক্রিসেরই এক বন্ধু। বইয়ের নাম ‘গাইড টু ইয়োর বেস্ট বডি’। যা পড়ে অভিভূত ‘লক্ষ্য’-র নায়ক যোগাযোগ করেছিলেন লেখক ক্রিসের সঙ্গে। ‘আমায় প্রশিক্ষণ দেবেন?’ জিজ্ঞেস করেছিলেন তাঁকে। হৃতিক তখন মেরুদণ্ডের এক সমস্যায় শয্যাশায়ী। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে ভারতে উড়ে আসেন ক্রিস। এসে শোনেন, হৃতিক প্রচুর পরিমাণে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাচ্ছেন। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। এর পরই হাল ধরেন ক্রিস। নয় থেকে দশ সপ্তাহ, তার মধ্যেই ‘কৃষ ৩’-এর জন্য প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিলেন হৃতিক। এর পর চেহারার বিভিন্ন বদলের পিছনে কাজ করেছেন ক্রিস। কিছু ক্ষেত্রে অনলাইনেই প্রশিক্ষণ। তবে ‘বিক্রম বেধা’র পর বড়সড় বদলের মধ্যে দিয়ে গেলেন অভিনেতা। তার জন্য শারীরিক ঝক্কি কম পোহাননি। তবু আশাবাদী ক্রিস। জানেন, ঠিক সামলে নেবেন নায়ক।
কী কী রয়েছে হৃতিকের খাদ্যতালিকায়?
ক্রিস বলেন, “ ‘ফাইটার’-এর উপযুক্ত চেহারা বানাতে দিনে ৬ বার খান হৃতিক। সঙ্গে প্রোটিন শেক।” সঙ্গে এ-ও বলেন, “তিনি মিষ্টি খেতে ভালবাসেন। চকোলেট কিংবা কেক অথবা মিষ্টি জাতীয় কোনও কিছুই এখন ওঁকে খেতে বারণ করেছি।”
হৃত্বিক অবশ্য সম্প্রতি প্রচার অনুষ্ঠানে এসে জানিয়েছেন, ডায়েট যেমন করেন, তেমন ১৫ দিন অন্তর একটি ‘চিটমিল’ও খান। অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য ঠেকলেও হৃত্বিক জানিয়েছেন, তাঁর খাদ্যতালিকায় সে দিন থাকে শিঙাড়া। যতই ডায়েট করুন না কেন, মাসে এক দিন হলেও ধোঁয়া ওঠা গরম শিঙাড়ায় কামড় বসানো চাই-ই তাঁর। এ প্রসঙ্গে হৃতিক বলেন, ‘‘প্রতি দিন যদি নিয়ম মেনে চলা যায়, তা হলে এক দিন শিঙাড়া বা পছন্দের কোনও খাবার খেলে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। বরং এতে মন ভাল থাকবে। সব খেয়েও রোগা থাকা যায়। যদি সঠিক পদ্ধতি মেনে খেতে পারেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy