চেনা গানের ভিড়ে কোথাও হারিয়ে গিয়েছে সেই সব সুর। বসন্ত উৎসবের আমেজে সে সব ফিরে দেখা যাক। গ্রাফিক্স—শৌভিক দেবনাথ
রঙের উৎসব বা হোলির গান বললে ঘুরেফিরে একই গান মাথায় আসে? বলিউডে অতি পরিচিত, বহুশ্রুত গানগুলির বাইরেও হোলিকেন্দ্রিক কিছু অসামান্য গান আছে। গেয়েছেন প্রিয় শিল্পীরাই। তবুও চেনা গানের ভিড়ে কোথাও হারিয়ে গিয়েছে সেই সব সুর। বসন্ত উৎসবের আমেজে সে সব ফিরে দেখা যাক।
হারিয়ে যাওয়া গানের তালিকায় শুরুতেই আছে লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া এক মীরার ভজন, ‘কিনু সঙ্গ খেলুঁ হোলি’। এটি সিনেমার গান নয়। অ্যালবামের নাম ছিল ‘চল ওহি দেশ’। লতা মঙ্গেশকরের ভাই, সুরকার হৃদয়নাথ মঙ্গেশকর সুর দিয়েছিলেন এই ভজনে। বিরহ বা বিচ্ছেদের বেদনা ওঠে এসেছিল গীতিকায়। মীরা যেন বলছেন, তাঁর প্রিয়তম শ্রীকৃষ্ণের অনুপস্থিতিতে কার সঙ্গেই বা তিনি হোলি খেলবেন!
এমন আরও একটি গান ‘পিয়া সঙ্গ খেলুঁ হোলি ফাগুন আয়ো রে’–এর সুরকার ছিলেন শচীন দেববর্মণ। গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল ‘ফাগুন’(১৯৭৩) ছবিতে। লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া সেই গানে উঠে আসে এক প্রতীক্ষায় থাকা নারীর ছবি, যে তার প্রিয় মানুষটির সঙ্গে হোলি খেলতে চায়। কিন্তু এ গানে বিষাদের বদলে আছে উচ্ছলতা।
হোলির কথা উঠলে প্রায় সকলেই ‘সিলসিলা’(১৯৮১) ছবিতে অমিতাভ বচ্চনের গাওয়া ‘রঙ্গ বরসে’ গানটির কথা বলেন। কিন্তু ‘বাগবান’(২০০৩) ছবির ‘হোলি খেলে রঘুবীরা’ গানটি যেন আরও বেশি মধুর। সুরকার আদেশ শ্রীবাস্তব। অমিতাভের সঙ্গে এই গান গেয়েছিলেন সুখবিন্দর সিংহ, অলকা ইয়াগনিক, উদিত নারায়ণ।
‘গোপাল কৃষ্ণ’ (১৯৭৯) ছবির ‘আয়ো ফাগুন হটিলো’ হোলির আর একটি অন্য রকম গান। রবীন্দ্র জৈনের সুরে গানটি গেয়েছিলেন যশপাল সিংহ এবং হেমলতা।
অন্য দিকে, রাহুল দেববর্মণও হোলির প্রেক্ষাপটে বেশ কিছু গান ব্যবহার তৈরি করেছেন ছবির জন্য। ‘আয়ো রে আয়ো খেলো হোলি বিরাজ মে’ গানটি ‘বালিকা বধূ’ (১৯৭৬) ছবির জনপ্রিয় গান। আনন্দ বক্সীর লেখা এই গানে ধরা পড়েছে রঙের উৎসবের জীবন্ত ছবি।
‘কটী পতঙ্গ’ ছবির ‘আজ না ছোড়েঙ্গে’ গানটির কথাও না বললেই নয়। রঙের উৎসবের অন্যতম সেরা গান সেটি। আর ডি'র সুরে এই গান গেয়েছিলেন কিশোর কুমার এবং লতা মঙ্গেশকর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy