১৮টি ছবির ঝলকমুক্তি স্থগিত রাখলেন হিমাংশু ধানুকা। ছবি: সংগৃহীত।
শুধু প্রতিবাদী মিছিলে শামিল হওয়া নয়। একের পর এক ছবিমুক্তি, ছবির ঝলক মুক্তিও পিছিয়ে দিয়েছে বাংলা বিনোদন দুনিয়া। এর আগে আনন্দবাজার অনলাইন প্রথম জানিয়েছিল, প্রযোজক অশোক ধানুকা-হিমাংশু ধানুকা অগস্টের শেষে একসঙ্গে ১৮টি ছবির ঝলক মুক্তি দিতে চলেছেন। শুক্রবার হিমাংশু তাঁদের প্রযোজনা সংস্থা এসকে মুভিজ়ের পক্ষ থেকে আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, “আপাতত ১৮টি ছবির ঝলক মুক্তি পাচ্ছে না। ঝলক মুক্তির সময় আরও পাব। আগে মৃতা তরুণী চিকিৎসক ন্যায়বিচার পান। এই মুহূর্তে বাকিদের মতো আমরাও মন থেকে তা-ই চাইছি।”একই সঙ্গে আভাস দেন, আগামীতে তাঁদের ছবিতে আরজি কর-কাণ্ডের ছায়া থাকতেও পারে।
অস্থির পরিস্থিতিতে ঝলক মুক্তি পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রথম নিয়েছিলেন দেব। তিনি বিদেশ থেকে প্রথম সমাজমাধ্যমে লেখেন, ১৪ অগস্ট তাঁর আগামী ছবি ‘খাদান’-এর ঝলক মুক্তি আপাতত স্থগিত রাখছেন। তাঁর আর্জি ছিল, সকলে যেন সংঘবদ্ধ ভাবে প্রতিবাদে শামিল হন। দেবের পরেই একই পথে হেঁটেছেন নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। তাঁদের পুজোর ছবি ‘বহুরূপী’র ঝলক মুক্তি স্থগিত রাখেন তাঁরা। তালিকায় রয়েছে রানা সরকারের ‘অঙ্ক কী কঠিন’, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের ‘যমালয়ে জীবন্ত ভানু’, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের ‘এই রাত তোমার আমার’। এ বার সেই তালিকায় নতুন সংযোজন, অশোক-হিমাংশুদের ১৮টি ছবি।
ছবির ঝলক মুক্তি প্রসঙ্গে এর আগে অশোক জানিয়েছিলেন, পুজোর পর থেকে ২০২৪-২০২৫ জুড়ে তাঁদের ১৮টি ছবি মুক্তি পাবে। ঝলক মুক্তি পিছনো মানে ছবিমুক্তিও পিছিয়ে যাবে? প্রযোজনা সংস্থার হাতে ইতিমধ্যেই অনেক ছবি জমে রয়েছে। ছবিমুক্তি পিছিয়ে গেলে ব্যবসায়িক দিক থেকে ক্ষতির মুখ দেখবেন তাঁরা? আনন্দবাজার অনলাইনের এই প্রশ্নে প্রযোজনা সংস্থার অন্যতম কর্ণধারের বক্তব্য, “আমাদের প্রথম ছবিমুক্তি ছিল শাকিব খানের ‘দরদ’। সেপ্টেম্বরে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। আপাতত ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে না। পুজো অথবা পুজোর পরে ‘দরদ’মুক্তি পেতে পারে।” তিনি এও জানান, পুরোটাই আলোচনাসাপেক্ষ। তাঁর দাবি, যে হেতু এক বছর ধরে ছবিমুক্তির পরিকল্পনা তাঁদের তাই ব্যবসায়িক দিক থেকে কোনও ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।
সমাজে ঘটে যাওয়া অন্যায় বিনোদনের সব মাধ্যমেই অল্পবিস্তর ছায়া ফেলে। অনেক সময় সত্য ঘটনার আধারে তৈরি হয় ছবি। সেই জায়গা থেকে এসকে মুভিজ় আগামী দিনে আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে ছবি প্রযোজনা করবে? হিমাংশুর সাফ জবাব, “আমাদের কাছে লেখকেরা গল্প নিয়ে আসেন। আর এই ধরনের ঘটনা তাঁদের লেখায় ছাপ ফেলে। ফলে, আগামীতে এই ধরনের গল্প নিয়ে কেউ এলে তার থেকে ছবি তৈরি হওয়া উচিত বলেই মনে করি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy