দীর্ঘ দাম্পত্যেও ফিকে হয়নি ধর্মেন্দ্র-হেমার প্রেম। ছবি: সংগৃহীত।
জীবনের সাড়ে সাত দশক পেরিয়ে হেমা মালিনী এখনও অনেকের কাছে স্বপ্নসুন্দরী। অভিনয়, নাচ, রাজনীতি— নানা বিষয়ে এখনও নিজেকে জড়িয়ে রাখেন হেমা। বহু চেনা ছকও ভেঙেছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা ধর্মেন্দ্রের সঙ্গে তাঁর বিয়ে নিয়ে কথা বললেন অভিনেত্রী।
প্রথাগত ভাবে দেখেশুনে বিয়ে হয়নি অভিনেত্রীর। প্রকাশ কউরের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে থাকা ধর্মেন্দ্রকে ভালবেসেছিলেন হেমা, বিয়েও করেছিলেন। তবে ৪৩ বছরের দাম্পত্যজীবনে কখনও ধর্মেন্দ্রের আগের সংসার ভাঙার কথা ভাবেননি তিনি।
প্রথাভাঙা বিয়ে এবং দাম্পত্য নিয়ে হেমা জানান, ভালবাসা এমনই একটা ব্যাপার, কারও সঙ্গে জড়িয়ে পড়লে, কাউকে পছন্দ করলে, এটা চলতেই থাকে। তাঁর কথায়, “প্রথাগত কিছু আমার জন্য নয়। সেই কারণেই আমি সব কিছু করতে পেরেছি।”
তাঁর সাফ কথা, “আমার বিয়েটা যদি প্রথাগত ভাবে হত, তা হলে আমি কিছুই হতে পারতাম না জীবনে। এই যে আমি অভিনয় করছি, নাচ করছি, নানা জায়গায় কথা বলতে যাচ্ছি, রাজনীতি করছি, এত কিছু কি করতে পারতাম, যদি আর পাঁচ জনের মতো ছকবাঁধা জীবন হত আমার?”
কিছু দিন আগেই তাঁদের বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে শুভাকাঙ্ক্ষীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন ‘শোলে’র অভিনেত্রী। ভাগ করে নিয়েছেন কিছু স্মৃতিমেদুর ছবিও। দীর্ঘ দাম্পত্যেও ফিকে হয়নি তাঁদের প্রেম।
সত্তর দশক থেকেই হেমা মালিনী মন দিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্রকে। তত দিনে ধর্মেন্দ্র প্রকাশ কউরকে বিয়ে করে সংসার পেতেছেন। ১৯৮০ সালে যখন তিনি হেমা মালিনীকে বিয়ে করেন, তখনও প্রকাশের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কেই ছিলেন। যদিও থাকতেন হেমার সঙ্গেই।
স্বামীর অন্য পরিবারের প্রতি কি ঈর্ষান্বিত হননি হেমা? সিমি গ্রেওয়ালের অনুষ্ঠানে হেমাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ধর্মেন্দ্রর মনোযোগে ভাগ বসাতে তাঁর আগের পক্ষের সঙ্গে প্রতিযোগিতার মনোভাব ছিল কি না হেমার। হেমা বলেন, “একেবারেই নয়। ভালবাসায় শুধু দেওয়ার ব্যাপার থাকে। পাওনা কিংবা দাবি থাকে না।” অভিনেত্রীর মতে, ভালবাসার মাঝখানে কিছুই আসতে পারে না।
হেমা যদিও দীর্ঘ সময় পর্দা থেকে দূরে থেকেছেন। ধর্মেন্দ্র যদিও পুরোদমে অভিনয় করে চলেছেন। শীঘ্রই তাঁকে দেখা যাবে কর্ণ জোহরের ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’তে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy