বসন্ত এসে গেছে! তার হাত ধরে জন্মদিনও এসেছে। শুক্রবার রাত থেকেই শ্রীমা ভট্টাচার্যের জন্মদিনের আগাম উদযাপন শুরু। এমন দিনে নায়িকারা তো বটেই, নায়কেরাও বয়স লুকোন। ধারাবাহিক ‘গাঁটছড়া’র ‘দ্যুতি’ ব্যতিক্রম। ২৫-এ পা দিয়েছেন। সে কথা সগর্বে ঘোষণা করেছেন। আরও একটি খবর প্রকাশ্যে। ঋতুরাজ তাঁর জীবনে সম্ভবত প্রেমও এনেছে!
এক সুদর্শনের সঙ্গে শ্রীমা একান্তে। নাম কনিষ্ক শেঠ। জন্মদিনের ঠিক আগে একসঙ্গে তোলা সেই ছবি ভাগ করে নিয়েছেন কনিষ্ঠ। টেলিপাড়া বলছে, ঝকঝকে যুবক পেশায় ক্রিকেটার!
ক্রিকেট আর বিনোদন দুনিয়ার রোমান্স বহু যুগের। বলিউডে অনেক উদাহরণ রয়েছে। টলিউডও কি সেই পথেই? শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি আনন্দবাজার অনলাইন প্রশ্ন রেখেছিল অভিনেত্রীর কাছে। খানিক রেখেঢেকেই উত্তর দিয়েছেন শ্রীমা। বলেছেন, ‘‘আমরা একে অন্যের খুব ভাল বন্ধু। একসঙ্গে সময় কাটাই। সময় কাটাতে ভালওবাসি। এই ভাললাগা যদি থেকে তার, তা হলে সময় বলবে আগামী দিনে সেই অনুভূতি ভালবাসা হবে কি না।’’ এই ভাললাগা থেকেই শুক্রবারের মধ্যরাতের উদযাপনে কনিষ্ক কিন্তু ছিলেন শ্রীমা এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে।
শুক্রবার থেকে আর কী কী হচ্ছে? ছোট পর্দার বড় মেয়ে জানিয়েছেন, জন্মদিনের আগের রাতে তিনি দক্ষিণ কলকাতায় তাঁর দাদার বাড়িতে ছিলেন। সেখানেই তাঁর দাদা, হবু বউদি, বেশ কিছু বন্ধু এবং কনিষ্ক তাঁকে চমকে দেন। খুব সুন্দর করে সাজানো ঘরে চকোলেট কেক কাটেন শ্রীমা। ছিল শ্যাম্পেনের ফোয়ারা। রাতভর হুল্লোড়ের পর শনিবার তিনি দমদমে নিজের বাড়িতে। সকাল থেকে তাঁর মঙ্গলকামনায় নারায়ণ পুজো হচ্ছে। শ্রীমার তাই উপোস! জন্মদিনে তা হলে নিরামিষ বরাদ্দ? প্রশ্ন শুনে হেসে ফেলেছেন। জানিয়েছেন, সেটা পুজো মিটলে বুঝতে পারবেন।
পর্দায় নিজের বয়সের থেকে এগিয়ে তিনি। শোলাঙ্কি রায় তাঁর সম্বোধনে ‘শোলাঙ্কিদি’। পর্দায় তাঁর দিদি হয়ে উঠতে কোনও অসুবিধে হয়েছিল? ‘‘একেবারেই না। চরিত্রের খাতিরে আমাদের সব কিছুই পারতে হয়’’, বক্তব্য ‘দ্যুতি’র। সবটাই পর্দায় ঘটছে। বাস্তবে তিনি শোলাঙ্কির চেয়ে ছোট। তাই শ্যুটের অবসরে পুরনো সম্বোধনেই ডাকেন। প্রয়োজনে পরামর্শ নেন।
অনুরাগীরা এর আগে তাঁকে ‘খলনায়িকা’ হিসেবে দেখেননি। কী বলছেন তাঁরা? মেনে নিতে পারছেন? ‘দ্যুতি’র দাবি, ‘‘আমার চরিত্র একেবারেই খলনায়িকা নয়। ধূসর স্তরের পরিমাণ একটু বেশি। আমার বোন খড়ি একটু বেশি নিখুঁত। একটু বেশি ভাল। আমি একটা সময়ের পর স্বার্থপর। বাস্তবে এই ধরনের চরিত্র হামেশাই দেখা যায়।’’
তার পরেই অভিনেত্রী জানিয়েছেন, অনুরাগীরা নাকি বলতে ছাড়েননি, ‘‘তুমি শোলাঙ্কিদির সঙ্গে এ রকম আচরণ করতে পারছ!’’ শ্রীমার মতে, এখানেই তাঁর অভিনয় সার্থক। দ্যুতিকে তিনি বিশ্বস্ত করতে পেরেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy