‘লেফট রাইট লেফট’ অভিনেতা জানান, দৃশ্যটি সত্যিই ঠিকঠাক হওয়ার প্রয়োজন ছিল। ছবি—সংগৃহীত
রূপান্তরকামীর সঙ্গে যৌনতার দৃশ্যে অভিনয় করা নিয়ে প্রথম বার মুখ খুললেন অভিনেতা গৌরব চোপড়া। জানালেন, দৃশ্য যেমনই হোক, সেটিকে বাস্তব করে তোলাই তাঁর উদ্দেশ্য ছিল।
মুক্তির তিন সপ্তাহ পরেও নেটফ্লিক্সের অরিজিন্যাল সিরিজ় ‘রানা নায়ডু’ নিয়ে কথাবার্তা, আলাপ-আলোচনা চলছে। শুধু নির্মাণশৈলীর অভিনবত্বের জন্য নয়, ভেঙ্কটেশ ডগ্গুবতীর হায়দরাবাদি হিন্দি এবং আত্মবিশ্বাসী অবতারে রানা ডগ্গুবতীর অবতীর্ণ হওয়া থেকে শুরু করে যৌনতা এবং হিংসাত্মক দৃশ্যগুলিও চর্চা জারি রেখেছে।
একটি বিশেষ দৃশ্যে প্রিন্স রেড্ডির চরিত্রটি (গৌরব চোপড়া অভিনীত) শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠ হয় চাঁদনির, যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন রূপান্তরকামী অভিনেতা সিয়া মলসি। দর্শককে প্রিন্সের এই যৌনতার বোধ তার ভিতর লুকিয়ে থাকা ‘পাশব প্রবৃত্তি’র ইঙ্গিত দিচ্ছে। যা নিয়ে দানা বাঁধছে বিতর্কও।
গৌরব বলেন, “সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করতে আমার কোনও সমস্যা হয়নি। আমি জানতাম, এটা আমায় করতে হবে। এক বার হ্যাঁ বলে দেওয়ার পর আমি তাতে পুরোপুরি ঝাঁপাই। খুব বেশি ভাবি না আর।”
গৌরব আরও বলেন, “কিছু দৃশ্যের পরামর্শ আমিই দিয়েছিলাম। অভিনয় করার সময় ভাবি না যে, তা থেকে কী সুবিধা পাব বা কতখানি কাঠখড় পোহাতে হবে। কাজের ক্ষেত্রে সেটুকুই জরুরি।”
কিন্তু এই দৃশ্য আরোপিত নয়, স্পষ্ট করতে চাইলেন গৌরব। তিনি বলেন, “শিল্পের শর্তেই দৃশ্যগুলো রাখা হয়েছিল। জোর করে কিছু করা হয়নি।”
রূপান্তরকামী চরিত্রে একজন রূপান্তরকামীকে দিয়েই অভিনয় করানোর ঘটনা খুব বেশি ভারতীয় ছবি বা সিরিজ়ে ঘটেনি। ‘লেফট রাইট লেফট’ অভিনেতা জানান, দৃশ্যটি সত্যিই ঠিকঠাক হওয়ার প্রয়োজন ছিল। তাঁর কথায়, “আমার মধ্যে সঙ্কোচ থাকলে, স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে দৃশ্যটা ফুটিয়ে তুলতে পারতাম না। ভান করলে দর্শকের কাছে ধরা পড়ে যেতাম।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy