সাত বছর আগে ফিরে গেলেন গার্গী।
ফেসবুকে লাল্টু-মিতালির বার্তা, একাধিক চমক নিয়ে নতুন বছরে ফিরছেন দু’জনে।
১৪ ডিসেম্বরের সকাল থেকে সেই চমকের শুরু। অতিমারি পেরিয়ে তিন বছর পরে আবার ক্যামেরার মুখোমুখি শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়-গার্গী রায়চৌধুরী। উইনডোজ প্রোডাকশনের ছবি ‘রামধনু’র সেই চেনা দাম্পত্য জীবন্ত হবে তাঁদের সৌজন্যে। ২০১৪, ২০১৮-র পর ২০২২-এ বড় পর্দায় তৃতীয় বার জাদু দেখাবেন তাঁরা।
কেমন লাগছে গার্গীর?
কখনও শ্যুটের ব্যস্ততা। কখনও ফোনের নেটওয়ার্কে সমস্যা। সে সব পেরিয়ে যখন আনন্দবাজার অনলাইনের মুখোমুখি হলেন, অভিনেত্রী উচ্ছ্বসিত। বললেন, ‘‘লাল্টু-মিতালি মানেই যেন আটপৌরে দাম্পত্যের নতুন রূপ। লাল্টু দত্ত থেকে বিশ্বাস হয়ে এ বার কী হবে? ওর পদবি বদল মানেই মিতালিরও পদবি বদলে যাবে। পেশাও বদলাবে আমার পর্দার স্বামীর। ফলে, হাবভাব বদলাবে আমারও। একই সঙ্গে আমার চেহারা, সাজেও বদল আসছে। এত বদলে আমিই চমকে যাচ্ছি!’’ তার পরেই দাবি, ২০২১ জুড়ে তাঁর জীবনে নাকি চমকের পর চমক! এক বছরে ‘মহানন্দা’, ‘শেষ পাতা’, ‘হামি ২’ ছবিতে অভিনয়। এর থেকে বড় চমক এক জন অভিনেতার জীবনে আর কী হতে পারে? প্রশ্ন গার্গীর।
বলতে বলতেই গার্গী ফিরে গেলেন সাত বছর আগে। ‘রামধনু’র পথচলা শুরু সে বছর। জানালেন, প্রথম দিনের কথা আজও মনে পড়ে। ‘মিতালি’ হিসেবে প্রথম শ্যুটের পরে তিনি আর তাঁর ‘পর্দার স্বামী’ শিবপ্রসাদ নানা কথায় মগ্ন। পরিচালক জুটির অন্যতম নন্দিতা রায় কিন্তু ঠায় ক্যামেরা আগলে বসে। এক সময় ক্যামেরা থেকে চোখ সরিয়ে তিনি তাঁদের দিকে তাকাতেই গার্গী প্রশ্ন করেছিলেন, ‘‘কেমন লাগছে আমাদের জুটি? অভিনয় ঠিক হচ্ছে তো?’’ স্মিত হাসির সঙ্গে নন্দিতার আশ্বাস, ‘‘ঠিক আছে। ভালই তো হচ্ছে!’’ পর্দার ‘মিতালি’র দাবি, এই আশ্বাস এক জন অভিনেতার মনোবল যে কতখানি বাড়িয়ে দেয়, সেটা কথায় বোঝানো সম্ভব নয়। নন্দিতা রায় আজও ঠিক তেমনটাই রয়েছেন।
চার বছরে লাল্টু-মিতালির ছেলে ভুটু কি অনেকটাই বড় হয়ে গেল? প্রশ্ন শুনেই বাস্তবে ফিরলেন গার্গী। নিজেকে সামলে জবাব দিলেন, ‘‘সেটাও পর্দার জন্য তোলা থাক?’’ পরক্ষণেই তাঁর দাবি, ভুটু বড় হোক না হোক, চলতি বছর অভিনেত্রীকে অনেকটাই পরিণত করে দিয়েছে। কী ভাবে? ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়তে পুড়তে প্রস্থেটিক রূপটান নিয়ে ‘মহানন্দা’ হয়েছেন। শান্তিনিকেতন, বোলপুরের গরমে শ্যুট করেছেন অরিন্দম শীলের ছবি। সেই রেশ ভাল করে কাটার আগেই তিনি অতনু ঘোষের ‘শেষ পাতা’-য়। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে। পর পর দুটো ভিন্ন ধারার ছবিতে অন্য স্বাদের চরিত্রে অভিনয়ের পরেই ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে গার্গী ‘মিতালি’! হাসতে হাসতে বলেছেন, ‘‘আমার পেশা আমায় নিংড়ে নিয়েছে। জীবনের থেকে আর কী চাই? ’’ তারপরেই দুষ্টুমি, ‘‘নজর দেবেন না, প্লিজ...!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy