মহিলাদের স্বল্প বসন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সানা খান। ছবি: সংগৃহীত।
কেরিয়ারের রেখচিত্র যখন ঊর্ধ্বমুখী, নাম-যশ-খ্যাতির চাকচিক্য ছেড়ে আধ্যাত্মিক পথে হেঁটেছিলেন সানা খান। ইতি টেনেছিলেন অভিনয়ে। ২০২০ সাল। সানার হঠাৎ অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সকলকে অবাক করেছিল। সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে সানা লিখেছিলেন, “মানবসেবায় আত্মনিবেদন করতে চললাম। সৃষ্টিকর্তার এমনই নির্দেশ।” ২০২০ সালের নভেম্বরে ধর্মপ্রচারক মুফতি আনাস সইদকে বিয়ে করেন সানা। স্বামী, সংসার আর ধর্ম— এই নিয়েই এখন ব্যস্ত তিনি। বলিউডের কেরিয়ারের দিকে ফিরেও তাকাতে চান না। এ বার মেয়েদের স্বল্পবসন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সানা।
‘বিগ বস্ ৬’ খ্যাত সানা এক সময় চর্চায় থাকতেন তাঁর খোলামেলা পোশাকের জন্য। ‘ওয়াজহ তুম হো’ ছবিতে সানার উষ্ণ মূর্তি এখনও ভুলতে পারেননি দর্শক। তবে ১৫ বছরের অভিনয়জীবনে রাতারাতি ইতি টেনে গ্ল্যামার দুনিয়াকে বিদায় জানিয়েছিলেন সানা। সেই থেকে বোরখায় ঢেকে ফেলেছেন নিজেকে, কাটাচ্ছেন ভিন্ন জীবন। যদিও এক সময় কী ভাবে সাধারণ সালোয়ার কামিজ় পরা মেয়ে থেকে এমন ভাবে শরীর প্রর্দশন করতে শুরু করলেন, এক সাক্ষাৎকারে সে কথাই জানালেন অভিনেত্রী। পাশাপাশি ছোট পোশাক পরা মেয়েদের স্বামীরা কী ভাবে তাঁদের এমন পোশাকের অনুমতি দেন সে কথাও জানিয়েছেন।
সানা বলেন, ‘‘প্রত্যেক পুরুষই চায় তাঁর স্ত্রী এমন পোশাক পরুক যাতে শালীনতা বজায় থাকে। কিন্তু যখন দেখি যে পুরুষেরা তাঁদের স্ত্রীদের ছোট পোশাক পরতে দেয়, তখন আমি অবাক হই। বুঝতে পারি না সমস্যাটা কোথায়! অন্য পুরুষেরা যখন আপনার স্ত্রীকে হট বলেন, সেটা কি আপনার ভাল লাগে? ’’
এ ক্ষেত্রে সানা নিজের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘‘আপনারা জানেন ২০১৯-এ আমি যখন ঠিক করলাম যে এই সব কিছুকে আমি বিদায় জানাব, সেই সময় আমিও কিছু খারাপ কাজ করছিলাম। আমি জানতাম, সমাজমাধ্যমে দর্শক যে ভাবে আমায় দেখছে, বাস্তবে আমি তেমন মানুষ নই। আমি নির্দিষ্ট ধরনের পোশাক পরতাম, নাচতাম। আমার মনে হয় আমি যুবকদের পথভ্রষ্ট করেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy