শ্রুতি
একবিংশ শতকের গোড়ার দিকে যাঁদের ছোটবেলা কেটেছে, তাঁদের কাছে শ্রুতি শেঠ ‘শরারত’ ধারাবাহিকের জিয়া মলহোত্র। ওই ধারাবাহিকের দৌলতেই টেলিভিশনে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি। তার পরে ছোট পর্দায় দীর্ঘ কেরিয়ার। ‘ফনাহ’, ‘তা রা রাম পাম’ ছবিতেও নজর কেড়েছিলেন শ্রুতি। গত মাসে রিলিজ় হওয়া অল্ট বালাজির ওয়েব সিরিজ় ‘মেন্টালহুড’-এর অঁসম্বল কাস্টে শ্রুতিও (দীক্ষা শাহ) এক আর্বান মাদার। ‘‘বাস্তবেও আমি দীক্ষার মতোই ফ্রি-স্পিরিটেড মা। মেয়ের খাওয়াদাওয়া নিয়ে দীক্ষার মতো কড়া না হলেও স্বাস্থ্যসম্মত খাওয়াদাওয়া প্রেফার করি। আর জানেন তো, সব মায়েরাই ক্রেজ়ি হয়। রিল হোক বা রিয়্যাল, বাচ্চা মানুষ করতে গিয়ে মায়েরা একটু হাইপার হয়ই, ’’ হাসি তাঁর কণ্ঠে।
এই ওয়েব সিরিজ়ে করিশ্মা কপূর এবং ডিনো মোরিয়ার মতো এক সময়ের নামজাদা শিল্পীরাও কাজ করেছেন। ‘‘আমি নিজেও সিনেমায় কাজ করেছি। ওঁরা আছেন বলে আমি বলব না, ডিজিটালে কোনও রকম হায়ারার্কি আছে। আর মাধ্যম যতই বদলাক, অভিনয় তো অভিনয়ই। ডিজিটালের বড় সুবিধে হল, এখানে কনটেন্ট ও তা নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করার অনেক বেশি স্বাধীনতা পাওয়া যায়। টিভিতে যত দিন শো চলে, তত দিনই লোকে মনে রাখে। কিন্তু ভাল সিরিজ় হলে লোকে অনেক দিন মনে রাখবে,’’ মত তাঁর।
টেলিভিশন দিয়েই মূলত পরিচিতি শ্রুতির। ধারাবাহিকের পাশাপাশি ‘কমেডি সার্কাস’-এর মতো রিয়্যালিটি শোয়েরও কয়েকটি সিজ়নে সঞ্চালনা করেছেন। কমিক চরিত্রে তাঁকে বেশি দেখতে পাওয়া যায়। ‘‘বলতে পারেন, কমেডি আমি ভালবাসি। তার মানে যে অন্য জ়ঁরের প্রতি আকৃষ্ট হই না, তা নয়। তবে কমেডি করা কিন্তু খুব কঠিন,’’ হাসতে হাসতেই বললেন তিনি। ডিজিটাল কি টেলিভিশনের দর্শক কেড়ে নিচ্ছে? ‘‘একেবারেই নয়। এত বড় দেশ আমাদের, এত লোকসংখ্যা! সব মিডিয়ামের নিজস্ব দর্শক রয়েছে। আমার মনে হয়, প্রতিটি মিডিয়ামের একে অপরের কাছ থেকে কাজের ধারা শেখা উচিত। যাতে প্রতিটি মিডিয়ামে কাজের গুণগত মান বাড়ে,’’ বললেন তিনি।
শ্রুতির স্বামী পরিচালক দানিশ আসলাম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হ্যাশট্যাগ সেলফি উইথ ডটার ক্যাম্পেনের সমালোচনা করে তিনি টুইটারে কিছু মন্তব্য করেছিলেন। যার জেরে শ্রুতির নামেও বিষোদগার চলতে থাকে টুইটারে। শিল্পী হিসেবে বাক্স্বাধীনতা কি ভয় পান? ‘‘এখনও নিজের যা বলার, তা টুইট করি। তবে ওই ঘটনার পরে একটু সতর্ক হয়েছি। যারা টুইটে নেগেটিভ কমেন্ট করে, অন্যদের অশ্লীল ভাষায় কটূক্তি করে, তাদের বুঝিয়ে কোনও বদল আনা যাবে না। তাই কে কী মন্তব্য করছে, তা নিয়ে মাথা ঘামাই না। স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে বাক্স্বাধীনতা নিয়ে ভয় পাই না,’’ বললেন তিনি।
রান্না করে, মেয়ের সঙ্গে খেলে, এক্সারসাইজ় করে কোয়রান্টিন কাটাচ্ছেন তিনি। ‘‘কঠিন সময়। তাই নিজেকে যত ব্যস্ত রাখা যায়, নেগেটিভ চিন্তা তত দূরে থাকবে,’’ মন্তব্য তাঁর।
আরও পড়ুন: ঊষার অবসান
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy