স্বরূপ বিশ্বাস। ছবি: ফেসবুক।
প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে প্রথম প্রকাশ্যে মুখ খুললেন স্বরূপ বিশ্বাস। সমাজমাধ্যমে লিখছেন, “প্রতিবাদ করতে গিয়ে দয়া করে রাস্তায় মা দুর্গার মুখ আঁকবেন না! আপনার কাছে মা দুর্গা শুধুই আর্ট হতে পারে। কিন্তু আমার মত আরও কোটি কোটি মানুষের কাছে তিনি মা! নির্যাতিতার বিচার আমিও চাই। তবে তা মা দুর্গার সম্মানের বিনিময়ে নয়।” যে শহরে নারী নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে সেই শহরের পথে দেবীর ছবি আঁকা নিয়ে বক্তব্য রাখছেন ফেডারেশন সভাপতি? আনন্দবাজার অনলাইনের প্রশ্নে স্বরূপের প্রত্যুত্তর, “প্রত্যেকটি বৈঠকে আমি বারে বারে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছি। নির্যাতিতার ন্যায়বিচার চেয়েছি। এ-ও জানিয়েছি, শহরের আর কোনও নারী যেন এই ঘটনার সম্মুখীন না হন।” তাঁর দাবি, “আমি নারী-পুরুষ এই লিঙ্গভেদেই বিশ্বাসী নই।”
১৪ অগস্ট রাত দখলের দিন থেকে প্রতিবাদের অন্যতম হাতিয়ার পথচিত্র। কখনও স্লোগান, কখনও ঘটনার প্রতীকী চিত্র সেখানে জায়গা করে নিয়েছে। এমনকি নির্যাতিতার মুখের আদলও পথচিত্র থেকে বাদ পড়েনি। তার উপর দিয়ে পরক্ষণে শয়ে শয়ে লোক হেঁটে যাচ্ছেন। স্বরূপ শুধুই দেবীর পথচিত্র নিয়ে বলছেন! বাকি বিষয় বা ছবি নিয়ে কী বক্তব্য তাঁর? স্বরূপের দাবি, “একজন দেবী দুর্গার ভক্ত এবং পুজোর উদ্যোক্তা হিসাবে বিষয়টি মেনে নিতে পারছি না। মনে হচ্ছে দেবীকে যেন পথে নামিয়ে আনা হয়েছে। পর ক্ষণেই সেই ছবির উপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন মানুষ। কী করে মানব বলুন তো?” বাকি ছবি প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, নির্যাতিতার ছবি প্রকাশ্যে আনা যাবে না। তার পরেও কেউ তা করলে একান্তই তার ব্যাপার। এই বিষয়ে তিনি কোনও বক্তব্য রাখবেন না।
বদলে নারীসুরক্ষা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। ফেডারেশন সভাপতির কথায়, “ইন্ডাস্ট্রির শিশু ও মেয়েদের জন্য ইতিমধ্যেই ‘সুরক্ষা বন্ধু’ কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভাল সাড়া পাওয়া গিয়েছে।” কেউ অভিযোগ জানিয়েছেন? স্বরূপের দাবি, মৌখিক কিছু অভিযোগ কমিটি পেয়েছে। লিখিত অভিযোগ এখনও আসেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy