ব্যক্তিগত জীবনের নানা মুহূর্ত সমাজমাধ্যমে ধরে রাখেন মিলিন্দ এবং অঙ্কিতা। ছবি: সংগৃহীত।
বয়সের বিপুল ব্যবধান সত্ত্বেও ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন মিলিন্দ সোমান এবং অঙ্কিতা কোনওয়ার। বর্তমানে সুখী দাম্পত্য উপভোগ করছেন তাঁরা। উৎসাহে, উদ্দীপনায় ষাট ছুঁই ছুঁই মিলিন্দ যেন যুবকদেরও হার মানান। অফুরন্ত উদ্যমে ফিটনেস চর্চায় মেতে থাকেন অভিনেতা। দৌড়ে আসেন দেশ-বিদেশের সমুদ্রসৈকতে।
ব্যক্তিগত জীবনের নানা মুহূর্ত সমাজমাধ্যমে ধরে রাখেন মিলিন্দ এবং অঙ্কিতা। এ বিষয়ে লুকোছাপা নেই তাঁদের। সারা বিশ্বের নানা জায়গায় ছুটি কাটাতে গিয়ে তাঁদের অন্তরঙ্গ যাপনের ছবি পোস্ট করেন দু’জনে। সম্প্রতি মলদ্বীপে দেখা গেল দম্পতিকে। সেই অবকাশ যাপনের একগুচ্ছ ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন দম্পতি।
সমুদ্রসফরের অন্যতম আকর্ষণ স্কুবা ডাইভিং, যা মিলিন্দ এবং অঙ্কিতা দু’জনেই ভালবাসেন। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সমুদ্রের তলদেশে পরস্পরকে চুম্বন করছেন মিলিন্দ-অঙ্কিতা। সেই মুহূর্ত ঘুরছে নেটদুনিয়ায়। পরস্পরের ঠোঁটে ঠোঁট রেখে হারিয়ে গিয়েছেন দম্পতি। খুলে ফেলেছেন অক্সিজেন মাস্ক। ফলে, ঝুঁকিপূর্ণ সেই ছবিতেও মিলিন্দসুলভ অ্যাডভেঞ্চার। ছবিটি ভাগ করে নিয়ে করে মিলিন্দ লিখলেন, “প্রথম চুম্বন।”
এই রোম্যান্টিক ছবি পোস্ট করার পরেই ভালবাসায় ভেসে গিয়েছেন মিলিন্দ-অঙ্কিতা। তবে, বিপদের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিলেন না কেউ কেউ। এক জন লিখলেন, “জলের নীচে চুম্বন করতে গিয়ে অক্সিজেন মাস্ক খুলে ফেলে তাঁরা ঝুঁকির কাজ করেছেন।” অন্য এক জনের প্রতিক্রিয়া, “কী ভয়ের ব্যাপার!” এক অনুরাগী লিখলেন, “যদিও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ, তবে মুহূর্তটি সুন্দর এবং রোম্যান্টিক।”
২০১৯ সালে এক সাক্ষাৎকারে অঙ্কিতা জানিয়েছিলেন, কী ভাবে মিলিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় তাঁর। প্রেমিকের মৃত্যুর পর নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টায় ছিলেন অঙ্কিতা। চেন্নাইয়ের এক হোটেলের লবিতে মিলিন্দের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। এর পর থেকেই নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছিলেন তাঁরা।
আবার প্রেমের সম্পর্কে যেতে দ্বিধা ছিল অঙ্কিতার। তাঁর কঠিন সময়ে পাশে ছিলেন মিলিন্দ, জুগিয়েছিলেন সমর্থন, সহমর্মিতা। ধীরে ধীরে সম্পর্ক তৈরি হয় তাঁদের।
অঙ্কিতা বলেন, “বিয়ের আগে পাঁচ বছর আমরা অপেক্ষা করেছিলাম। আমার পরিবারের লোকজন এবং আরও কেউ কেউ উদ্বিগ্ন ছিলেন আমাদের বয়সের এতখানি ব্যবধান নিয়ে। আমাদের অবশ্য সে সব নিয়ে সমস্যা হয়নি। লোকজন যখন দেখে, আমরা একসঙ্গে ভাল আছি, তখন তারাও খুশি হয়।”
যখন দু’জনের বিয়ে হয়, মিলিন্দ তখন ৫২ বছরের প্রৌঢ়, অঙ্কিতা তাঁর অর্ধেক বয়সের, অর্থাৎ ২৬ বছরের যুবতী। মিলিন্দকে অনেকেই দোষারোপ করেছিলেন তখন। মিলিন্দ অবশ্য খোলাখুলি বলেছিলেন, “ আমার মনে হয়, সঙ্গী নির্বাচনে প্রত্যেকের স্বাধীনতা থাকা উচিত। সেটা নির্ভর করে হৃদয়ের অনুভূতির উপর। সমাজের সঙ্গে তার কোনও লেনাদেনা নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy