প্র: আপনার তিন সন্তানই খুব ছোট। সামলাচ্ছেন কী ভাবে?
উ: কোনও অসুবিধেই হয় না। বিস্ময়কর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি! বাচ্চাদের সঙ্গে প্রতিটা মুহূর্ত আমি আর ড্যানিয়েল (স্বামী) উপভোগ করি। এটা আমাদের জীবনের গোল্ডেন পিরিয়ড। ওদের চোখের আড়াল করতে ইচ্ছেই করে না। যদিও এটা খুব কঠিন কাজ। কেরিয়ার ও সংসার ব্যালান্স করার জন্য চাই ধৈর্য আর টাইম ম্যানেজমেন্ট। বাচ্চাদের ঘুমোনোর সময়ে আমি নিজের যাবতীয় কাজ রাখার চেষ্টা করি।
প্র: নিশা, আশার, নোয়া—এদের মধ্যে সবচেয়ে দুষ্টু কে?
উ: নিশা ইজ় এন অ্যাঞ্জেল! ওর বয়স তিন বছর। আমার দুই যমজ ছেলের খুব খেয়াল রাখে ও। আশার-নোয়ার বয়স দেড়। ওরা এখনও কিছুই বোঝে না। শুধু একে অপরের দিকে বিস্ময় ভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। আর ওদের সব সময়ে অ্যাটেনশন চাই।
প্র: বাচ্চাদের ছবি তোলা নিয়ে পাপারাৎজ়ির সঙ্গে সেলেবদের মাঝে মধ্যেই ঝামেলা হয়। এটা আপনি কী ভাবে দেখেন?
উ: পাপারাৎজ়ির জন্য বাচ্চাকে ঘরে বন্ধ করে রাখতে পারব না। তা হলে ওদের স্বাভাবিক ভাবে বড় করব কী করে? আমি আর ড্যানিয়েল সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত ছবি বেশি আপলোড করি না। তবে নিশা আজকাল পাপারাৎজ়ি দেখে খুব হাত নাড়ে।
প্র: আপনাকে টেলিভিশনে দেখে ছেলেমেয়েদের প্রতিক্রিয়া কী?
উ: ওরা এ সব কিছু দেখেই না। অ্যানিম্যাল প্ল্যানেট, ওশান লাইফ, কার্টুন চ্যানেল— এগুলো দেখে মজা পায়। এখনও বাড়ির টিভি আমার নিয়ন্ত্রণে আছে। তাই আমি আমার মতো সেটা চালনা করতে পারি। পরে কী হবে কে জানে (হাসি)! তা ছাড়া আমাকে টিভিতে দেখে অনুভূতি প্রকাশ করার মতো বয়স ওদের এখনও হয়নি।
প্র: ছ’বছর ধরে ‘স্প্লিটসভিলা’র সঙ্গে আছেন। এ বার নতুন কী হচ্ছে?
উ: প্রত্যেক বছর ভিন্ন ভিন্ন প্রতিযোগী থাকেন। তাঁদের মানসিকতা আলাদা হয়। আমরা শোয়ে তাঁদের বিভিন্ন পরিস্থিতি দিয়ে থাকি। প্রতিযোগীদের জার্নিটা প্রতিবারই আলাদা হয়। রণবিজয়ের সঙ্গে শো কো-হোস্ট করার অভিজ্ঞতাও খুব ভাল। আমাদের দু’জনের পরিবারও একে অপরের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটায়।
প্র: এই ধরনের শো কি প্রতিযোগীকে আদৌ কোনও প্ল্যাটফর্ম দিতে পারে?
উ: অবশ্যই। শোয়ের জন্য লক্ষ লক্ষ আবেদন আসে। খুব কম জন এই মূল পর্বে পৌঁছতে পারেন। ওদের জামাকাপড়, স্টাইল, মেকআপ সব কিছু নিয়ে আলোচনা হয়।
প্র: এই মুহূর্তে আপনি নতুন কী কাজ করছেন?
উ: একটি কমেডি ছবি করছি ‘কোকাকোলা’ নামে। আমি আর ড্যানিয়েল আর্ট স্কুল খুলেছি মুম্বইয়ে। সেখানে লার্নিং সেন্টার, লাইব্রেরি আছে। স্টোরি সেশন, এক্সারসাইজ়, চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট, জ়ুম্বা ক্লাস এক ছাদের তলায় শেখানো হয়। অভিভাবকদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আছে। এই স্কুলের পিছনে নিশা আমার অনুপ্রেরণা। ও পেন্ট করতে ভালবাসে। সেই থেকেই মনে হল, একটা স্কুল খোলা উচিত। যেখানে বাচ্চারা অনেক কিছু শিখতে পারবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy